Description
বিতরের সঠিক রাকআত-সংখ্যা ও পদ্ধতি
বিতরের সঠিক রাকআত-সংখ্যা ও পদ্ধতি
সুনান আবু দাউদ ১৮৮২
উম্মু সালামাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর কাছে আমার অসুস্হতার কথা জানালে তিনি বলিলেন, তুমি সওয়ারীতে চড়ে লোকদের পেছনে থেকে তাওয়াফ করিবে। তিনি বলেন, আমি এরূপেই তাওয়াফ করি। আর যখন রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বায়তুল্লাহর এক পাশে সলাত আদায় করছিলেন এবং তিনি “ওয়াত-তূরি ওয়া কিতাবিম মাসতূর” সুরাটি পাঠ করছিলেন। (১৮৮২)এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ ১৯০৫
জাফর ইবন মুহাম্মাদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে তাহাঁর পিতার হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ {রাদি.} এর নিকট যাই। আমরা তার নিকটবর্তী হলে তিনি {অন্ধ হওয়ার কারণে} আগন্তুকদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন এবং এক পর্যায়ে আমার কাছাকাছি এলে আমি বলিলাম, আমি মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন হুসাইন ইবন আলী {রাদি.}। আমার কথা শুনে তিনি আমার মাথার দিকে হাত বাড়ান, আমার জামার উপরের ও নিচের বোতাম খুলে তার হাতের তালু আমার বুকের উপর রাখলেন। তখন আমি ছিলাম যুবক। তিনি বলিলেন, মারহাবা! মোবারক হোক তোমার আগমণ, স্বাগতম হে ভ্রাতুষ্পুত্র! যা ইচ্ছে জিজ্ঞেস করিতে পারো। এরপর আমি জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি ছিলেন অন্ধ। সলাতের সময় উপস্থিত হলে তিনি কাপড় পেঁচিয়ে নিজের জায়নামাযের উপর সলাতে দাঁড়ালেন। কিন্তু তার কাপড় ছোট হওয়ায় তিনি যখনই তা কাঁধের উপর রাখছিলেন তখনই এর দু পাশ তার দিকে ফিরে আসছিলো। তিনি আমাদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করিলেন, অথচ তার {বড়} চাদরটি আলনার উপর রক্ষিত ছিলো। আমি বলিলাম, আমাকে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর হাজ্জ সম্বন্ধে বলুন। তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে নয় সংখ্যাটির কথা বলিলেন, অতঃপর বলিলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} নয় বছর মদিনায় ছিলেন, এ সময় একবারও হাজ্জ করেননি। অতঃপর দশম বছরে লোকদের মধ্যে ঘোষণা করিলেন যে, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} হাজ্জ করবেন। ফলে অসংখ্য লোক মাদীনাহয় আসলো এবং প্রত্যেকেই চাইলো যে, তারা রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} অনুসরণ করিবে এবং তিনি যেসব কাজ করেন তারাও তাই করিবে। অতঃপর রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} রওয়ানা হলে আমরাও তাহাঁর সাথে রওয়ানা হই। যুল-হুলাইফা পর্যন্ত পৌঁছলে আসমা বিনতু উমাইস {রাদি.} মুহাম্মাদ ইবন আবু বাক্রকে প্রসব করেন। কাজেই তিনি রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} কাছে লোক মারফত জানতে চাইলেন, এখন আমার কি করণীয়? তিনি বলিলেনঃ তুমি গোসল করে {লজ্জাস্থানে} কাপড় বেঁধে ইহরাম বেঁধে নাও। এরপর রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} মাসজিদে সলাত আদায় করেন, অতঃপর উষ্ট্রী কাসওয়ার উপর চড়েন। উষ্ট্রীটি যখন আল-বায়দা উপত্যকায় দাঁড়ালো তখন জাবির {রাদি.} বলেন, তাহাঁর সম্মুখে আমার চোখের দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত দেখিতে পেলাম শুধু আরোহী ও পদাতিক জনসমুদ্র, তাহাঁর ডানে, বামে এবং পিছনে সর্বত্রই একই অবস্থা। এ সময় রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আমাদের মাঝে ছিলেন এবং তখন তাহাঁর ওপর আহকাম সম্বলিত কুরআনের আয়াত নাযিল হচ্ছিল আর তিনিই এর ব্যাখ্যা জানতেন। তিনি যা কিছু করিতেন আমরাও অনুরূপ করতাম। তারপর রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} মহান আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দিয়ে ইহরাম বেঁধে উচ্চস্বরে পড়লেন ঃ “লাব্বায়িক আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক। লা শারীকা লাকা লাব্বায়িক ইন্নাল- হামদা ওয়ান-নিমাতা লাকা ওয়াল-মুলক লা শারীকা লাকা”। তিনি যেভাবে ইহরাম বেঁধে তালবিয়া পড়েছেন, লোকেরাও সেভাবে ইহরাম বেঁধে তালবিয়া পড়লো। তাহাদের কোনো কাজকে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} অস্বীকৃতি দেননি। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রাখলেন।
বিতরের সঠিক রাকআত-সংখ্যা ও পদ্ধতি
Reviews
There are no reviews yet.