Description
মুসলিম শরীফ ৬ ষষ্ঠ খণ্ড
তাহারাত পর্বের হাদিস
২৪. অধ্যায়ঃ
মোজার উপর মাসাহ করার সময় সীমা
৫২৬
শুরায়হ ইবন হানী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশা [রাঃআঃ] এর কাছে আসলাম, মোজার উপর মাসাহ করার মাসআলাহ জিজ্ঞেস করিতে। তিনি বলিলেন, আবু তালিবের পুত্র {আলী [রাঃআঃ]} এর কাছে গিয়ে এ মাসআলাহ জিজ্ঞেস কর। কারণ সে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে সফর করত। অতঃপর আমরা তাঁকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলিলেন; রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সফরকারীর যন্যে তিন দিন তিন রাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং বাড়ীতে অবস্থানকারীদের যন্যে এক দিন এক রাত। এ হাদীসের সুফইয়ান সাওরী [রাহিমাহুল্লাহ] যখন তাহার উস্তায আমর-এর উল্লেখ করিতেন তখন তাহার প্রশংসা করিতেন। [ইসলামিক ফা:- ৫৩০, ইসলামিক সে.- ৫৪৬]
৫২৭
হাকাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
একই সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণিত আছে।[ইসলামিক ফা:- ৫৩১, ইসলামিক সে.- ৫৪৭]
৫২৮
শুরায়হ ইবন হানী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশাহ[রাঃআঃ]-কে মোজার উপর মাসাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলিলেন, আলীর কাছে যাও। কারণ এ ব্যাপারে সে আমার চেয়ে বেশি জানে। আমি আলী [রাঃআঃ]-এর কাছে এলাম। তিনি রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে অনুরূপ উল্লেখ করিলেন। [ইসলামিক ফা:- ৫৩২. ইসলামিক সে.- ৫৪৮]
২৫. অধ্যায়ঃ
এক ওযুতে সব নামায আদায় করা জায়িয হবার বিবরণ
৫২৯
মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] সুলাইমান ইবন বুরাইদাহ তার পিতা বুরাইদাহ হইতে বর্ণীত আছেঃ
মাক্কাহ্ বিযয়ের দিন নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] একই ওযূর দ্বারা কয়েক ওয়াক্ত নামায পড়েছেন এবং মোজার উপর মাসাহ করিয়াছেন। তা দেখে ওমর বলিলেন, আপনি আয এমন কিছু করিলেন যা কখনো করেননি। যবাবে নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃহে ওমর! আমি ইচ্ছা করেই এরূপ করেছি। [ইসলামিক ফা:- ৫৩৩, ইসলামিক সে.- ৫৪৯]
২৬. অধ্যায়ঃ
যার হাতে নাপাকীর সন্দেহ রয়েছে তার যন্যে তিনবার হাত ধোয়ার পূর্বে পাত্রের মধ্যে হাত ডুবিয়ে দেয়া মাকরূহ্
৫৩০
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠবে তখন সে যেন তিনবার হাত না ধোয়া পর্যন্ত পাত্রে না ঢুকায়। কারণ সে জানেনা যে, তার হাত রাতে কোথায় ছিল। [ইসলামিক ফা:- ৫৩৪, ইসলামিক সে.- ৫৫০]
৫৩১
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেন: আর ওয়াকী কর্তৃক হাদীসটি [নাবী[সাল্লাল্লাহু আঃ] পর্যন্ত} বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফা:- ৫৩৫, ইসলামিক সে.- ৫৫১]
৫৩২
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
অবিকল বর্ণিত আছে। [ইসলামিক ফা:- ৫৩৬, ইসলামিক সে.- ৫৫২]
৫৩৩
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলূল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, যখন তোমাদের কেউ জাগ্রত হইবে তখন সে তার হাত পাত্রে ঢুকাবার পূর্বে যেন তা তিনবার ধুয়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে, তার হাত রাতে কোথায় ছিল। [ইসলামিক ফা:- ৫৩৭, ইসলামিক সে.- ৫৫৩]
৫৩৪
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
