Description
সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৩০৩
আনাস [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, [আমার মা] উম্মু সুলায়ম [রাজি.] আমাকে এক টুকরি তাজা খেজুরসহ রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর নিকট পাঠালেন। কিন্ত আমি তাহাঁকে পেলাম না। তিনি তাহাঁর নিকটস্থ এক মুক্তদাসের বাড়ীতে গিয়েছিলেন। সে তাহাঁকে আহার গ্রহনের দাওয়াত করেছিল। এবং তাহার জন্য খাবার তৈরি করেছিল। আমি তাহাঁর নিকট আসলাম, তখন তিনি আহার করছিলেন। রাবী বলেন, তিনি আমাকে তাহাঁর সাথে আহার করার জন্য ডাকলেন। রাবী বলেন, সে তাহাঁর জন্য গোশ্ত ও লাউ দিয়ে ছারীদ তৈরী করেছিল। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি লাউ খুব পছন্দ করেন। তাই আমি লাউয়ের টুকরাগুলো একত্র করে তাহাঁর সামনে দিতে থাকলাম। আমরা আহার শেষ করার পর তিনি নিজের বাড়ীতে ফিরে এলেন এবং আমি তাহাঁর সামনে টুকরিটি রাখলাম। তিনি খেজুর আহার করিতে লাগলেন এবং অন্যদেরও দিতে থাকলেন, এভাবে তা দিতে দিতে শেষ করে অবসর হলেন। [৩৩০৩] [৩৩০৩] সহিহ বুখারি (তাওহীদ প্রঃ) হাদিস নং ২০৯২, ৫৩৭৯, ৫৪২০, ৫৪৩৩, ৫৪৩৫, ৫৪৩৬, ৫৪৩৭, ৫৪৩৯, মুসলিম ২০৪১, তিরমিজি ১৮৪৯, ১৮৫০, আবু দাউদ ৩৭৮২, আহমাদ ১২৪৫০ ১২৭২৯, ১২৯৪৬, মুয়াত্তা মালিক ১১৬১, দারেমী ২০৫০, ইরওয়া ৭/৪৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৩০৪
জাবির বিন তারিক [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর বাড়ীতে তাহাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তাহাঁর সামনে লাউয়ের তরকারী ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? তিনি বললেনঃ এটা লাউ তরকারী। আমরা তা দিয়ে আমাদের খাদ্যদ্রবের পরিমাণ বাড়াই। [৩৩০৪] [৩৩০৪] আহমাদ ১৮৬২১, মুখতাসারুশ শামাইল ১৩৬, সহীহাহ ২৪০০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৩১৮
উম্মু সাদ [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] আয়েশা [রাজি.] এর নিকট আসলেন। আমি তখন তাহার কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেনঃ সকালের নাস্তা আছে কি? তিনি বলেনঃ আমাদের নিকট রুটি, খেজুর ও সির্কা আছে। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ সির্কা উত্তম তরকারী। হে আল্লাহ! সির্কায় বরকত দান করুন, কারন তা ছিল আমার পূর্বকালের নবীগণের তরকারি। যে ঘরে সির্কা আছে সে ঘরে কখনো তরকারীর অভাব হয়না। [৩৩১৮][৩৩১৮] হাদিসটি ঈমাম ইবন মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। সহীহাহ ২২২০, জইফ আল-জামি ৫৯৬১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আব্বাস বিন উসমান আদ-দিমাশকী সম্পর্কে আবুল হাসান বিন সুমায় বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবন হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৩২, ১৪/২৩৩ নং পৃষ্ঠা] ২. আম্বাসাহ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে ঈমাম বুখারী বলেন, হাদিস বিশারদগণ তাহার হাদিস প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। ঈমাম তিরমিজি ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন, তাহার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৩৬, ২২/৪১৬ নং পৃষ্ঠা] ৩. মুহাম্মাদ বিন যাযান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ঈমাম তিরমিজি বলেন, তিনি কুফরী নয় এমন কওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবন হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫২১৬, ২৫/২০৬ নং পৃষ্ঠা]
এই হাদিসটির তাহকীকঃ জাল হাদিস
Reviews
There are no reviews yet.