Description
অধিকাংশ লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক
অধিকাংশ লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক বইটি কিনুন
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪৬২
হিশাম ইবন উরওয়াহ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} তার হইতে বর্ণিত আছেঃ
তিনি বলেছেন, عَبَسَ وَتَوَلَّى অবতীর্ণ করা হয়েছে আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম {রাজি.}-এর শানে। তিনি রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর কাছে এসে বলিতে লাগলেনঃ হে মুহাম্মদ! আমাকে আপনার কাছে বসতে দিন, সে সময় নাবী সাঃআঃ-এর কাছে মুশরিকগণের নেতাদের একজন বড় নেতা উপস্থিত ছিল। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ তা হইতে মনোযোগ ফিরিয়ে সে নেতা ব্যক্তির দিকে মনোনিবেশ করলেন এবং বলছিলেন হে আবু ফুলান {অমুকের পিতা}, আমি যা বলি তাতে কোন ত্রুটি দেখেছ কি? {উত্তরে} সে বলছিলঃ মূর্তির কসম, না, আপনি যা বলেন তাতে কোন প্রকার ত্রুটি দেখছি না। অতঃপর এই সূরা {১} عَبَسَ وَتَوَلَّى أَنْ جَاءَهُ الْأَعْمَى অবতীর্ণ হয়। {সহীহ, মুত্তাসিল, ঈমাম তিরমিজী আয়েশা {রাজি.} কর্তৃক হাদীসটি মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করিয়াছেন {তিরমিজী ৩৩৩১} আলবানী {রহ} হাদীসটি সহীহ বলেছেন}
{১} সে ভ্রুকুঞ্চিত করিল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল; কারণ তার কাছে এক অন্ধ এল। {সূরা: আবাসা, ১-২}
{২} আমরা তোমাদের জন্য অবধারিত করলাম প্রকাশ্য বিজয়। {ফাতহ, ১}
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪৬৩
যায়দ ইবন আসলাম {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ তাঁর সফরসমূহের কোন এক সফরে পথ চলছিলেন। রাত্রে উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.}-ও তাঁর সাথে চলছিলেন। তখন উমার {রাজি.} কোন বিষয়ে তাহাকে প্রশ্ন করলেন। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ তাহাকে কোন উত্তর দিলেন না। উমার {রাজি.} পুনরায় সওয়াল করলেন। কিন্তু তিনি তার জবাব দিলেন না। অতঃপর তাঁর কাছে {উমার} আবার সওয়াল করলেন, কিন্তু {এইবারও} তিনি তার জবাব দিলেন না। তখন উমার {রাজি.} {মনে মনে} বলিলেন, উমার, তোমার মাতা তোমাকে হারিয়ে ফেলুন {এবং কাঁদতে থাকুন অর্থাৎ তোমার সর্বনাশ}। তুমি বিনয় সহকারে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর কাছে সওয়াল করলে, আর তিনি তোমাকে কোন জবাব দিলেন না।
উমার {রাজি.} বলেন, তারপর আমার উটকে আমি চালিত করলাম, এমন কি আমি লোকের আগে আগে চলে গেলাম। আমি আশংকা করলাম আমার বিষয়ে কুরআন আবতীর্ণ হইতে পারে। তারপর আমি {বেশিক্ষণ} অবস্থান করিনি, {হঠাৎ} এর উচ্চৈঃস্বরে আহ্বানকারী আমাকে ডাকছিল। তিনি {উমার} বলেন, আমি আশংকা করছিলাম আমার বিষয়ে হয় তো কুরআন নাযিল হয়েছে। {উমার} বলেন, অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর কাছে এলাম এবং সালাম করলাম। অতঃপর তিনি বলিলেন, অবশ্য এই রাত্রে আমার উপর একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। নিঃসন্দেহে সে সূরাটি আমার কাছে অধিক প্রিয়, সে সব বস্তু অপেক্ষা যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا এই সূরাটি। {সহীহ, বোখারি ৪১৭৭}
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪৬৪
আবু সাইদ খুদরী {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃকে বলিতে শুনিয়াছি তোমাদের মধ্যে এক সম্প্রদায় বের হইবে যারা তুচ্ছ মনে করিবে তোমাদের নামাজকে তাদের নামাযের মুকাবেলায় এবং তোমাদের রোযাসমূহকে তাদের রোযার মুকাবেলায় এবং তোমাদের আমলসমূহকে তাদের আমলসমূহের মুকাবেলায়। তারা কুরআন পাঠ করিবে কিন্তু কুরআন তাদের গলদেশের নিচে যাবে না। তারা ধর্ম হইতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকারকে ভেদ করে বের হয়ে যায়। তীরের ফলা দেখবে, তাতেও কোন কিছু দেখবে না, তীরের লাকড়ি দেখবে, সেখানেও কিছু দেখিতে পাবে না, পালকের প্রতি লক্ষ করিবে, পালকেও কিছু দেখবে না, ধনুকের ছিলার দিকে দেখবে, সেখানে কিছু রক্ত লেগেছে কিনা সন্দেহ করিবে। {বোখারি ৫০৫৮, মুসলিম ১০৬৫}
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
অধিকাংশ লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক
Reviews
There are no reviews yet.