Description
জুমু‘আর সুন্নাতী আযান কয়টি ?
জুমু‘আর সুন্নাতী আযান কয়টি ?
মুয়াত্তা মালিক ২২৬
মালিক ইবন আবি আমীর {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
উসমান ইবন আফফান {রাজি.} তাঁর খুতবায় বলিতেন এবং তিনি যখনই খুতবা দিতেন, তখন প্রায় এটা বলিতেন, জুমআর দিন ঈমাম খুতবার উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়ান, তখন তোমরা মনোযোগী হয়ে শুনবে এবং নীরব থাকিবে। কেননা খুতবা শুনতে না পেয়েও যিনি নীরব রয়েছেন তাঁর জন্য সওয়াব হইবে শুনতে পেয়ে নীরবতা অবলম্বনকারীর সমান। অতঃপর যখন নামাযের ইকামত বলা হয়, কাতার বরাবর করে নাও এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নাও। কেননা কাতার বরাবর করা নামাযের পূর্ণতার অংশবিশেষ। তারপর যতক্ষণ কাতার সোজা করার জন্য নিযুক্ত লোকজন এসে সফ সোজা হয়েছে বলে সংবাদ না দিতেন, ততক্ষণ তিনি {নামাযের} তাকবীর বলিতেন না। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ২২৭
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবদুল্লাহ ইবন উমার {রাজি.} দুই ব্যক্তিকে আলাপরত দেখলেন, তখন জুমআর দিন এবং ঈমাম খুতবা প্রদান করিতেছিলেন। এটা দেখে তিনি দুজনের দিকে কাঁকর নিক্ষেপ করলেন, এই মর্মে তোমরা চুপ হয়ে যাও। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ২২৮
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}- হইতে বর্ণিত আছেঃ
একবার} জুমআর দিন এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়েছে, তখন ঈমাম খুতবা পড়ছিলেন, তাঁর পাশ্ববর্তী এক ব্যক্তি হাঁচির উত্তরে ইয়ারহামুকুল্লাহ বলল, তখন সাঈদ ইবন মুসায়্যাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। অতঃপর তাকে নিষেধ করলেন এবং ভবিষ্যতে এইরূপ না করার জন্য বলে দিলেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, জুমআর দিন {তাকবীর বলার পূর্বে} যখন ঈমাম মিম্বর হইতে অবতরণ করেন, তখন কথা বলা সম্পর্কে তিনি ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে প্রশ্ন করলেন, {উত্তরে} ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলিলেন, এতে কোন দোষ নেই। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
জুমআ দিবসের {দুআ কবুলিয়াতের} মুহূর্তটির বর্ণনা
মুয়াত্তা মালিক ২৩৩
আবু হুরাইরা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ জুমআ দিবসের উল্লেখ করলেন, {সে প্রসঙ্গে} তিনি বলেছেন, এই দিবসে এমন এক মুহূর্ত রয়েছে কোন মুসলিম বান্দা নামাযে দণ্ডায়মান অবস্থায়, সে মুহূর্তটির সদ্ব্যবহার করলে তখন যদি সে আল্লাহ তাআলা হইতে কোন বস্তুর সওয়াল করে, তবে আল্লাহ তাকে সে বস্তু প্রদান করিবেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তার হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন সে সময়টির স্বল্পতা বুঝাবার জন্য। {বোখারি ৯৩৫, মুসলিম ৮৫২} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
জুমু‘আর সুন্নাতী আযান কয়টি ?
Reviews
There are no reviews yet.