Description
তাওহীদের মূল নীতিমালা
তাওহীদের মূল নীতিমালা
মুয়াত্তা মালিক ২৪১
আবু হুরাইরা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ রমাযানের তারাবীহর জন্য ওয়াজিব নামাযের মত নির্দেশ দান করিতেন না বটে, কিন্তু এটার জন্য অধিক উৎসাহ প্রদান করিতেন এবং ফরমাইতেন যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাব-এর {অর্থাৎ আল্লাহর উপর ঈমানসহ ও সওয়াবের আশায়} সাথে রমাযানের তারাবীহ আদায় করিবে তার বিগত সমুদয় {সগীরা} গুনাহ ক্ষমা করা হইবে। {বোখারি ২০০৮, মুসলিম ৭৫৯}
ইবন শিহাব {যুহরী} {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর ওফাতের পরও তারাবীহর অবস্থা এইরূপই ছিল। আবু বাকর সিদ্দীক {রাজি.}-এর খিলাফতকালে এবং উমার ইবন খাত্তাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-এর খিলাফতের প্রথম দিকে {তারাবীহর} অবস্থা অনুরূপই ছিল। এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ৪৩৩
আসমা বিনত আবু বাকর {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি নাবী সাঃআঃ-এর সহধর্মিণী আয়েশা {রাজি.}-এর কাছে গেলাম, তখন সূর্যগ্রহণ লেগেছে এবং লোকজন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। আয়েশা {রাজি.}-ও তখন নামাযে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন আমি প্রশ্ন করলাম লোকের কি হল? {উত্তরে} তিনি আসমানের দিকে ইশারা করলেন এবং سُبْحَانَ اللهِ বলিলেন। আমি বললাম এটা কি একটি নিদর্শন? তিনি শির দ্বারা ইঙ্গিতে বলিলেন, হ্যাঁ। আসমা বলেন, অতঃপর আমি দাঁড়ালাম এমন অবস্থায় যে, সংজ্ঞাহীনতা আমাকে আবৃত করে ফেলেছে এবং আমি মাথায় পানি ঢালতে শুরু করলাম। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ আল্লাহর সানা ও হামদ আদায় করলেন। তারপর বলিলেন, এমন কোন বস্তু নাই যা আমি এই মুহূর্তে এই স্থানে দেখিনি। এমন কি জান্নাত ও জাহান্নামও এখন দেখেছি। ওহী মারফত আমাকে জানানো হয়েছে তোমরা কবরে পরীক্ষার সম্মুখীন হইবে দাজ্জালের ফেতনার সদৃশ কিংবা উহার ফেতনার কাছাকাছি। {রাবীর এই বিষয়ে সন্দেহ হয়েছে} আসমা বলেন, তিনি কোনটি বলেছেন তা আমার স্মরণ নাই। তোমাদের একজনের কাছে ফেরেশতা আসবেন এবং তাকে বলা হইবে এই ব্যক্তি {অর্থাৎ রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ}-এর ব্যাপারে তোমার কি জানা আছে? অতঃপর মুমিন অথবা মুকিন {ইয়াকীনওয়ালা} {আসমা {রাজি.} বলেন} কোনটি বলেছেন সদৃশ বলেছেন, না কাছাকাছি বলেছেন তা আমার স্মরণ নাই ফেরেশতার {প্রশ্নের উত্তরে} বলবেন ইনি মুহাম্মদ সাঃআঃ। তিনি আমাদের কাছে হিদায়েত ও নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করেন, তখন আমরা তাঁর হিদায়েত ও নিদর্শনসমূহকে মেনে নিয়েছি এবং তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর পায়রবী করেছি। তখন তাহাকে বলা হইবে তুমি সৎলোক, তুমি ভালভাবে ঘুমাও। আমাদের জানা ছিল যে, তুমি ঈমানদার। আর মুনাফিক অথবা মুরতাব {সন্দেহ পোষণকারী} ব্যক্তি। আসমা {রাজি.} বলেন, কোনটি বলেছেন তা আমার স্মরণ নাই। সে বলবে আমি কিছু জানি না, লোকজনকে যা বলিতে শুনিয়াছি তাই বলেছি। {বোখারি ১৮৪, মুসলিম ৯০৫} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
তাওহীদের মূল নীতিমালা
Reviews
There are no reviews yet.