Select Page

মদ বা নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু ভক্ষণের কু-পরিণতি ও ভয়াবহতা

৳ 10.00

Description

মদ বা নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু ভক্ষণের কু-পরিণতি ও ভয়াবহতা

মদ বা নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু ভক্ষণের কু-পরিণতি ও ভয়াবহতা

সুনান আবু দাউদ ২৯৮৬

আলী ইবন আবু ত্বালিব {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি বদর যুদ্ধের দিন গনীমাত হিসেবে ভাগে একটি মোটাতাজা উষ্ট্রী পাই। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} সেদিন অবশিষ্ট এক-পঞ্চমাংশ হইতে আমাকে আরেকটা মোটাতাজা উষ্ট্রী দেন। তখন আমি রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} কন্যা ফাত্বিমাহর সঙ্গে বাসর যাপনের ইচ্ছা করি। এজন্য আমি বাইনুকা গোত্রের এক স্বর্ণকারকে আমার সঙ্গে নিয়ে ইযাখার নামক সুগন্ধি ঘাস আনার মনস্থ করি। ইচ্ছা ছিল ওগুলো স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে আমার বিবাহভোজে কিছুটা সাহায্য হইবে। আমি আমার উষ্ট্রী, হাওদা, ঘাসের জাল, দড়ি ইত্যাদি সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। উষ্ট্রী দুটি এক আনসারীর ঘরের পাশে শোয়া ছিল। সব কিছু সংগ্রহ করে ফিরে এসে দেখি আমার উষ্ট্রী দুটির কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে এবং পেট ফেঁড়ে কলিজা বের করা হয়েছে। এ দৃশ্য দেখে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করিতে পারলাম না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কে এ নিষ্ঠুর কাজ করেছে? লোকেরা বলিল, হামযাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব এ অপকর্ম করেছে। সে আনসারদের কতিপয় মদ্যপায়ীর সাথে এ ঘরে রয়েছে। তাহাকে ও তাহাঁর সঙ্গীদের এক ক্রীতদাসী গান গেয়ে শুনিয়েছে। সে তার গানের মধ্যে বলেছে, সাবধান হে হামযাহ! মোটাতাজা উষ্ট্রীর দিকে লক্ষ্য করো। এতে উত্তেজিত হয়ে তিনি তার তরবারির দিকে ছুটে উষ্ট্রী দুটির কুজ কাটেন এবং পেট ফেড়ে কলিজা বের করেন। আলী {রাদি.} বলেন, আমি সেখান থেকে সোজা রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} নিকট গিয়ে উপস্থিত হই। তখন তাহাঁর নিকট যায়িদ ইবন হারিসাহ {রাদি.} উপস্থিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আমার চেহারা দেখেই বুঝে ফেললেন। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কী হয়েছে? আলী {রাদি.} বলেন, আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার জন্য আজকের দিনের মত দুর্দিন আর কখনো আসেনি। হামযাহ আমার উষ্ট্রী দুটিকে অত্যাচার করেছে। সে এর কুজ কেটেছে এবং পেটের দুপাশ ফেড়ে কলিজা বের করে নিয়েছে। সে এখনও একটি ঘরের মধ্যে মদ্যপায়ীদের সাথে মত্ত রয়েছে। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} তাহাঁর চাঁদর চেয়ে তা গায়ে জড়িয়ে রওয়ানা হলেন। আমি এবং যায়িদ ইবন হারিসাহ তার অনুসরন করি। হামযাহ যে ঘরে অবস্থান করছিলেন তিনি সেখানে পৌঁছলে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে ঘরে ঢুকে তিনি লোকদেরকে মাতাল অবস্থায় পেলেন। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} হামযাহকে তাহাঁর কৃতকর্মের জন্য র্ভৎসনা করিতে লাগলেন। তখন হামযাহ ছিলেন নেশায় বিভোর, নেশার কারনে তার চোখ লাল হয়ে ছিলো। তিনি রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে তার হাটুদয়ের প্রতি তাকালেন, কিছুক্ষন পর আবার দৃষ্টি সরিয়ে তাহাঁর নাভির দিকে লক্ষ্য করিলেন; পুনরায় দৃষ্টি সরিয়ে তাহাঁর চেহারার দিকে তাকালেন; অতঃপর বলিলেন, তোমরা আমার পিতার গোলাম ছাড়া কিছু নও। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বুঝতে পারলেন, হামযাহ এখন নেশাগ্রস্থ। মাতাল অবস্থায় তার ক্রোধ আরো বাড়তে পারে আশঙ্কায় রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} সেখান থেকে ফিরে গেলেন। ফলে আমরাও তার সাথে বেরিয়ে আসি।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

মদ বা নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু ভক্ষণের কু-পরিণতি ও ভয়াবহতা

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “মদ বা নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু ভক্ষণের কু-পরিণতি ও ভয়াবহতা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *