Description
চোখের আপদ ও তার প্রতিকার
চোখের আপদ ও তার প্রতিকার
লু লু ওয়াল মারজান ২৬১
জাবির ইবনি সামুরাহ {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
জাবির ইবনি সামুরাহ {রাজি.} হইতে বর্ণীত। তিনি বলেন, কূফাবাসীরা সাদ {রাজি.}-এর বিরুদ্ধে উমার {রাজি.}-এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি দেন এবং আম্মার {রাজি.}-কে তাহাদের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। কূফার লোকেরা সাদ {রাজি.}-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতে গিয়ে এ-ও বলে যে, তিনি ভালরূপে নামাজ আদায় করিতে পারেন না। উমার {রাজি.} তাঁকে ডেকে পাঠালেন এবং বলিলেন, হে আবু ইসহাক! তারা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, আপনি নাকি ভালরূপে নামাজ আদায় করিতে পারেন না। সাদ {রাজি.} বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আমি আল্লাহর রসূল {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর নামাজের অনুরূপই নামাজ আদায় করে থাকি। তাতে কোন ত্রুটি করি না। আমি ইশার নামাজ আদায় করিতে প্রথম দুরাকআতে একটু দীর্ঘ ও শেষের দুরাকআতে সংক্ষেপ করতাম। উমার {রাজি.} বলিলেন, হে আবু ইসহাক! আপনার সম্পর্কে আমার এ-ই ধারণা। অতঃপর উমার {রাজি.} কূফার অধিবাসীদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সাদ {রাজি.}-এর সঙ্গে কূফায় পাঠান। সে ব্যক্তি প্রতিটি মাসজিদে গিয়ে সাদ {রাজি.} সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো এবং তাঁরা সকলেই তাহাঁর ভূয়সী প্রশংসা করিলেন। অবশেষে সে ব্যক্তি বনূ আব্স গোত্রের মাসজিদে উপস্থিত হয়। এখানে উসামা ইবনি কাতাদাহ্ নামে এক ব্যক্তি যাকে আবু সাদাহ্ বলে ডাকা হত দাঁড়িয়ে বলিল, যেহেতু তুমি আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করেছ, সাদ {রাজি.} কখনো সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে যান না, গনীমতের মাল সমভাবে বণ্টন করেন না এবং বিচারে ইনসাফ করেন না। তখন সাদ {রাজি.} বলিলেন, মনে রেখো, আল্লাহর কসম! আমি তিনটি দুআ করছিঃ ইয়া আল্লাহ্! যদি তোমার এ বান্দা মিথ্যাবাদী হয়, লোক দেখানো এবং আত্মপ্রচারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে- ১. তার হায়াত বাড়িয়ে দিন, ২. তার অভাব বাড়িয়ে দিন এবং ৩. তাকে ফিত্নাহর সম্মুখীন করুন। পরবর্তীকালে লোকটিকে {তার অবস্থা সম্পর্কে} জিজ্ঞেস করা হলে সে বলতো, আমি বয়সে বৃদ্ধ, ফিত্নায় লিপ্ত। সাদ {রাজি.}-এর দুআ আমার উপর লেগে আছে। বর্ণনাকারী আবদুল মালিক {রহমাতুল্লাহি আ:} বলেন, পরে আমি সে লোকটিকে দেখেছি, অতি বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তার ভ্রু চোখের উপর ঝুলে পড়েছে এবং সে পথে মেয়েদের উত্যক্ত করত এবং তাহাদের চিমটি কাটতো।
{বোখারী হাদিস পর্ব ১০ : /৯৫ হাঃ ৭৫৫, মুসলিম ৪/৩৪, হাঃ ৪০৫} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
চোখের আপদ ও তার প্রতিকার
Reviews
There are no reviews yet.