আবদুর রহমান ইবন যায়দ-এর আযাদকৃত গোলাম সাবিত হইতে বর্ণীত। প্রত্যেকের বর্ণনাতেই … “হাত না ধোয়া পর্যন্ত” রয়েছে। এসব বর্ণনাতে কেউ-ই তিনবারের কথা উল্লেখ করেননি। তবে আমরা ইতোপূর্বে জাবির ইবন মুসাইয়্যিব [রাহিমাহুল্লাহ], আবু সালামাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ]. আবদুল্লাহ্ ইবন শাকীক [রাহিমাহুল্লাহ], আবু সালিহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] ও আবু রাযীন [রাহিমাহুল্লাহ] কর্তৃক বর্ণিত যে, হাদীস উল্লেখ করেছি, তাতে তারা সবাই তিনবারের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৫৩৮, ইসলামিক সে.- ৫৫৪]
২৭. অধ্যায়ঃ
কুকুরের পানীয় পাত্র সম্পর্কে বিধান
৫৩৫
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলূল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুরে মুখ দিবে তখন সে যেন পাত্রের বস্তু ফেলে দেয়। তারপর পাত্রটি সাতবার ধুয়ে ফেলে। [ইসলামিক ফা:- ৫৩৯, ইসলামিক সে.- ৫৫৫]
৫৩৬
আমাশ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
এ সূত্রে অবিকল বর্ণিত আছে; তবে পাত্রের বস্তু ফেলার কথাটি উল্লেখ করেননি। [ইসলামিক ফা:- ৫৪০, ইসলামিক সে.- ৫৫৬]
৫৩৭
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্র থেকে যখন কুকুরে পান করিবে তখন সে যেন তা সাতবার ধুয়ে ফেলে। [ইসলামিক ফা:- ৫৪১, ইসলামিক সে.- ৫৫৭]
৫৩৮
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুরে মুখ লাগিয়ে পান করিবে তখন [সে পাত্র পবিত্র করার পদ্ধতি হল] সাত বার তা ধুয়ে ফেলা। তবে প্রথমবার মাটি দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করিতে হইবে। [ইসলামিক ফা:- ৫৪২, ইসলামিক সে.- ৫৫৮]
৫৩৯
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুরে মুখ লাগিয়ে পান করিবে, তখন [সে পাত্র পবিত্র করার নিয়ম হল], সাত বার ধুয়ে ফেলা। [ইসলামিক ফা:- ৫৪৩, ইসলামিক সে.- ৫৫৯]
৫৪০
ইবনল মুগাফফাল [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কুকুর হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে বলিলেন, তাদের কি হয়েছে যে, তারা কুকুরের পিছনে পড়লো? তারপর শিকারী কুকুর এবং বকরীর [পাহারা দেয়ার] কুকুর পোষার অনুমতি দেন এবং বলেন যে, যখন তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ লাগিয়ে পান করিবে তখন সাতবার ধুয়ে ফেলবে এবং অষ্টমবার মাটি দিয়ে মেজে ফেলবে। [ইসলামিক ফা:- ৫৪৪, ইসলামিক সে.- ৫৬০]
৫৪১
শুবাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ
উক্ত সানাদে অবিকল বর্ণিত আছে। তবে ইয়াহ্ইয়া ইবন সাইদ-এর বর্ণনায় একটু অতিরিক্ত আছে। তা হল, “তিনি বকরী পাহারা দেয়ার, শিকার করার এবং চাষাবাদ করার কুকুর রাখার অনুমতি দিয়েছেন।” ইয়াহ্ইয়া ছাড়া আর কারো বর্ণনায় চাষাবাদের কথা উল্লেখ নেই। [ইসলামিক ফা:- ৫৪৫, ইসলামিক সে.- ৫৬১]
২৮. অধ্যায়ঃ
স্থির পানিতে প্রস্রাব করা নিষেধ করা
৫৪২
জাবির [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] যমা পানিতে প্রস্রাব করিতে নিষেধ করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৫৪৬, ইসলামিক সে.- ৫৬২]
৫৪৩
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তোমাদের কেউ যেন যমা পানিতে প্রস্রাব করে তা দিয়ে যেন গোসল না করে। [ইসলামিক ফা:- ৫৪৭, ইসলামিক সে.- ৫৬৩]
৫৪৪
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তুমি এমনটি করো না যে, চলন্ত নয় এমন যমা পানিতে প্রস্রাব করিবে তারপর আবার তা থেকে গোসল করিবে। [ইসলামিক ফা:- ৫৪৮, ইসলামিক সে.- ৫৬৪]
২৯. অধ্যায়ঃ
[নাপাক অবস্থায়] যমা পানিতে গোসল করা নিষেধ
৫৪৫
আবু হোরাইরা [রা.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেন: তোমাদের কেউ নাপাক অবস্থায় যেন যমা পানিতে গোসল না করে। তখন আবু সায়িব জিজ্ঞেস করিলেন, হে আবু হুরায়রা্! তাহলে সে কিভাবে গোসল করিবে? যবাবে আবু হুরায়রা্ [রাঃআঃ] বলেন, পানি উঠিয়ে নিয়ে গোসল করিবে। [ইসলামিক ফা:- ৫৪৯, ইসলামিক সে.- ৫৬৫]
Reviews
There are no reviews yet.