Description
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে দুআ ও যিকরের ফযীলত
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে দুআ ও যিকরের ফযীলত
আল্লাহর পথে যিকরের সওয়াব বৃদ্ধি হওয়া সম্পর্কে
সুনানে আবু দাউদ ২৪৯৮
সাহল ইবন মুআয {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিয়াছেনঃ সলাত, সাওম ও যিক্র মহান আল্লাহর পথে খরচের তুলনায় নেকীর দিক দিয়ে সাত শত গুণ মর্যাদা রাখে।
দুর্বলঃ যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর {১৪৯৩}। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
সুনানে আবু দাউদ ৪০৮৯
ক্বায়িস ইবন বিশর আত-তাগ্লিবী {রহ} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা আমার কাছে বর্ণনা করেন, তিনি আবু দারদান {রাদি.}এর সঙ্গি ছিলেন। তিনি বলেন, সে সময় দামিশকে ইবনল হান্যালিয়া {রাদি.} নামে নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর এক সাহাবী বাস করিতেন, যিনি নিঃসঙ্গ থাকতেন, লোকজনের সাথে খুব কম মিশতেন। তিনি অধিকাংশ সময় সালাতে মশগুল থাকতেন, সালাত শেষ হলে তাসবীহ্-তাহলীলে মশগুল হইতেন, এরপর বাড়ী ফিরে যেতেন। তিনি বলেন, একদা আমরা আবু দারদার {রাদি.} নিকট বসা, তখন তিনি আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবু দারদা {রাদি.} তাহাকে বলিলেন, আপনি এমন একটি কথা শুনান যা আমদের উপকারে আসবে, অথচ আপনার ক্ষতি হইবে না। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} কোন অভিযানে একটি বাহিনী পাঠালেন। বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র হইতে ফেরার পর তাহাদের এক ব্যক্তি এসে রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} স্থানে বসে পড়লো এবং তাহাঁর পাশের এক ব্যক্তিকে বললো, যদি তুমি দেখিতে, আমরা যখন শত্রুবাহিনীর মুখোমুখী হই, তখন অমুক কোন শত্রুর উপর বর্শা নিক্ষেপ করলো, আর শত্রু কে বললো, এবার সামাল দাও দেখি এই বর্শাটা, আমি তো গিফার বংশের ছেলে। সে বলিল, আমার মতে তার নেকি বিনষ্ট হয়েছে। আরেকজন তার এ মন্তব্য শুনে বলিল, আমর মতে তার কোন দোষ হইবে না। অতঃপর তারা এ নিয়ে কথা ঝগড়ায় লিপ্ত হলো। এমনকি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} একথা শুনতে পেয়ে বলিলেনঃ আল্লাহ পবিত্র, সওয়াব পাওয়াতে এবং প্রশংসিত হওয়াতে কোন দোষ নেই। আমি আবু দারদা{রাদি.}-কে খুশি হইতে দেখলাম। তিনি তার দিকে তাকিয়ে বলিতে লাগলেন, আপনি এটা রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর নিকট থেকে শুনেছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। তিনি বারবার এ কথা বলিতে লাগলেন। অবশেষে আমি বলিলাম, তিনি হয়ত তার হাটুঁদ্বয়ে চেপে বসবেন। তিনি বলেন, আরেকদিন তিনি আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আবু দারদা{রাদি.} তাহাকে অনুরোধ করিলেন, আপনি এমন কিছু বলুন যা আমাদের উপকারে আসবে; কিন্ত আপনার কোন ক্ষতি হইবে না। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আমাদের বলেনঃ ঘোড়ার জন্য খরচকারী খোলা হাতে সদাক্বাহকারীর মত যে দান করা হইতে বিরত হয় না। অতঃপর আরেকদিন তিনি আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবু দারদা{রাদি.} তাহাকে বলিলেন, আপনি এমন একটি কথা বলুন, যা আমদের উপকারে আসে, কিন্তু আপনার ক্ষতি হইবে না। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আমাদেরকে বলিয়াছেনঃ খুরাইম আল-আসাদী অত্যন্ত ভালো মানুষ, তবে তার চুলের গোছা যদি লম্বা না হতো এবং টাখনুর নীচে লুঙ্গি ঝুলিয়ে না পরতো। তাহাঁর এ মন্তব্য শুনে খুরাইম {রাদি.} সাথে সাথে একটি বড় ছুরি নিয়ে বাব্রি চুল কেটে তা কানের লতি পর্যন্ত রাখেন, আর পায়ের টাখনুর অর্ধেক পর্যন্ত পরিধেয় বস্ত্র উঠিয়ে পরতে শুরু করেন। অতঃপর আরেকদিন তিনি আমাদের পাশ দিয়া যাওয়ার সময় আবু দারদা{রাদি.} তাহাকে অনুরোধ জানালেন, আপনি এমন একটি কথা বলুন যা আমাদের উপকারে আসবে; কিন্তু আপনার ক্ষতি হইবে না। তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} কে বলিতে শুনেছিঃ {যেহেতু} তোমরা তোমাদের ভাইদের নিকট যাচ্ছো, কাজেই তোমাদের বাহনগুলো ঠিকঠাক করে নাও এবং পোশাক পরিপাটি করো, তোমরা যেন সমাজের কেন্দ্রবিন্দু। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কদর্য ও অশ্লীলতা পছন্দ করেন না। ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আবু নুআইম হিশাম সুত্রে এরূপ বর্ণনাই করেছেনঃ “তোমরা এমনভাবে পরিপাটি হও, যেন তোমরা লোক সমাজে তিলক চিহ্ন। (৪০৮৯) (৪০৮৯) আহামদ,হাকিম। হাকিম বলেনঃ সনদ সহিহ। যাহাবী তাহাঁর সাথে এক মত হয়েছেন। কিন্তু সনদের ক্বাইস ইবন বিশর তার পিতার সুত্রে জাহালাতের কারনে আলবানী একে দুর্বল বলিয়াছেন।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে দুআ ও যিকরের ফযীলত
Reviews
There are no reviews yet.