Select Page

নামাযে বিসমিল্লাহর বিধান

৳ 15.00

Description

নামাযে বিসমিল্লাহর বিধান

নামাযে বিসমিল্লাহর বিধান

আহার গ্রহণের সময় বিসমিল্লাহ বলা
ইবনে মাজাহ ৩২৬৪
আয়েশা [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] তাহাঁর ছয়জন সাহাবীসহ আহার করছিলেন। এমন সময় এক বেদুঈন এসে সমস্ত খাদ্য দুগ্রাসে শেষ করে ফেললো। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ সে যদি বিসমিল্লাহ বলে আহার করতো, তাহলে এ খাদ্য তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হতো। অতএব তোমাদের কেউ আহার গ্রহণকালে যেন বিসমিল্লাহ বলে। সে যদি আহার গ্রহণের প্রারম্ভে বিসমিল্লাহ বলিতে ভুলে যায় তবে যেন বলেঃ বিসমিল্লাহ ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহী [খাদ্যের প্রারম্ভে এবং শেষেও বিসমিল্লাহ]। [৩২৬৪] [৩২৬৪] তিরমিজি ১৮৫৮ আবু দাউদ ৩৭৬৭, আহমাদ ২৪৫৮২, ২৫২০৫, ২৫৭৬০, দারেমী ২০২০, ইরওয়া ১৯৬৫, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১১৫, ১১৬, তাখরিজূল কালিমুত তায়্যিব ১১২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

ইবনে মাজাহ  ৩৩৬১
উমার ইবনল খাত্তাব [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
[ইবন উমার] বলেন যে, তিনি আহাররত অবস্থায় উমার [রাজি.] তাহার ঘরে প্রবেশ করিলেন। তিনি তাহাকে আহারের মজলিসে মধ্যখানে জায়গা করে দিলেন। তিনি বিসমিল্লাহ বলে খাবারের পাত্রে হাত দিলেন এবং এক গ্রাস তুলে দিলেন, অতঃপর দ্বিতীয় গ্রাস তুলে নিয়ে বলেনঃ আমি তৈলাক্ত জিনিসের স্বাদ পাচ্ছি এবং তা গোশতের চর্বি নয়। আবদুল্লাহ [রাজি.] বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আমি মোটা গোশত ক্রয়ের উদ্দেশে বাজারে গিয়েছিলাম, কিন্তূ তাহার চড়া দাম দেখে এক দিরহামের শীর্ণকায় পশুর গোশত ক্রয় করে এবং এক দিরহামের ঘি ক্রয় করে তা ঐ গোশতের মধ্যে ঢেলে দিয়াছি। আমি চাচ্ছিলাম যে, পরিবারের সকলের ভাগে অন্তত একটি করে হাড় পড়ুক। উমার [রাজি.] বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর নিকট ঘি ও গোশত একত্রে উপস্থিত করা হলে, তিনি তাহার একটি আহার করিতেন এবং অন্যটি দান খয়রাত করিতেন। আবদুল্লাহ [রাজি.] বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আহার করুন। পুনরায় কখনো ঘি ও গোশত একত্র হলে আমি তাই করিব। উমার [রাজি.] বলেন, আমি কখনও খাবো না। [৩৩৬১] [৩৩৬১] হাদিসটি ঈমাম ইবন মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াহইয়া বিন আবদুর রহমান আল-আরহাবী সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবন হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৮৭০, ৩১/৪৩৮ নং পৃষ্ঠা] ২. ইউনুস বিন আবুল ইয়াফুর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তাহার সম্পর্কে আমার ধারনা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবন হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তাহার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৮৯, ৩২/৫৫৮ নং পৃষ্ঠা] এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
তরকারী রান্না করিলে ঝোল বেশী রাখবে

ইবনে মাজাহ ৩৩৬২
আবু যার্র [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ তুমি তরকারী রান্না করিলে তাতে ঝোল বেশী দিও এবং তোমার প্রতিবেশীদের পযর্ন্ত তা পৌঁছিও। [৩৩৬২] [৩৩৬২] মুসলিম ২৬২৫, তিরমিজি ১৮৩৩, আহমাদ ২০৮১৭, ২০৮৭৩, ২০৯১৮, দারেমী ২০৭৯, সহীহাহ ১৩৬৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু আমির আল-খাযযায সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবন হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৮১২, ১৩/৪৭ নং পৃষ্ঠা]
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

নামাযে বিসমিল্লাহর বিধান

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “নামাযে বিসমিল্লাহর বিধান”

Your email address will not be published. Required fields are marked *