Description
পীরতন্ত্রের আজবলীলা
পীরতন্ত্রের আজবলীলা
মুয়াত্তা মালিক ৪২৮
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার {রাজি.}-কে সালাতুল খাওফ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ ঈমাম অগ্রসর হইবেন {স্বীয় স্থানে}, তাঁর সাথে থাকিবে লোকের একাংশ। তিনি তাদের এক রাকআত আদায় করাবেন। আর একদল লোক নিয়োজিত হইবে ঈমাম ও শত্র“দের মাঝখানে এবং সে দল তখন নামাজ আদায় করিবে না। যখন ঈমাম তাঁর সাথে যে দল আছে সে দলকে এক রাকআত আদায় করাবেন, তখন তারা পেছনে সরে যে দল নামাজ আদায় করেনি, সে দলের স্থানে চলে যাবে, তারা সালাম ফিরাইবে না। অতঃপর যারা নামাজ আদায় করেনি তারা এগিয়ে আসবে। ঈমাম তাদের সাথে এক রাকআত আদায় করিবেন। তৎপর ঈমাম দু রাকআত পূর্ণ পড়িয়াছেন বিধায় তিনি প্রত্যাবর্তন করিবেন। অতঃপর উভয় দলের প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে এক রাকআত আদায় করিবে ইমামের প্রত্যাবর্তন করার পর। এইভাবে উভয় দলের প্রত্যেকের দুই দুই রাকআত পড়া হইবে। আর যদি খাওফ বা ভীতি এর চাইতে প্রচণ্ড হয়, তবে যে যেভাবে সম্ভব নামাজ আদায় করে নিবে; চলমান অবস্থায় হোক বা দাঁড়িয়ে অথবা সওয়ারীর উপর হোক, কিবলামুখী হোক বা না হোক। {সহীহ্, বোখারি ৪৫৩৫}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলিলেন, নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেছেন, আমি মনে করি, আবদুল্লাহ {রাজি.} এটা {সালাতুল-খাওফের নিয়ম} রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ হইতে বর্ণনা করেন।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ৪২৯
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
খন্দকের দিন সূর্য অস্ত গিয়েছে অথচ রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ যোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেননি। {ঈমাম বোখারি অনুরূপ অর্থে ৭৪৫ নং হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, সালাতুল-খাওফ সম্পর্কে যা আমি শুনিয়াছি, তন্মধ্যে কাসিম ইবন মুহাম্মদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} কর্তৃক সালিহ ইবন খাওওয়াত {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত হাদীসটি আমার কাছে সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয়।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা মালিক ৫২৯
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার {রাজি.} যখন জানাযার নামাজ আদায় করিতেন, তখন {নামাযান্তে} পার্শ্ববর্তী লোকে শুনে এভাবে উচ্চৈঃস্বরে সালাম ফিরাতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়।
পীরতন্ত্রের আজবলীলা
Reviews
There are no reviews yet.