Description
ঈদের তাকবীর
ঈদের তাকবীর
সুনানে আবু দাউদ ১৯৭৩
আয়িশাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} {কুরবানীর দিন} যুহরের সলাত আদায় করে দিনের শেষভাগে ফরয তাওয়াফ সম্পন্ন করেন। এরপর মিনায় আসেন এবং সেখানে তাশরীকের দিন রাতগুলো অতিবাহিত করেন। তিনি সূর্য ঢলার পর জামরায় কংকর মারেন। তিনি প্রত্যেক জামরায় সাতটি কংকর মারেন এবং প্রত্যেক কংকর মারার সময় তাকবীর বলেন। তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় জামরায় দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে বিনয়ের সাথে দুআ করেন। অবশ্য তৃতীয় জামরাতে কংকর মারার পর সেখানে অবস্থান করেননি। (১৯৭৩)
সহিহ। তার “যুহরের সলাত আদায় করে” কথাটি বাদে। কেননা এটি মুনকার। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আবু দাউদ ২০২৭
ইবন আব্বাস {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} মক্কায় আগমন করে কাবা ঘরে প্রবেশ করিতে অস্বীকার করেন। কেননা এ ঘরে তখন বহু দেবদেবী রাখা ছিল। অতঃপর তাহাঁর নির্দেশ মোতাবেক সেগুলা অপসারণ করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, ইবরাহীম ও ইসমাইল {আঃ}-এর মূর্তিও অপসারণ করা হয়। তাহাদের মূর্তির হাতে ছিল ভাগ্য পরীক্ষার তীর। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিলেনঃ আল্লাহ তাহাদেরকে ধ্বংস করুন। আল্লাহর শপথ! তারা নিশ্চিত জানতো যে, তাঁরা কখনো এ তীরের সাহায্যে ভাগ্য পরীক্ষা করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কাবা ঘরে প্রবেশ করিলেন এবং এর কোণে তাকবীর ধ্বনি দিলেন, অতঃপর বাইরে আসলেন। কিন্তু তিনি সেখানে সলাত আদায় করেননি। (২০২৭) এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনানে আবু দাউদ ১৯৩৩
আশ্আস ইবন সুলাইম {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে তার পিতার হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি ইবন উমারের {রাদি.} সাথে আরাফাহ হইতে মুযদালিফা পর্যন্ত আসি। মুযদালিফায় আসা পর্যন্ত তিনি তাকবীর ও তাহলীল পাঠ করেছেন। এরপর তিনি আযান ও ইক্বামাত দেন অথবা এক ব্যক্তিকে নির্দেশ করলে সে আযান ও ইক্বামাত দিলে তিনি আমাদেরকে নিয়ে মাগরিবের তিন রাকআত সলাত আদায় করিলেন। তারপর আমাদের দিকে ফিরে বলিলেন, সলাত। অতঃপর আমাদেরকে নিয়ে তিনি দুই রাকআত ইশার সলাত আদায় করিলেন। এরপর রাতের খাবার আনতে বলিলেন। বর্ণনাকারী আশআস বলেন, ইলাজ ইবন আমর, ইবন উমার {রাদি.} সূত্রে আমার পিতা বর্ণিত হাদিসের অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন। পরবর্তীতে ইবন উমার {রাদি.}-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} সাথে এভাবেই সলাত আদায় করেছি। (১৯৩৩) সহিহ। তবে তার কথা ঃ “তিনি বলিলেন, সলাত”- এটি শায। মাহফূয হচ্ছে ঃ “অতঃপর ইক্বামাত দিলেন।” যেমন পূর্বের ১৯২৭ ও ১৯২৮ নং হাদিসদ্বয় রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
ঈদের তাকবীর
Reviews
There are no reviews yet.