Description
তাকলীদ, হাদীস অমান্য করার এক ভয়াবহ চক্রান্ত
তাকলীদ, হাদীস অমান্য করার এক ভয়াবহ চক্রান্ত
মুয়াত্তা মালিক ১৫২
সাহ্ল ইবন সাআদ সায়েদী {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
দুটি মুহূর্ত এরূপ আছে সে সময় অসমানের দরওয়াজা খোলা হয় এবং সে মুহূর্তদ্বয়ে প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা ক্বচিৎ ফেরত দেয়া হয়; নামাযের আযানের মুহূর্ত এবং আল্লাহর পথে জিহাদের কাতার ঠিক করার মুহূর্ত। {সহীহ, আবু দাঊদ ২৪৫০, আল্লামা আলবানী সহীহ ও জঈফ সুনানে আবু দাঊদ গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন}
ইয়াহ্ইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেছেন, মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে প্রশ্ন করা হল জুমআর দিন সময়ের পূর্বে আযান দেয়া যায় কি? তিনি উত্তর দিলেন, না, যায় না। সূর্য পশ্চিম দিকে ঝুঁকার পরই আযানের সময় হয়।
ইয়াহ্ইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বর্ণনা করেন, মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে প্রশ্ন করা হল আযান ও ইকামত-এর {বাক্যগুলি} দুই দুইবার বলা প্রসঙ্গে এবং ইকামতের সময় মানুষের কোন সময় দাঁড়াতে হইবে সে প্রসঙ্গে। তিনি উত্তর দিলেন আযান ও ইকামতের বিষয় আমি লোকজনক যে পর্যায়ে পেয়েছি এর চেয়ে বেশি কিছু আমার কাছে পৌঁছেনি। ইকামত অবশ্য দুই দুইবার বলিতে নাই। আমাদের শহরের {মদীনা শরীফ} বিজ্ঞ আলিমগণ এই মতই পোষণ করিতেন। ইকামতের সময় দাঁড়ানোর সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন সীমা আমি জ্ঞাত নই। তবে আমার মতে এটা অনেকটা লোকের শক্তি-সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করে। কারণ সব লোক এক রকমের নয়; তাদের মধ্যে সবল ও দুর্বল সকল প্রকারের লোকই থাকে।
ইয়াহ্ইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত; মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে প্রশ্ন করা হল, যারা প্রবাসী নয় বরং মুকীম {স্বদেশে বা বিদেশে শরীয়তসম্মত স্থায়ী বসবাসকারী} তারা ফরয নামাজ জামাত সহকারে আযান ছাড়া শুধু ইকামত বলে আদায় করিতে চাইলে-এই বিষয়ে আপনার মত কি? তিনি বলিলেন, কেবল ইকামত বললেও চলবে। কেননা আযান ওয়াজিব হয় সেই মসজিদের জন্য যেসব মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং লোকজনকে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয়।
ইয়াহ্ইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত; মুয়াযযিন কর্তৃক ঈমামকে সালাম দেওয়া, নামাযের জন্য তাকে আহ্বান করা এবং সর্বপ্রথম কোন আমীরের প্রতি এইরূপ করা হয়েছিল এই বিষয়ে মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলিলেন, এইরূপ সালাম দেওয়ার রীতি প্রথম যুগে ছিল বলে আমি অবগত নই।
ইয়াহ্ইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত; মুয়াযযিন আযান দিয়ে অপেক্ষা করিল, কিন্তু নামাজ আদায়ের জন্য কেউ আসল না। অতএব, সে ইকামত বলে একা একাই নামাজ আদায় করিল। নামাজ শেষ হলে কিছু লোক আসল। এমতাবস্তায় সে কি পুনরায় আগন্তুকদের সাথে নামাজ আদায় করিবে? মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলিলেন, না, পরে যারা আসবে তারা পৃথক পৃথকভাবে নামাজ আদায় করিবে ।
ইয়াহ্ইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত; মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} কে প্রশ্ন করা হলো মুয়াযযিন আযান দেবার পর নফল নামাজ শুরু করিল। লোকজন এসে অন্যের দ্বারা ইকামত বলে জামাত সহকারে নামাজ আদায়ের ইচ্ছা করিল, এইরূপ করা চলে কি ? তিনি উত্তর দিলেন যায়, এটা বৈধ। ইকামত বলার ব্যাপারে মুয়াযযিন এবং অন্য ব্যক্তি এক সমান।
ইয়াহ্ইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত; মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} কে প্রশ্ন করা হলো ফজরের আযান প্রায়ই সুবহে-সাদিক-এর আগে দেয়া হত। কিন্তু অন্যসব নামাযের আযান আমরা সময় হওয়ার পূর্বে দিতে দেখিনি। এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
তাকলীদ, হাদীস অমান্য করার এক ভয়াবহ চক্রান্ত
Reviews
There are no reviews yet.