Description
বিদআতী ইমামের পিছনে সলাত আদায়ের বিধান
বিদআতী ইমামের পিছনে সলাত আদায়ের বিধান
সুনান আবু দাউদ ১৮০৫
আবদুল্লাহ ইবন উমার {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বিদায় হাজ্জে হাজ্জ ও উমরাহ একত্রে সম্পন্ন করে তামাত্তু হাজ্জ করেছেন। তিনি যুল-হুলাইফাহ থেকে কুরবানীর পশু সাথে নিয়ে যান। সকলকে তামাত্তু করার নির্দেশ দেয়ার পর রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} প্রথমে উমরাহ্র জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হাজ্জের জন্য তালবিয়া পড়েন {ইহরাম বাঁধেন}। তাহাঁর সাথে লোকজনও হাজ্জের সাথে উমরাহ্র নিয়্যাত করে তামাত্তু করলো। কেউ কেউ সাথে কুরবানীর পশু এনেছিলো আবার কেউ কেউ আনেনি। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} মক্কায় পৌঁছে লোকদেরকে বলিলেনঃ যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছো, তাহাদের জন্য হাজ্জ আদায় না করা পর্যন্ত {ইহরাম অবস্থায়} নিষিদ্ধকৃত কাজ বৈধ নয়। আর তোমাদের যারা সাথে করে কুরবানীর পশু আনোনি, তারা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সাঈ করে, চুল খাট করে, ইহরাম খুলে ফেলবে এবং হাজ্জের জন্য {নতুন করে} ইহরাম বাঁধবে, অতঃপর কুরবানী করিবে। কিন্তু যারা কুরবানী দিতে অক্ষম তারা হাজ্জের মওসুমে তিনটি সওম এবং বাড়িতে ফিরে সাতটি সওম {মোট দশটি সওম} পালন করিবে। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} মক্কায় পৌঁছে প্রথমে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিলেন, তারপর হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করিলেন। তিনি তাওয়াফের সাত চক্করের প্রথম তিন চক্কর দ্রুত পায়ে চললেন এবং অবশিষ্ট চার চক্করে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটলেন। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ শেষ করে তিনি মাকামে ইবরাহীমের পাশে দুই রাকআত সলাত আদায় করিলেন, সলাতের সালাম ফিরিয়ে উঠে সাফা পাহাড়ে গিয়ে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করিলেন। অতঃপর হাজ্জ সমাপণ করে কুরবানীর দিন {দশম তারিখে} কুরবানী করা পর্যন্ত তিনি ইহরাম অবস্থায় থাকলেন। অতঃপর ফিরে এসে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিলেন এবং ইহরাম খুলে যেসব জিনিস এ সময় নিষিদ্ধ ছিলো তা হালাল করিলেন। আর যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছিলো তারা ও রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে অনুসরণ করলো। (১৮০৫) সহিহ ঃ কিন্তু তার এ কথাটি শায ঃ “রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} প্রথমে উমরাহ্র জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হাজ্জের জন্য তালবিয়া পড়েন।”এই হাদিসটির তাহকীকঃ অন্যান্য
সুনান আবু দাউদ ১৮৮১
ইবন আববাস {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} অসুস্হ অবস্হায় মক্কায় আসেন। এ সময় তিনি তাহাঁর সাওয়ারীতে চড়ে তাওয়াফ করেন। তিনি রুকনের নিকট আসলে লাঠির সাহায্যে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করিতেন। তাওয়াফ শেষ করার পর তিনি উটকে বসিয়ে দেন এবং দুই রাকাআত সলাত আদায় করেন। (১৮৮১)(১৮৮১) আহমাদ। আহমাদ শাকির বলেন ঃ এর সনদ সহিহ। কিন্তু সনদের ইয়াযীদ সম্পর্কে ঈমাম বা্য়হাক্বী বলেন ঃ “তার দলিল গ্রহনযোগ্য নয়। ইবন তার স্মরনশক্তি মন্দ। হাদিসে ( আরবি) কথাটি মুনকার।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
বিদআতী ইমামের পিছনে সলাত আদায়ের বিধান
Reviews
There are no reviews yet.