Description
জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
লু লু ওয়াল মারজান ৪৪০
ইবনি আব্বাস {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} রাতে যখন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করিতেন, তখন বলিতেনঃ হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্! সব প্রশংসা একমাত্র আপনারই, আসমান ও যমীনের তত্ত্বাবধায়ক আপনিই এবং আপনারই জন্য সব স্তুতি। আসমান ও যমীন এবং এসবের মধ্যকার সবকিছুর প্রতিপালক আপনিই এবং আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান যমীন ও এগুলোর মধ্যকার সব কিছুর নূর আপনিই। আপনি হক, আপনার বাণী হক, আপনার ওয়াদা হক, আপনার সাক্ষাৎ হক, জান্নাত হক, জাহান্নাম হক এবং ক্বিয়ামাত হক। ইয়া আল্লাহ্! আপনারই উদ্দেশে আমি ইসলাম কবূল করেছি এবং আপনারই প্রতি ঈমান এনেছি, তাওয়াক্কুল করেছি আপনারই ওপর, আপনারই কাছে বিবাদ হাওয়ালা করেছি, আপনারই কাছে ফায়সালা চেয়েছি। তাই আপনি আমার পূর্বের ও পরের গুপ্ত ও প্রকাশদ্য এর্ব যা আপনি আমার চেয়ে অধিকজ্ঞাত তাই সবই মাফ করে দিন। আপনি ব্যতীত সত্যিকার কোন ইলাহ্ নেই। {বোখারী হাদিস পর্ব ৯৭ : /৩৫ হাঃ ৭৪৪২, মুসলিম ৬/২৬, হাঃ ৭৬৯} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
সূর্য গ্রহণের সলাতে নাবী {স}-কে জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে যা দেখানো হয়।
লু লু ওয়াল মারজান ৫২৪
আসমা {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
আমি আয়েশা {রাজি.}-র নিকট আসলাম, তিনি তখন নামাজ রত ছিলেন। আমি বললাম, মানুষের কী হয়েছে? তিনি আকাশের দিকে ইঙ্গিত করিলেন {সূর্য গ্রহণ লেগেছে}। তখন সকল লোক {সলাতুল কুসূফ এর জন্য} দাঁড়িয়ে রয়েছে। আয়িশা {রাজি.} বলিলেন, সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, এটা কি কোন নিদর্শন ? তিনি মাথা দিয়ে ইঙ্গিত করিলেন, হ্যাঁ। অতঃপর আমি {সলাতে} দাঁড়িয়ে গেলাম। এমনকি {দীর্ঘতার কারণে} আমার জ্ঞান হারিয়ে ফেলার উপক্রম হল। তাই আমি মাথায় পানি ঢালতে আরম্ভ করলাম। পরে নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ করিলেন। অতঃপর বললেনঃ যা কিছু আমাকে ইতোপূর্বে দেখানো হয়নি, তা আমি আমার এ স্থানেই দেখিতে পেয়েছি। এমনকি জান্নাত ও জাহান্নামও। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা আমার নিকট ওয়াহী প্রেরণ করিলেন, দাজ্জালের ন্যায় {কঠিন} পরীক্ষা অথবা তার কাছাকাছি বিপদ দিয়ে তোমাদেরকে কবরে পরীক্ষায় ফেলা হইবে।
ফাতিমাহ {রাজি.} বলেন, আসমা {রাজি.} مثل {অনুরূপ} শব্দ বলেছিলেন, না قريب {কাছাকাছি} শব্দ, তা ঠিক আমার স্মরণ নেই। {কবরের মধ্যে} বলা হইবে, এ ব্যক্তি সম্পর্কে তুমি কি জান? তখন মুমিন ব্যক্তি বা মুকিন {বিশ্বাসী} ব্যক্তি (ফাতিমাহ {রাজি.} বলেন) আসমা {রাজি.} এর কোন্ শব্দটি বলেছিলেন আমি জানিনা), বলবে, তিনি মুহাম্মদ {সাল্লাল্লাহু আঃ}, তিনি আল্লাহর রসূল। আমাদের নিকট মুজিযা ও হিদায়াত নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তা গ্রহণ করেছিলাম এবং তাহাঁর ইত্তেবা করেছিলাম। তিনি মুহাম্মদ। তিনবার এরূপ বলবে। তখন তাকে বলা হইবে, আরামে ঘুমিয়ে থাক, আমরা জানতে পারলাম যে, তুমি {দুনিয়ায়} তাহাঁর উপর বিশ্বাসী ছিলে। আর মুনাফিক অথবা মুরতাব {সন্দেহ পোষণকারী} ফাতিমাহ বলেন, আসমা কোন্টি বলেছিলেন, আমি ঠিক মনে করিতে পারছি না- বলবে, আমি কিছুই জানি না। মানুষকে {তাহাঁর সম্পর্কে} যা বলিতে শুনিয়াছি, আমিও তাই বলেছি। {বোখারী হাদিস পর্ব ৩ : /২৪ হাঃ ৮৬, মুসলিম ১০/২ হাঃ ৯০৫} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
Reviews
There are no reviews yet.