Description
সহীহ মুসলিম ২য় খন্ড
সহীহ মুসলিম ২য় খন্ড তাহারাত পর্বের হাদিস
৫. অধ্যায়ঃ
পাঁচ নামায, এক জুমুআহ্ থেকে আরেক জুমুআহ্ পর্যন্ত ; এক রমাযান থেকে অপর রমাযান পর্যন্ত তাদের মধ্যবর্তী সময়ের যন্যে কাফফারাহ্ হয়ে যাবে, যতক্ষণ পর্যন্ত কাবীরাহ গুনাহ থেকে বিরত থাকিবে
৪৩৮
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায এবং এক জুমুআহ থেকে অন্য জুমুআহ এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের সব গুনাহের যন্য কাফফারাহ হয়ে যায় যদি সে কবীরাহ্ গুনাহইতে লিপ্ত না হয়। [ইসলামিক ফা:- ৪৪১, ইসলামিক সে.- ৪৫৭]
৪৩৯
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায এবং এক জুমুআহ্ থেকে আরেক জুমুআহ্ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের যন্য কাফফারাহ্ স্বরূপ। [ইসলামিক ফা:- ৪৪২, ইসলামিক সে.- ৪৫৮]
৪৪০
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমুআহ্ থেকে আরেক জুমুআহ্ এবং এক রমাযান থেকে আরেক রমাযান, তার মধ্যবর্তী সময়ের যন্য কাফফারাহ্ হয়ে যাবে যদি কবীরাহ্ গুনাহ হইতে বেঁচে থাকে। [ইসলামিক ফা:- ৪৪৩, ইসলামিক সে.- ৪৫৯]
৬. অধ্যায়ঃ
ওযূর শেষে মুস্তাহাব দুআ
৪৪১
উকবাহ্ ইবন আমির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমার ওপর উট চড়ানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। তারপর রসূল [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তাহার এ কথা শুনতে পেলাম, “যে মুসলিম সুন্দরভাবে ওযু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে আল্লাহ্র প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু রাকআত নামায আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। উকবাহ্ বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলামঃ বাহ! হা্দীসটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একযন বলিতে লাগলেন, আগের কথাটি আরও উত্তম। আমি সেদিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি ওমর। তিনি আমাকে বলিলেন, তোমাকে দেখেছি, এ মাত্র এসেছো। রসূল [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর আগে বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযু করে এ দুআ পড়বে- “আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রসূলুহূ”। তার যন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে। [ইসলামিক ফা:- ৪৪৪, ইসলামিক সে.- ৪৬০]
৪৪২
উকবাহ্ ইবন আমির আল জুহানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] থেকে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এ বর্ণনায় বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওযু করে পাঠ করিবে- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি এক, তাহার কোন শারীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আঃ] তাহার বান্দা ও রসূল। [ইসলামিক ফা:- ৪৪৫, ইসলামিক সে.- ৪৬১]
৭. অধ্যায়ঃ
নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর ওযু সম্পর্কে
৪৪৩
আবদুল্লা ইবন যায়দ ইবন আসিম আল আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
