Description
দিবা-রাত্রির সহীহ আমল ও মাসনূন দু‘আ শিক্ষা
দিবা-রাত্রির সহীহ আমল ও মাসনূন দু‘আ শিক্ষা
লু লু ওয়াল মার্জান ৭১২
আয়িশাহ্ {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} শাবান মাসের চেয়ে বেশি {নফল} সওম কোন মাসে পালন করিতেন না। তিনি {প্রায়} পুরা শাবান মাসই সওম রাখতেন এবং তিনি বলিতেনঃ তোমাদের মধ্যে যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু {নফল} আমল কর, কারণ তোমরা {আমল করিতে করিতে} পরিশ্রান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা {সওয়াব দান} বন্ধ করেন না। নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর কাছে সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় নামাজ ছিল তাই- যা যথাযথ নিয়মে সর্বদা আদায় করা হত, যদিও তা পরিমাণে কম হত এবং তিনি যখন কোন {নফল} নামাজ আদায় করিতেন পরবর্তীতে তা অব্যাহত রাখতেন। {বোখারী হাদিস পর্ব ৩০ : /৫২ হাঃ ১৯৭০, মুসলিম ১৩/৩৩, হাঃ ১১৫৬} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
লু লু ওয়াল মার্জান ৭১৫
আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনিল আস {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল{সাল্লাল্লাহু আঃ} আমাকে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সওম পালন কর এবং সারা রাত নামাজ আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক {শুনেছেন} হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেনঃ এরূপ করিবে না {বরং মাঝে মাঝে} সওম পালন কর আবার ছেড়েও দাও। {রাতে} নামাজ আদায় কর আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক্ব রয়েছে, তোমার চোখের হাক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক্ব আছে, তোমার মেহমানের হাক্ব আছে। তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন কর। কেননা নেক আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সওম হয়ে যায়। আমি {বললাম} আমি এর চেয়েও কঠোর আমল করিতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন আমলের অনুমতি দেয়া হল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আরো বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তবে আল্লাহর নাবী দাউদ {আ.}-এর সওম পালন কর, এর চেয়ে বেশি করিতে যেয়ো না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর নাবী দাউদ {আ.}-এর সওম কেমন? তিনি বললেনঃ অর্ধেক বছর। রাবী বলেন, আবদুল্লাহ {রাজি.} বৃদ্ধ বয়সে বলিতেন, আহা! আমি যদি নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} প্রদত্ত রুখসত {সহজতর বিধান} কবূল করে নিতাম! {বোখারী হাদিস পর্ব ৩০: /৫৫ হাঃ ১৯৭৫, মুসলিম ১৩/৩৩৫, হাঃ ১১৫৯} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
হাজী ও অন্যদের কাবায় প্রবেশ করা, সেখানে সালাত আদায় ও তার প্রত্যেক প্রান্তে দুআ করা মুস্তাহাব।
লু লু ওয়াল মার্জান ৮৩৮
আবদুল্লাহ ইবনি উমার {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
আল্লাহর রসূল {সাল্লাল্লাহু আঃ} আর উসামা ইবনি যায়দ, বিলাল এবং উসমান ইবনি তালহা হাজাবী {রাজি.} কাবায় প্রবেশ করিলেন। নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর প্রবেশের সাথে সাথে উসমান {রাজি.} কাবার দরজা বন্ধ করে দিলেন। তাঁরা কিছুক্ষণ ভিতরে ছিলেন। বিলাল {রাজি.} বের হলে আমি তাঁকে বললামঃ নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} কী করিলেন? তিনি বললেনঃ একটা খুঁটি বাম দিকে, একটা খুঁটি ডান দিকে আর তিনটা খুঁটি পেছনে রাখলেন। আর তখন বায়তুল্লাহ ছিল ছয়টি খুঁটিবিশিষ্ট। অতঃপর তিনি সালাত আদায় করিলেন। {বোখারী হাদিস পর্ব ৮/৯৬ হাঃ ৫০৫, মুসলিম হাদিস পর্ব ১৫/৬৮ হাঃ ১৩২৯} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
দিবা-রাত্রির সহীহ আমল ও মাসনূন দু‘আ শিক্ষা
Reviews
There are no reviews yet.