Description
শারহু মাআনিল আছার (তাহারী শরীফ) ১ম খন্ড
শারহু মাআনিল আছার (তাহারী শরীফ) ১ম খন্ড বই
সহিহ তিরমিজি ১৫১
আবু হুরায়রা [রাদি.] থেকে বর্ণিত আছেঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ নামাযের ওয়াক্তের শুরু ও শেষ সীমা রয়েছে। যুহরের নামাযের শুরুর সময় হচ্ছে যখন [সূর্য পশ্চিম দিকে] ঢলতে শুরু করে এবং শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া। আসরের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করে [যুহরের শেষ সময়] এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন সূর্যের আলো হলুদ রং ধারণ করে। মাগরিবের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক চলে যায়। ইশার প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক বিলীন হয়ে যায়, আর তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন অর্ধেক রাত চলে যায়।
ফযরের নামাযের প্রথম ওয়াক্ত যখন ভোর শুরু হয় এবং তার ওয়াক্ত শেষ হয় যখন সূর্য উঠা শুরু হয়।
সহীহ। আস্-সহীহাহ্-[১৬৯৬]।এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হতে বর্ণিত হাদীস রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, আমি মুহাম্মাদকে বলতে শুনেছি, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে মুজাহিদ হতে আমাশের সূত্রে বর্ণনাকৃত হাদীসটি আমাশ হতে মুহাম্মাদ ইবনি ফুযাইলের সূত্রে বর্ণিত হাদীসের চেয়ে বেশি সহীহ।
কেননা মুহাম্মাদ ইবনি ফুযাইল রাবীদের সনদের ধারা বর্ণনায় ত্রুটি করেছেন।
মুজাহিদ [রহমাতূল্লাহ] হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কথিত আছে যে, নামাযের ওয়াক্তের শুরু এবং শেষ প্রান্ত রয়েছে। এ হাদীসটি অর্থ ও বিষয়বস্তুর দিক হতে মুহাম্মাদ ইবনি ফুযাইল হতে আমাশের সূত্রে বর্ণিত হাদীসের মতই।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
একই বিষয় সম্পর্কিত
সহিহ তিরমিজি ১৫২
সুলাইমান ইবনি বুরাইদা [রাদি.] হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিত আছেঃ
তিনি [বুরাইদা] বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ নবী আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে তাঁকে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা চান তো তুমি আমাদের সংগে থাক। তিনি বিলাল [রাদি.]-কে নির্দেশ দিলেন এবং সে অনুযায়ী তিনি ভোর [সুবহি সদিক] উদয় হলে ফযরের নামাযের ইক্বামাত দিলেন। তিনি আবার নির্দেশ দিলেন এবং সূর্য ঢলে গেলে তিনি [বিলাল] ইক্বামাত দিলেন। অতঃপর তিনি যুহরের নামায আদায় করালেন। তিনি আবার নির্দেশ দিলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। তখন সূর্য অনেক উপরে ছিল এবং আলোক উদ্ভাসিত ছিল। অতঃপর তিনি আসরের নামায আদায় করালেন। অতঃপর সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি তাকে মাগরিবের নামাযের ইক্বামাত দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তিনি তাকে ইশার নামাযের [ইক্বামাতের] নির্দেশ দিলেন। শাফাক অদৃশ্য হলে তিনি ইক্বামাত দিলেন। পরবর্তী সকালে তিনি তাকে [ইকামাতের] নির্দেশ দিলেন। ভোর খুব পরিষ্কার হওয়ার পর তিনি ফযরের নামায আদায় করালেন। অতঃপর তিনি তাকে যুহরের নামাযের [ইক্বামাতের] নির্দেশ দিলেন এবং [সূর্যের তাপ] যথেষ্ট ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত দেরি করে নামায আদায় করলেন। অতঃপর তিনি তাকে আসরের নামাযের নির্দেশ দিলেন, সে অনুযায়ী তিনি [বিলাল] সূর্য শেষ সীমায় এবং পূর্ব দিনের চেয়ে অনেক নীচে নেমে আসলে ইক্বামাত দিলেন [অতঃপর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] আসরের নামায আদায় করালেন]।
অতঃপর তিনি তাকে [ইকামাতের] নির্দেশ দিলেন এবং শাফাক অদৃশ্য হওয়ার সামান্য পূর্বে মাগরিবের নামায আদায় করালেন। অতঃপর তিনি তাকে ইশার নামাযের ইক্বামাত দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং সে অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশ রাত চলে যাবার পর ইক্বামাত দিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বলল, আমি। তিনি বললেনঃ নামাযের সময় এই দুই সীমার মাঝখানে।
সহীহ। ইবনি মাজাহ-[৬৬৭], মুসলিম।
শারহু মাআনিল আছার (তাহারী শরীফ) ১ম খন্ড
ইমাম আবু জাফর আহম্মদ অত-তাহাবী র.
=============================
শারহু মাআনিল আছার (তাহারী শরীফ) ১ম খণ্ড= 207
শারহু মাআনিল আছার (তাহারী শরীফ) ২য় খণ্ড= 323
Reviews
There are no reviews yet.