যিনি রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর সাহচর্য লাভ করেছিলেন। রাবী বলেন, তাঁকে বলা হলো যে, রসূল [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর ওযু [কেমন ছিল] আমাদেরকে দেখিয়ে দিন। তখন তিনি পানির পাত্র আনালেন। তারপর তা থেকে দুহাতের ওপর পানি ঢেলে উভয় হাত তিনবার ধুলেন। তারপর পাত্রে হাত ঢুকিয়ে পানি বের করে এক আযলা পানি দ্বারা কুলি করিলেন ও নাকে পানি দিলেন। এরূপ তিনবার করিলেন। পুনরায় পানিতে হাত ঢুকিয়ে পানি নিয়ে তিনবার মুখমণ্ডল ধুলেন। আবার হাত ঢুকিয়ে পানি বের করে দুহাত কনুই পর্যন্ত দুবার করে ধুলেন। তারপর হাত ঢুকিয়ে পানি বের করে মাথার সামনে ও পিছনে দুহাত দিয়ে মাসাহ্ করিলেন- তারপর, উভয় পা গিরা পর্যন্ত ধুলেন, এরপর বললেনঃ এরূপ ছিল রসূল [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর ওযু। [ইসলামিক ফা:- ৪৪৬, ইসলামিক সে.- ৪৬২]
৪৪৪
কাসিম ইবন যাকারিইয়্যা, খালিদ ইবন মাখলাদ, সুলাইমান ইবন বিলাল, আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তবে তিনি “উভয় পায়ের গিরা পর্যন্ত” ধুয়েছেন এ কথাটি উল্লেখ করেননি। [ইসলামিক ফা:- ৪৪৭, ইসলামিক সে.- ৪৬৩]
৪৪৫
আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
উক্ত সনদ দ্বারা এভাবেও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি তিনবার কুলি করিলেন এবং নাকে পানি ঢেলে ঝাড়লেন, এক হাতে পানি নিয়ে করিয়াছেন এ কথাটি তিনি বলেননি। অবশ্য এ বাক্যটির পরে নিম্নের বাক্যগুলো বর্ধিত করিয়াছেন; মাথা মাসাহ্ করার সময় হাত দুখানা মাথার সম্মুখভাগে রাখলেন এবং পরে তা টেনে মাথার পেছনভাগে নিয়ে গেলেন। অতঃপর আবার পূর্বের জায়গায় অর্থাৎ যেখান থেকে আরম্ভ করেছিলেন সেখানে নিয়ে আসলেন এবং পরে পা দুখানা ধুলেন। [ইসলামিক ফা:- ৪৪৮, ইসলামিক সে.- ৪৬৪]
৪৪৬
আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
উহায়ব [রাহিমাহুল্লাহ] বর্ণনা করিয়াছেন যে, আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া [রাঃআঃ] থেকে পূর্ব বর্ণিত সানাদের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এ হাদীসে রাবী বলেন যে, তিনি তিন আঁযলা পানি দ্বারা কুলি করিয়াছেন এবং নাকে পানি দিয়ে নাক ঝেড়েছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, তিনি একবার মাত্র মাসাহ্ করিয়াছেন তবে হাতগুলো মাথার সম্মুখের দিক থেকে পেছনে টেনে নিয়েছেন। বাহয বলেছেন, উহায়ব এ হাদীসটি আমাকে লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন আর উহায়ব বলেছেনঃ এ হাদীসটি আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া আমাকে দুবার লিখিয়েছেন। [ইসলামিক ফা:- ৪৪৯, ইসলামিক সে.- ৪৬৫]
৪৪৭
আবদুল্লা ইবন যায়দ ইবন আসিম আল মাযানী হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে এভাবে ওযু করিতে দেখেছেন যে, রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কুলি করিলেন, নাকে পানি দিয়ে ঝাড়লেন, অতঃপর মুখমণ্ডল তিনবার ধুলেন। ডান হাত এবং বাম হাত খানাও তিনবার ধুলেন। এরপর হাতের অবশিষ্ট পানি ছাড়া নতুন পানি দিয়ে মাথা মাসাহ্ করিলেন। অতঃপর পা দুখানা খুব ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করিলেন। আবু তাহির বলেনঃ ইবন ওয়াহ্ব, আম্র ইবন হারিস-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আমাদের নিকট এ হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৪৫০, ইসলামিক সে.- ৪৬৬]
৮. অধ্যায়ঃ
নাক ঝাড়া ও ঢিলা ব্যবহারে বেজোড় সংখ্যা প্রসঙ্গে
৪৪৮
