Select Page

কুরআন-হাদীসের নিরিখে মুসলিম নারীর পর্দা

৳ 60.00

শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)

Description

কুরআন-হাদীসের নিরিখে মুসলিম নারীর পর্দা

কুরআন-হাদীসের নিরিখে মুসলিম নারীর পর্দা বই

মুয়াত্তা মালিক ৩৪৫
উম্মুহানী বিনতে আবি তালিব {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি মক্কা বিজয়ের সালে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর খিদমতে গমন করলাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে গোসল করিতে দেখলাম। তাঁর কন্যা ফাতিমা {রাজি.} একটি কাপড় দিয়ে তাঁর জন্য পর্দা করিয়াছেন। তিনি বলিলেন, আমি গিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যে আসসালামু আলাইকুম বললাম। তিনি ফরমালেন ইনি কে? আমি বললাম আবু তালিবের কন্যা উম্মুহানী। তখন তিনি বলিলেন, উম্মুহানীর জন্য মারহাবা {খোশ আমদেদ}। তিনি যখন গোসল সমাপ্ত করলেন, একটি মাত্র কাপড় জড়িয়ে আট রাকআত নামাজ আদায় করলেন। নামাজ হইতে প্রত্যাবর্তন করলে আমি বললাম আমার ভাই আলী {রাজি.} বলেছেন, সে এমন এক ব্যক্তিকে কতল করিবে, যাকে আমি আশ্রয় দিয়েছি। সে হচ্ছে হুবায়রার সন্তান অমুক {তাবরানীর মতে সে হুবাইরার চাচাত ভাই}। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, উম্মুহানী, তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমিও তাকে আশ্রয় দিলাম। উম্মুহানী বলেন, সময়টি ছিল চাশতের। {বোখারি ৩৫৭, মুসলিম ৩৩৬}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ১২৫০
উরওয়া ইবন যুবাইর {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আয়িশা উম্মুল মুমিনীন {রাজি.} বলেন : পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার পর আমার দুধ চাচা আবুল কুআয়সের ভাই আফলাহ্ {রাজি.} আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। আয়িশা {রাজি.} বলেন : তারপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাশরীফ আনলেন এবং আমি এই বিষয়টি তাকে অভিহিত করলাম। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাকে আমার নিকট আসার অনুমতি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন।
আয়িশা {রাজি.} বলিলেন : ইয়া রসূলাল্লাহ! আমাকে স্ত্রীলোক দুধ পান করিয়েছে, পুরুষ আমাকে পান করায়নি। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন : তিনি তোমার চাচা, তোমার নিকট সে প্রবেশ করিতে পারবে, আয়িশা {রাজি.} বলেন, এই ঘটনা পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার পরে সংঘটিত হয়েছে। {১} আয়িশা {রাজি.} বলেছেন : জন্মের {সম্পর্কের} দ্বারা যা হারাম হয় দুধ পানের {সম্পর্কের} দ্বারাও তা হারাম হইবে। {বোখারি ৫২৩৯, মুসলিম ১৪৪৫}{১} হিজরী পঞ্চম সনের যিলকদ মাসে পর্দার বিধান অবতীর্ণ হয়।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ১২৫১
উরওয়া ইবন যুবাইর {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
উম্মুল মুমিনীন আয়িশা {রাজি.} তার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, তার দুধ চাচা আবু কুআয়স-এর ভাই আফলাহ্ {রাজি.} পর্দার হুকুম আবর্তীণ হওয়ার পর তার কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। আয়িশা {রাজি.} বলেন : আমি আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়াহি ওয়া সাল্লঅম তাশরীফ আনিলে পর আমি যাহা করিয়াছি উহা তাহাকে অবহিত করলাম। অতঃপর তাকে {দুধ চাচাকে} আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ আমাকে নির্দেশ দিলেন। {বোখারি ৫১০৩, মুসলিম ১৪৪৫}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ১৪১৬
নবী করীম রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর সহধর্মিণী আয়িশা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তিনি বলেছেন, উতবা ইব্নু আবী ওয়াক্কাস {রাজি.} মৃত্যুর সময় তার ভাই সাদ ইব্নু আবী ওয়াক্কাসকে বলে গিয়েছিলেন যে, যামআ-এর দাসীর সন্তান আমার, তুমি তাকে নিয়ে এস। আয়িশা {রাজি.} বলেন যে, মক্কা বিজয়ের দিন সাদ ঐ সন্তানকে আনলেন ও গ্রহণ করলেন এবং তিনি বলিলেন, সে আমার ভাই-এর সন্তান। তিনি আমাকে মৃত্যুর সময় অঙ্গীকার করিয়ে ছিলেন। এইদিকে আবদ ইব্নু যামআ {রাজি.} বলিলেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর ছেলে ও আমার পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছে। অবশেষে দুইজন বিতর্ক করে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর নিকট এলেন। সাদ বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! সে আমার ভাইয়ের সন্তান, মৃত্যুকালে আমার ভাই আমাকে অঙ্গীকার করিয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আবদ ইব্নু যামআ বলিলেন, সে আমার ভাই আমার পিতার দাসীর গর্ভে ও আমার পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছে। তার পর সব শুনে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, হে আবদ ইব্নু যামআ, সে তোমারই ভাই, সে তোমারই কাছে থাকিবে, অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, সন্তান তার মাতার স্বামীর অথবা মনিবেরই হয়ে থাকে আর ব্যভিচারীর জন্য প্রস্তরই নির্ধারিত। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ সাওদা বিনত যামআকে বলেন, হে সাওদা! এ সন্তান হইতে পর্দা করো, কেননা তার আকৃতি উৎবার সদৃশ। অতঃপর সে আর সাওদাকে তার মৃত্যু পর্যন্ত দেখেনি। {বোখারি ২০৫৩, মুসলিম ১৪৫৭}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস

কুরআন-হাদীসের নিরিখে মুসলিম নারীর পর্দা

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কুরআন-হাদীসের নিরিখে মুসলিম নারীর পর্দা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *