Description
তাবলীগ জামাত ও তাবলীগে দ্বীন
তাবলীগ জামাত ও তাবলীগে দ্বীন
রোযার রুগ্ন ব্যক্তির করণীয়
মুয়াত্তা মালিক ৬৫৭
ইয়াহইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি আহলে ইলম-এর কাছে যা শুনিয়াছি তা হচ্ছে এই পীড়িত ব্যক্তির যদি এমন রোগ হয় যাতে রোযা রাখা তার জন্য দুষ্কর এবং কষ্টদায়ক হয়, যখন রোগ এই স্তরে পৌঁছে তখন তার জন্য রোযা ইফতার {রাখিয়া ভাঙিয়া ফেলা বা শুরুতেই না রাখা} করা জায়েয আছে। তদ্রূপ পীড়িত ব্যক্তির যদি নামাযে দাঁড়াতে মুশকিল হয় অর্থাৎ পীড়ার কারণে তার ওযর {অপারগতা} সেই দরজায় পৌঁছায়, আল্লাহ্ তাআলা বান্দার ওযর সম্পর্কে বান্দা অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত। আবার কোন কোন রোগ সেই দরজার হয় না, যখন ওযর এই স্তরে পৌঁছে, তখন সে বসে নামাজ আদায় করিবে। আর আল্লাহর দ্বীন সহজ। তিনি মুসাফিরের জন্য সফরে রোযা ভাঙার অনুমতি দিয়েছেন। অথচ মুসাফির পীড়িত ব্যক্তির তুলনায় রোযা রাখতে অধিক সক্ষম।
আল্লাহ্ তাআলা কিতাবে বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রুগ্ন থাকে অথবা সফরে থাকে, সে অন্যদিন রোযা করিবে। আল্লাহ্ তাআলা {এই আয়াতে} মুসাফিরের জন্য সফরে রোযা না রাখার অনুমতি দিয়েছেন। অথচ সে রোযার উপর পীড়িতের তুলনায় অধিক শক্তিশালী। এই ব্যাপারে যা শুনিয়াছি তন্মধ্যে এটাই আমার কাছে পছন্দনীয়। আমাদের নিকট এটাই ঐকমত্যে গৃহীত। এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ৯৮৫
ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.} বলেন, মুমিনের সম্মান হল তার তাকওয়া ও পরহেযগারী অর্জনে, আর দ্বীন হল তাঁর শরাফত ও ভদ্রতা। ভদ্রতা ও চক্ষুলজ্জা হল তার চরিত্র। বাহাদুরী ও ভীরুতা উভয়ই হল জন্মগত গুণ। যেখানে ইচ্ছা করেন আল্লাহ্ এগুলোর একটি সেখানে রাখেন। ভীরু ও কাপুরুষ ব্যক্তি মাতাপিতাকে বিপদের মুখে ফেলে পালিয়ে যায় আর বাহাদুর ব্যক্তি এমন ব্যক্তির সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হয় যার সম্পর্কে সে জানে যে, এই ব্যক্তি তাকে আর বাড়ি ফিরে যেতে দিবে না {অর্থাৎ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও সে যুদ্ধে লিপ্ত হয়}। মৃত্যুর বিভিন্ন রূপের মধ্যে নিহত হওয়া একটি। শহীদ হল সেই ব্যক্তি, যে সন্তুষ্টচিত্তে নিজের প্রাণ আল্লাহর রাস্তায় সপে দেয়। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা মালিক ১২৪৫
মালিক {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তার কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গিয়েছে {সে ইদ্দত পালনরতা} সেই স্ত্রীলোক সম্পর্কে সালিম ইবন আবদিল্লাহ ও সুলায়মান ইবন ইয়াসার {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলিতেন : যদি চক্ষুর প্রতি কোন আশংকা দেখা দেয় চক্ষু উঠা বা অন্য কোন চক্ষুপীড়ার দরুন সে সুরমা লাগাবে এবং সুরমা অথবা অন্য কোন ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করিবে যদিও তাতে সুগন্ধ থাকে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : আবশ্যক হইলে উহা করিবে, কারণ আল্লাহর দ্বীন সহজ। এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
তাবলীগ জামাত ও তাবলীগে দ্বীন
Reviews
There are no reviews yet.