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ঢিলা ব্যবহার করে, তখন যেন বেজোড় সংখ্যা ব্যবহার করে। আর তোমরা কেউ যখন ওযু করে তখন যেন নাকের ভেতর পানি প্রবেশ করায় এবং নাক ঝেড়ে সাফ করে। [ইসলামিক ফা:- ৪৫১, ইসলামিক সে.- ৪৬৭]
৪৪৯
হাম্মাম ইবন মুনাব্বিহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
এগুলো আবু হুরায়রা্[রাঃআঃ] আমাদের কাছে মুহাম্মাদুর রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। এরপর তিনি কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করেন। তন্মধ্যে এও ছিল যে, রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেন, তোমরা যখন ওযু করিবে তখন উভয় নাকের ছিদ্রে পানি টেনে নিবে, এরপর ঝেড়ে ফেলবে। [ইসলামিক ফা:- ৪৫২, ইসলামিক সে.- ৪৬৮]
৪৫০
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ যে ওযু করিবে, সে যেন নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়ে, আর যে ঢিলা ব্যবহার করিবে, সে যেন বেজোড় সংখ্যক ব্যবহার করে। [ই.ফা ৪৫৩, ইসলামিক সে.- ৪৬৯]
৪৫১
আবু হোরাইরা ও আবু সাইদ আল খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ অবশিষ্টাংশ অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৪৫৪, ইসলামিক সে.- ৪৭০]
৪৫২
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠবে সে যেন নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কেননা, শাইতান তার নাকের ভেতর রাত্রি যাপন করে। [ইসলামিক ফা:- ৪৫৫, ইসলামিক সে.- ৪৭১]
৪৫৩
জাবির ইবন আবদুল্লা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন ঢিলা ব্যবহার করিবে তখন বেজোড় সংখ্যা নিবে। [ইসলামিক ফা:- ৪৫৬, ইসলামিক সে.- ৪৭২]
৯. অধ্যায়ঃ
উভয় পা পুরোপুরি ধোয়ার আবশ্যকতা
৪৫৪
সালিম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস-এর ইন্তেকালের দিন নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ]- এর স্ত্রী আয়েশা[রাঃআঃ]- এর কাছে উপস্থিত হই। সে সময় আব্দুর রহমান ইবন আবু বাকরও এলেন এবং আয়েশা[রাঃআঃ]- এর সামনে ওযু করিতে লাগলেন। তখন আয়েশা[রাঃআঃ] বললেনঃ হে আব্দুর রহমান! পূর্ণভাবে ওযু কর। কেননা আমি রসূল [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে এ কথা বলিতে শুনেছি যে, পায়ের ঐ গোড়ালিগুলোর যন্য আগুনের শাস্তি রয়েছে [যেগুলো শুকনো থাকে]। [ইসলামিক ফা:- ৪৫৭, ইসলামিক সে.- ৪৭৩]
৪৫৫
হারমালাহ্ ইবন ইয়াহ্ইয়া, ইবন ওয়াহ্ব, হাইওয়াহ্ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান-এর মাধ্যমে শাদ্দাদ ইবনল হাদ-এর আযাদকৃত গোলাম আবু আবদুল্লা হইতে বর্ণীত আছেঃ
একদিন তিনি আয়েশা[রাঃআঃ]-এর নিকট গেলেন। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি আয়েশা[রাঃআঃ]- এর উদ্ধৃতি দিয়ে নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] থেকে পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিলেন। [ইসলামিক ফা:- ৪৫৮, ইসলামিক সে.- ৪৭৪]
৪৫৬
সালিম মাওলা আল মাহরী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি ও আব্দুর রহমান ইবন আবু বাকর [রাঃআঃ] সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস এর জানাযার উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমরা আয়েশা[রাঃআঃ]-এর ঘরের দরজার সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি [সালিম] আয়েশা[রাঃআঃ]-এর সূত্রে নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] হইতে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন। [ইসলামিক ফা:- ৪৫৯, ইসলামিক ফা:- ৪৭৫]
