Select Page

ফিতনাতুত তাকফীর বা মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা

৳ 25.00

Description

ফিতনাতুত তাকফীর বা মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা

ফিতনাতুত তাকফীর বা মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা

মুয়াত্তা মালিক ১৬৩৭
ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ এক রাত্রে জাগরিত হলেন এবং আকাশের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলিলেন, আল্লাহ্ তাআলা এই রাত্রে কত ধনাগার খুলে দিয়েছেন এবং কত ফিতনা অবতীর্ণ করিয়াছেন। পৃথিবীতে অনেক কাপড় পরিধানকারিণী স্ত্রীলোক পরকালে উলঙ্গ অবস্থায় উঠবে। {১} যারা কক্ষে রয়েছে তাদেরকে জাগিয়ে দাও {অর্থাৎ ইবাদতের জন্য}। {সহীহ, ঈমাম বোখারি উম্মে সালামাহ হইতে বর্ণনা করেন ১১৫, তবে ঈমাম মালেক একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} {১} অর্থাৎ আমার উম্মতদের জন্য ধনাগাব খুলে দেয়া হয়েছে, সাথে সাথে ফিতনা-ফাসাদও অবতীর্ণ হয়েছে। যে সকল নারী অতি পাতলা কাপড় পরে সৌন্দর্য প্রদর্শন করে তারা আখেতে উলঙ্গ থাকিবে।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ১৬৭৯
হুমাইদ ইব্নু মালিক {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি আবু হুরায়রা {রাজি.}-এর নিকট তাঁর আকীকস্থ {জায়গার নাম} যমীনের খামারে বসেছিলাম। এমন সময় তাঁর নিকট কিছু সংখ্যক মদীনাবাসী সওয়ারীর উপর সওয়ার হয়ে এসে তার নিকট নামল। হুমাইদ বলেন, আবু হুরায়রা {রাজি.} আমাকে বলিলেন, আমার আম্মার নিকট গিয়ে আমার সালাম বল এবং আমাদের কিছু খাওয়াইতে বল। হুমাইদ বলেন, {আমি তাঁর আম্মার কাছে গিয়ে উক্ত সংবাদ জানালাম}। তিনি তিনটি রুটি, কিছু যাইতুনের তেল এবং সামান্য লবণ পাত্রে রেখে উহা আমার মাথার উপর রাখলেন। উহা নিয়ে আমি তাঁদের {আবু হুরায়রা প্রমুখের} কাছে পৌঁছালাম এবং তাঁদের সম্মুখে উহা রাখলাম। আবু হুরায়রা {রাজি.} উহা দেখে আল্লাহু আকবার বলিলেন এবং বলিলেন, আল্লাহর শোকর, যিনি পেট ভরে রুটি খাইয়েছেন। ইতোপূর্বে আমাদের অবস্থা এই ছিল যে, খেজুর ও পানি ব্যতীত আর কিছুই ছিল না। উক্ত খাবার আগন্তুকদের জন্য যথেষ্ট হয়নি। অতঃপর তারা চলে গেল, আবু হুরায়রা {রাজি.} আমাকে বলিলেন, ভাতিজা! ছাগলগুলোকে ভালমতে যত্ন করো, উহাদের নাক মুছে দিও, উহাদের থাকার স্থানটা পরিষ্কার রেখো এবং সেখানেই এক কোণে নামাজ পড়িও। কেননা উহা বেহেশতী জীব। সেই জাতের কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে জনসাধারণের উপর এমনই এক সময় আসবে, যখন মারওয়ানের {আড়ম্বরপূর্ণ} ঘরের চেয়ে ছাগলের ছোট একটি পাল অধিক প্রিয় হইবে। {১} {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} {১} মারওয়ান তখন মদীনার গভর্নর ছিলেন। তাঁর ঘর সেই হিসাবে আড়ম্বরপূর্ণ হইবে এবং বিরাট হইবে। উদ্দেশ্য এই যে, ফিতনা-ফাসাদের যুগে ঘরের কোণে কিংবা মাঠে-জঙ্গলে তথা নির্জনে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকা রাজত্বের চেয়েও উত্তম হইবে।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ১৭৫৩
আবু সাঈদ খুদরী {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম} বলেছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে কয়েকটি ছাগলই মুসলমানদের উত্তম মাল {বলে বিবেচিত} হইবে। তারা ফিতনা-ফাসাদ হইতে নিজেদের দ্বীন রক্ষা করার নিমিত্তে পর্বতের চুড়ায় চলে যাবে অথবা কোন উপত্যকায় গিয়ে আশ্রয় নিবে। {সহীহ, বোখারি ১৯} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস

ফিতনাতুত তাকফীর বা মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ফিতনাতুত তাকফীর বা মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *