Description
অধিকারীর অধিকার
অধিকারীর অধিকার বইটি কিনুন
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১০৯৩
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}- হইতে বর্ণিত আছেঃ
উমার ইব্নু আবদুল আযীয {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} তাঁর খিলাফতকালে জনৈক কর্মকর্তার নিকট এই মর্মে পত্র লিখলেন যে, বিবাহ প্রদানকারী তিনি পিতা হোক বা অন্য কেউ স্বামীর নিকট হইতে কোন প্রকার উপঢৌকন বা সম্মানীর শর্ত করে থাকলে স্ত্রী দাবী করলে সে তা পাবে। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} সেই মহিলা সম্পর্কে বলেন, যে মহিলাকে তার পিতা বিবাহ দিয়েছে এবং কন্যার মোহরানাতে কন্যার পিতা নিজের জন্য কিছু উপঢৌকনের শর্ত করেছে। তবে যেসব শর্তে বিবাহ সংঘটিত হয়েছে, সেই সব প্রাপ্য হইবে কন্যার, যদি সে দাবি করে। আর যদি তার স্বামী সহবাসের পূর্বে তাকে তালাক দেয় তবে শর্তকৃত উপঢৌকন স্বামীকে পরিশোধ করিতে হইবে না।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : যে ব্যক্তি তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রকে বিবাহ দেয়, যে পুত্র কোন সম্পদের মালিক নয়। বিবাহ অনুষ্ঠানে যদি সে পুত্র সম্পদের মালিক না থাকে তবে মহর ওয়াজিব হইবে তার পিতার উপর। আর যদি পুত্র সম্পদের মালিক থাকে তবে পিতা স্বয়ং মহর-এর দায়িত্ব গ্রহণ না করে থাকে তবে পুত্রের সম্পদ হইতে মহর আদায় করিতে হইবে। কেননা পুত্র পিতার কর্তৃত্বাধীন থাকলে এবং পুত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে এই বিবাহ পুত্রের জন্য অপরিহার্য হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : কোন ব্যক্তি সহবাসের পূর্বে তার কুমারী স্ত্রীকে তালাক দিল। কন্যার পিতা তার কন্যার অর্ধেক মহর মাফ করে দিল। কন্যার পিতা যে পরিমাণ মহর মাফ করে দিল সে পরিমাণ মহর না দেওয়া স্বামীর জন্য বৈধ হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, উপরিউক্ত মাসআলার দলীল এই যে, আল্লাহ তাআলা কুরআনুল করীমে ইরশাদ করেছে, إِلَّا أَنْ يَعْفُوْنَ “যদি না স্ত্রী মাফ করে দেয়।” এতে ঐ সকল স্ত্রীলোকের কথা বলা হয়েছে যাদের সাথে তাদের স্বামীগণ সহবাস করেছে।
أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ.
“অথবা যার হাতে বিবাহ বন্ধন রয়েছে সে মাফ করে দেয়।” {১}
আয়াতে উল্লেখিত, “যার হাতে বিবাহ বন্ধন রয়েছে” দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, কুমারী কন্যার পিতা এবং ক্রীতদাসীর মালিক যাদের হাতে বিবাহ বন্ধনের অধিকার রয়েছে।”
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : এই বিষয়ে আমি এইরূপই শুনিয়াছি এবং আমাদের মদীনাবাসীর আমলও অনুরূপ।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা ইহুদী অথবা খ্রিস্টান স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকলে এবং ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা স্বামীর সহিত সহবাসের পূর্বে মুসলমান হলে তবে মহর তাদের প্রাপ্য হইবে না।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : দীনার-এর এক-চতুর্থাংশের কম পরিমাণ মহর-এর বিনিময়ে মহিলাকে বিবাহ দেওয়া আমি বৈধ মনে করি না। এই পরিমাণই হচ্ছে সর্বনিম্ন পরিমাণ যাতে চোরের হাত কাটা হয়।{১} পূর্ণ আয়াতটি এই, তোমরা যদি তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দাও অথচ মহর ধার্য করে থাক তবে যা তোমরা ধার্য করেছ তার অর্ধেক যদি না স্ত্রী অথবা যার হাতে বিবাহ বন্ধন রয়েছে সে মাফ করে দেয়; এবং মাফ দেওয়াই তাকওয়ার নিকটতর। তোমরা নিজেদের মধ্যে সদাশয়তার কথা বিস্মৃত হইও না। তোমরা যা কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
পর্দা টাঙানো
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১০৯৪
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.} ফায়সালা দিয়েছেন যে, কোন মহিলাকে কোন পুরুষ বিবাহ করলে এবং বিবাহের পর {স্বামী স্ত্রী গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর} পর্দা টাঙ্গান হলে তবে স্বামীর উপর মহর ওয়াজিব হইবে। {১} {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}{১} পর্দা টাঙান হলে-এর অর্থ স্বামী-স্ত্রী একান্তে মিলিত হওয়া এবং সহবাসের মতো নির্জন পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
অধিকারীর অধিকার
Reviews
There are no reviews yet.