৪৫৭
শাদ্দাদ ইবন হাদ [রাহিমাহুল্লাহ]-এর আযাদকৃত গোলাম সালিম হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেছেনঃ একদা আমি আয়েশা[রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। অতঃপর তিনি আয়েশা[রাঃআঃ]-এর উদ্ধৃতি দিয়ে নাবী[সাল্লাল্লাহু আঃ] থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। [ইসলামিক ফা:- ৪৬০, ইসলামিক সে.- ৪৭৬]
৪৫৮
আব্দুল্লাহ ইবন আম্র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, এক সময় আমরা রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর সঙ্গে মক্কা থেকে মাদীনায় ফিরে আসছিলাম। পথিমধ্যে আমরা যখন এক জায়গায় পানির কাছে পৌঁছলাম, তখন কিছু সংখ্যক লোক আস্রের সালাতের সময় তাড়াহুড়া করিল। এরা ওযুও করিল তাড়াহুড়া করে। আমরা যখন তাদের কাছে পৌছলাম, তখন তাদের পায়ের গোড়ালিসমূহ এমনভাবে প্রকাশ পাচ্ছে যে, তাতে পানি পৌঁছেনি। এ দেখে রাসুলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] বলিলেন, ওযু করার সময় পায়ের গোড়ালি যে সব স্থানে পানি পৌঁছেনি সেগুলোর যন্য জাহান্নাম। তাই তোমরা ভালভাবে ওযু করো। [ইসলামিক ফা:- ৪৬১, ইসলামিক সে.- ৪৭৭]
৪৫৯
আবু বক্র ইবন আবু শাইবাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] সুফ্ইয়ান-এর সূত্রে এবং ইবন আল মুসান্না ও ইবন বাশ্শার শুবাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ]-এর সূত্রে উভয়ে হইতে বর্ণীত আছেঃ
উক্ত সানাদে মানসূর থেকে বর্ণনা করেন তবে শুবাহ্ বর্ণিত হাদীসে “পরিপূর্ণভাবে ওযূ করো” কথাটি নেই। এ হাদীসের সানাদে “আবু ইয়াহ্ইয়া” শব্দের সাথে “আল আরায” যুক্ত আছে। [ইসলামিক ফা:- ৪৬২, ইসলামিক সে.- ৪৭৮]
৪৬০
আবদুল্লা ইবন আম্র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
কোন এক সফরে নাবী[সাল্লাল্লাহু আঃ] আমাদের পিছনে পড়ে যান। অবশেষে তিনি আমাদের পেলেন যখন আস্রের সময় উপস্থিত এবং আমরা ওযূ করিতে গিয়ে পা মাসাহ করছি। তখন তিনি ঘোষণা দিলেন, ধ্বংস ঐ গোড়ালিগুলোর যন্যে, যে সব স্থানে পানি পৌঁছেনি; যেগুলোর ঠিকানা জাহান্নাম। [ইসলামিক ফা:- ৪৬৩, ইসলামিক সে.- ৪৭৯]
৪৬১
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসুলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে তার গোড়ালি ধোয়নি। তখন তিনি বলিলেন, ধ্বংস ঐ গোড়ালিগুলোর যন্য, যে সব স্থানে পানি পৌঁছেনি; যেগুলোর ঠিকানা জাহান্নাম। [ইসলামিক ফা:- ৪৬৪, ইসলামিক সে.- ৪৮০]
৪৬২
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি কয়েকযন লোককে দেখলেন, তারা পাত্র থেকে পানি নিয়ে ওযূ করছে। তখন তিনি বললেনঃ পরিপূর্ণরূপে ওযূ করো। কারণ, আমি আবুল কাসিম [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ ধ্বংস ঐ গোড়ালিগুলোর যন্যে, যে সব স্থানে পানি পৌঁছেনি; যেগুলোর ঠিকানা হইবে জাহান্নাম। [ইসলামিক ফা:- ৪৬৫, ইসলামিক সে.- ৪৮১]
৪৬৩
আবু হোরাইরা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ ধ্বংস ঐ গোড়ালিগুলোর যন্যে, যে সব স্থানে পানি পৌঁছেনি; যেগুলোর ঠিকানা হইবে জাহান্নাম। [ইসলামিক ফা:- ৪৬৬, ইসলামিক সে.- ৪৮২]
Reviews
There are no reviews yet.