Description
আরকানুল ঈমান বা ঈমানের স্তম্ভসমূহ
আরকানুল ঈমান বা ঈমানের স্তম্ভসমূহ
সুনান নাসায়ী ৫৪০০
ইবনু আব্বাস [রাদি. আঃ] হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ঈসা ইবনু মারয়াম [আঃ]-এর পর এমন কয়েকজন বাদশাহ্ ছিলেন, যারা তাওরাত এবং ইঞ্জিলে পরিবর্তন সাধন করেন। তাহাদের মধ্যে এমন কিছু ইমানদার লোকও ছিলেন, যারা তাওরাত পাঠ করিতেন। তখন তাহাদের বাদশাহদেরকে বলা হলো- এ সকল লোক আমাদেরকে যে গালি দিচ্ছে, এর চেয়ে কঠিন গালি আর কি হতে পারে? তারা পাঠ করেঃ যারা আল্লাহর নাজিলকৃত আহ্কাম দ্বারা মীমাংসা করে না, তারা কাফির।“ তাহাদের পড়ার মধ্যে থাকে এই আয়াত এবং ঐ সকল আয়াত, যাতে আমাদের কর্মকাণ্ডের দোষ প্রকাশ পায়। তাহাদেরকে আহবান করুন, তারা যেন আমরা যেরূপ পাঠ করি, সেরূপ পাঠ করে, আর আমরা যেরূপ ঈমান এনেছি, সেরূপ ঈমান আনে। বাদশাহ তাহাদের সকলকে ডেকে একত্রিত করিলেন এবং তাহাদের সামনে পেশ করিলেন যে, তাহাদেরকে হত্যা করা হইবে, যদিনা তারা তাওরাত ও ইঞ্জিল পাঠ ত্যাগ করিবে, তবে ঐ সকল আয়াত ব্যতীত, যা পরিবর্তন হইয়াছে। তারা বললোঃ এর দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য কী ? আমাদেরকে আমাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। তাহাদের একদল বললঃ আমাদের জন্য একটি স্তম্ভ তৈরি কর, এরপর আমাদের তাতে চড়িয়ে দাও এবং আমাদেরকে এমন কিছু দান কর, যা দ্বারা আমরা আমাদের খাদ্য ও পানীয় উঠিয়ে নিতে পারি, তা হলে আমরা আর তোমাদের নিকট আসবো না। তাহাদের আর একদল বললঃ আমাদেরকে ছেড়ে দাও, আমরা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াব এবং বন্য পশুর ন্যায় আহার ও পান করবো। আর এরপর যদি তোমাদের দেশে আমাদেরকে পাও, তবে আমাদেরকে হত্যা করো। তাহাদের আর একদল বললোঃ বনে জঙ্গলে আমাদের জন্য গির্জা তৈরী করে দাও। আমরা কূপ খনন করবো এবং তরি-তরকারি ফলাব, আমরা তোমাদের কাছেও আসবো না, এবং তোমাদের পাশ দিয়ে কোথাও যাব না। আর এমন কোন গোত্র ছিল না, যাতে তাহাদের আত্মীয়-স্বজন না ছিল। পরে তারা ঐরূপ করলো। তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করেনঃ তারা নিজেরা এমন বৈরাগ্য ঠিক করে নিয়েছিল। আমি তাহাদেরকে এর বিধান দিইনি। তারা ঐ দরবেশের হক পূর্ণ করেনি। অন্যান্য লোকেরা বলিতে লাগলোঃ আমরাও তাহাদের ন্যায়, যেমন অমুক অমুক লোক করে থাকে, অমূক লোকের ন্যায় জঙ্গলে জঙ্গলে ভ্রমণ করবো, ঐরূপ গৃহ নির্মাণ করবো, যেমন অমূক লোকেরা করেছিল। অথচ তারা শিরকে পতিত ছিল, তারা যাদের অনুকরণ করছিল, তাহাদের ঈমান সম্বদ্ধেও অবহিত ছিল না। যখন আল্লাহ তাআলা নাবী [সাঃ আলাইহি ওয়াসাল্লাম] -কে প্রেরণ করিলেন, তখন তাহাদের মধ্যে কিছু লোক অবশিষ্ট ছিল। কেউ তো তার ইবাদতখানা হতে নেমে আসলো, ভ্রমণকারী তার ভ্রমণ হতে ফিরে আসলো, কেউ তার গির্জা হতে আসলো এবং তাহাঁর প্রতি ঈমান আনলো এবং তাকে বিশ্বাস করলো। তখন আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন কর, তা হলে তিনি তোমাদেরকে তাহাঁর রহমতের দ্বিগুণ দান করবেন, এক তো হযরত ঈসা [আঃ] -এর উপর ঈমান আনার দরুন এবং তাওরাত-ইঞ্জিলে বিশ্বাস স্থাপনের দরুন। আর দ্বিতীয়ত মুহাম্মদ [সাঃ আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর উপর ঈমান আনা এবং তাঁকে সত্যবাদী জানার কারণে এবং তাঁকে সত্যবাদী বলে বিশ্বাস করার দরুন আল্লাহ তাআলা এক আলো দান করবেন, যাহার আলোতে তোমরা চলাফেরা করিবে, অর্থাৎ তা হলো কুরআন এবং তাহাদের নাবী [সাঃ আলাইহি ওয়াসাল্লাম] -এর অনুগমন অনুসরণ, যেন যে আহ্লে কিতাব তোমাদের মত হতে চায়; তারা যেন না বুঝে যে, তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পাবে না।
এই হাদীসের তাহকীকঃসহীহ মাওকুফ
ব্যাহিক অবস্থা দেখে মীমাংসা
আরকানুল ঈমান বা ঈমানের স্তম্ভসমূহ
Reviews
There are no reviews yet.