Description
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব
মুয়াত্তা মালিক ১০৬৮
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, সুলায়মান ইবন ইয়াসার হইতেও এইরূপ বর্ণিত আছে। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা মালিক ১০৬৯
উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত মাসআলা এই যে, মৃতের পিতা জীবিত থাকলে দাদা মাহরূম হয়ে যায় কিন্তু মৃতের ছেলে কিংবা নাতি বিদ্যমান থাকলে দাদা যবিল ফুরূয হিসাবে ষষ্ঠাংশ পাবে। যদি মৃতের ছেলে কিংবা নাতি না থাকে এবং সহোদর ভাই-বোন কিংবা বিমাতা ভাই-বোন না থাকে, তবে যবিল ফুরূয থাকলে তাদের হিস্যা দিয়ে যদি ষষ্ঠাং কিংবা ততোধিক মাল অবশিষ্ট থাকে তবে তা দাদা পাবে। আর যদি ষষ্ঠাংশের চেয়ে কম মাল থাকে তবে ষষ্ঠাংশ দাদার জন্য অংশ হিসাবে নির্দিষ্ট হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : যদি মৃতের দাদা এবং সহোদর ভাই-বোনদের সাথে কোন যবীল ফুরূয থাকে, তবে যবীল ফুরূযের হিস্যা দিয়ে যা কিছু অবশিষ্ট থাকিবে এতে নিম্নলিখিত অবস্থায় যা উত্তম হয় তাই কার্যকরী করা হইবে। {১} অবশিষ্ট মালের এক-তৃতীয়াংশ দাদাকে দেয়া হইবে। {২} দাদাকে মৃতের ভাই ধার্য করে এক ভাইয়ের সমান হিস্যা দেয়া যাবে। {৩} পূর্ণ মালের ষষ্ঠাংশ দাদাকে দেয়ার পর যদি মাল অবশিষ্ট থেকে যায় তবে তা ভাই-বোনদেরকে বোনের দ্বিগুণ ভাইকে বন্টন করে দেওয়া হইবে। কিন্তু আর একটি উদাহরণে বন্টন অন্যরূপে হইবে। উদাহরণটি হল এই :
এক মহিলা মৃত্যুবরণ করেছে তার স্বামী, মাতা, সহোদরা ভগ্নী ও দাদা আছে, তার সম্পদের অর্ধেক পাবে স্বামী, এক-তৃতীয়াংশ মাতা, ষষ্ঠাংশ দাদা আর সহোদরা ভগ্নী অর্ধেক। অতঃপর দাদার ষষ্ঠাংশ ও বোনের অর্ধেক একত্রিত করা হইবে, উহাকে এইভাবে বন্টন করা হইবে যে, দাদা পাবে দুই-তৃতীয়াংশ ও বোন পাবে এক-তৃতীয়াংশ। {এই মাসআলাটি আওলের {১} একটি উদাহরণ।}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : যদি মৃত ব্যক্তির দাদার সঙ্গে তার বিমাতা ভাইও থাকে তবে সে সহোদর ভাইয়ের মতো গ্রাহ্য হইবে। যদি সহোদরের সঙ্গে বিমাতা ভাই-বোনও থাকে, তবে বিমাতা ভাই শুধু ভাইদের গণনায় ধরা হইবে এবং দাদার হিস্যা কম করে দিবে স্বয়ং কোন অংশ পাবে না। হ্যাঁ, যদি সহোদর ভাইদের সঙ্গে বৈপিত্রেয় ভাইও থাকে, তবে তারা ভাইদের শামিলে গণ্য হয়ে দাদার হিস্যায় কম করিতে পারবে না। কেননা যদি দাদা থাকে এবং শুধু বৈপিত্রেয় ভাই থাকে তবে দাদা পূর্ণ মাল পাবে এবং বৈপিত্রেয় ভাই মাহরূম হয়ে যাবে। যে অবস্থায় দাদার সঙ্গে সহোদর ভাই এবং বৈমাত্রেয় ভাইবোনও থাকে তখন দাদার হিস্যা দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে তা সহোদর ভাই-বোনদেরই হিস্যা হইবে, বৈমাত্রেয় ভাই কিছুই পাবে না। হ্যাঁ, যদি সহোদর মাত্র এক বোন হয় এবং বাকী সকল বিমাতা ভাই-বোন হয় তবে বিমাতাদের কারণে সহোদর বোন দাদার হিস্যা কম করে দিবে এবং এই সহোদর বোন অর্ধেক অংশ পূর্ণ পাবে। তবুও যদি কিছু মাল অবশিষ্ট থেকে যায় তবে বিমাতা ভাই-বোনগণ নিজ নিজ হিস্যা ভাইয়েরা বোনদের দ্বিগুণ হিসেবে পাবে। আর যদি অবশিষ্ট না থাকে তবে বিমাতা ভাই-বোনগণ মাহরূম হয়ে যাবে। {১} ফরায়েজ এর একটি বণ্টন নীতি।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব
Reviews
There are no reviews yet.