Select Page

কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা

৳ 35.00

Description

কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা

কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা বই
মুয়াত্তা মালিক ২৪৩
সায়িব ইবন ইয়াযিদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.}-উবাই ইবন কাব এবং তামীমদারী {রাজি.}-কে লোকজনের {মুসল্লিগণের} জন্য এগার রাকআত {তারাবীহ} কায়েম করিতে {পড়াইতে} নির্দেশ দিয়েছিলেন। কারী একশত আয়াতবিশিষ্ট সূরা পাঠ করিতেন, আর {আমাদের অবস্থা এই ছিল} আমরা নামাজ দীর্ঘ সময় দাঁড়াইতে দাঁড়াইতে {ক্লান্ত হয়ে পড়লে} সাহায্য গ্রহণ করতাম অর্থাৎ লাঠির উপর ভর দিতাম। {এইভাবে নামাজ পড়তে পড়তে রাত শেষ হত} আমরা ভোর হওয়ার কিছু পূর্বে ঘরে ফিরে আসতাম। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ২৪৪
ইয়াযিদ ইবন রুমান {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} ইয়াযিদ ইবন রুমান {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলেছেন, লোকজন উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.}-এর খিলাফতকালে রমযানে তেইশ রাকআত তারাবীহ পড়াতেন তিন রাকআত বিতর এবং বিশ রাকআত তারাবীহ। এটাই উমার {রাজি.} শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ২৪৬
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তিনি বলেছেন, {মসজিদে রাত কাটিয়ে} আমরা রমাযানে {গৃহে} ফিরে আসতাম, তখন ভোর হওয়ার আশংকায় খাদেমগণকে {খানা প্রস্তুতির} কাজে লাগাতাম। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ ذَكْوَانَ أَبَا عَمْرٍو وَكَانَ عَبْدًا لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْتَقَتْهُ عَنْ دُبُرٍ مِنْهَا كَانَ يَقُومُ يَقْرَأُ لَهَا فِي رَمَضَانَ.

উরওয়াহ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত; যাকওয়ান আবু আমর {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} নাবী সাঃআঃ-এর সহধর্মিণী আয়েশা {রাজি.}-এর ক্রীতদাস ছিলেন। আয়েশা {রাজি.}-এর ওফাতের পর যাকওয়ান মুক্তিপ্রাপ্ত হইবেন বলে ঘোষণা ছিল। {উক্ত যাকওয়ান} রমাযান মাসে তারাবীহর নামাজ আদায় করিতেন এবং আয়েশা {রাজি.} তাঁর পেছনে {অন্যদের সথে} মুকতাদী হয়ে নামাজ আদায় করিতেন অথবা আয়েশা {রাজি.} তাঁর কুরআন পাঠ শুনতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ২৪২
হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি মাহে রমযানে উমার ইবন খাত্তাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-এর সাথে মসজিদের দিকে গিয়েছি, {সেখানে গিয়ে} দেখি লোকজন বিভিন্ন দলে বিভক্ত। কেউ একা নামাজ আদায় করিতেছেন, আবার কেউ-বা নামাজ আদায় করিতেছেন এবং তাঁর ঈমামতিতে একদল লোকও নামাজ আদায় করিতেছেন। {এই দৃশ্য দেখে} উমার {রাজি.} বলিলেন, আমি মনে করি যে, {কত ভালই না হত} যদি এই মুসল্লিগণকে একজন কারীর সাথে একত্র করে দেওয়া হত! অতঃপর তিনি উবাই ইবন কাব {রাজি.}-এর ঈমামতিতে একত্র করে দিলেন। {আবদুর রহমান} বলেন, দ্বিতীয় রাত্রেও আমি তাঁর সাথে {মসজিদে} গমন করলাম। তখন লোকজন তাঁদের কারীর ইকতিদায় নামাজ আদায় করেছিলেন। উমার {রাজি.} {এটা অবলোকন করে} বলিলেন, نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ এটা অতি চমৎকার বিদআত বা নূতন পদ্ধতি। আর যে নামাজ হইতে তারা ঘুমিয়ে থাকে তা উত্তম ঐ নামাজ হইতে, যে নামাযের জন্য তারা জাগ্রত হয়, অর্থাৎ শেষ রাতের নামাজই আফযল। {উমার {রাজি.}} এটা এজন্যই বলেছিলেন, অনেক লোকের অবস্থা {এই ছিল} রাত্রের শুরু ভাগে তারা নামাজ আদায় করে নিলেন। কেউ কেউ শেষ রাত্রে তারাবীহ পড়া আফযল মনে করিতেন। {সহীহ বোখারি ২০১০}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস

কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *