Description
সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর
সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর বই
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১৪৬
ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ দুটি কাঠ তৈরী করাবার ইচ্ছা করেছিলেন, যেন একটির দ্বারা অপরটির উপর আঘাত করে ধ্বনি সৃষ্টি করে মানুষকে নামাযের জামাতের উদ্দেশ্যে একত্র করা যায়। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবন যায়দ আনসারী এবং বনি হারিস ইবন খাযরাযী {রাজি.} স্বপ্নে দুটি কাঠ দেখিতে পেয়ে বলিলেন, এ দুটি অনুরূপ কাঠই যেরূপ কাঠ রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তৈরী করিতে চেয়েছেন। তারপর তাহাকে বলা হলো, তোমরা নামাযের জন্য আযান দাও না কেন? ঘুম হইতে জাগার পর তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা আরয করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ আযানের জন্য হুকুম দিলেন। {হাসান, আবু দাঊদ ৪৯৯, তিরমিজী ১৮৯, ইবন মাজাহ ৭০৬, আল্লামা আলবানী {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} ইরওয়া ২৪৬ গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, আর ঈমাম মালেক কর্তৃক হাদীসটি মুরসাল}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১৪৭
আবু সাঈদ খুদরী {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, যখন তোমরা আযান শোন তখন মুয়াযযিনের অনুরূপ তোমরাও বল। {বোখারি ৬১১, মুসলিম ৩৮৩}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১৪৮
আবু হুরাইরা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, মানুষ যদি জানত আযান ও প্রথম কাতারে কী {বরকত ও মঙ্গল} রয়েছে, তবে তা পাবার জন্য লটারী ছাড়া উপায় না থাকলে তারা এর জন্য লটারী করত। আর যদি তারা জানত দ্বিপ্রহরের নামাযে {যোহর ও জুমআয়} প্রথম সময়ে জাওয়াতে কী রয়েছে তবে তার দিকে দ্রুত গতিতে ধাবিত হত। আর তাঁরা যদি জানত ইশা ও ফজরের নামাযে কী রয়েছে তা হলে উভয় নামাযের জন্য অবশ্যই আসত, এমনকি হামাগুড়ি দিয়েও। {বোখারি ৬১৫, ৬৫৪, মুসলিম ৪৩৭}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১৪৯
আবু হুরাইরা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, যখন নামাযের ইকামত বলা হয় তখন তাড়া-হুড়া না করে ধীরে সুস্থে আসবে। অতঃপর জামাতের সাথে যতখানি পাবে তা আদায় করে অবশিষ্ট নামাজ নিজে নিজে পুরণ করিবে। কেননা তোমাদের কেউ নামাযের উদ্দেশ্যে বের হলে তাকে নামাযে গণ্য করা হয়। {বোখারি ৬৩৬, মুসলিম ৬০২}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১৫০
আবদুর রহমান ইবন আবি সাসাআ আনসারী মাযনী {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবু সাঈদ খুদরী {রাজি.} তাহাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি দেখিতেছি তুমি মাঠ ও বকরীকে ভালবাস। তুমি যখন তোমার বকরীর সঙ্গে থাক অথবা মাঠে থাক এবং নামাযের জন্য আযান দাও তবে তার স্বরে আযান দিও। কারণ আযানের স্বর মানুষ, জিন এবং অন্য যে কেউ শুনতে পায়, সে মুয়াযযিনের জন্য কিয়ামত দিবসে সাক্ষ্য দেবে।
আবু সাঈদ {রাজি.} বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে অনুরূপ শুনিয়াছি। {বোখারি ৬০৯, এবং ৩২৯৬}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
৪২১
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি আবু হুরায়রা {রাজি.}-এর সাথে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে উপস্থিত হয়েছি। তিনি কিরাআতের পূর্বে প্রথম রাকআতে সাতটি তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকআতে পাঁচটি তাকবীর বলেছেন। {সহীহ মারফু, ঈমাম আবু দাঊদ আয়েশা {রাজি.} থেকে বর্ণনা করেন আবু দাঊদ {১১৪৯}, আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন ইরওয়া ৬৩৯}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আমাদের কাছে এটাই হুকুম।
ইয়াহইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেছেন, তাঁর মতে যে ব্যক্তি ঈদের দিন লোকজনকে নামাজ আদায় করে ফিরবার কালে পায়, সে ব্যক্তির জন্য ঈদগাহ অথবা স্বগৃহে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রয়োজন নেই। আর যদি সে ঈদগাহে বা নিজ ঘরে ঈদের নামাজ আদায় করে তাতেও কোন আপত্তি নাই। সে প্রথম রাকআতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকআতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর পাঠ করিবে।
সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর
Reviews
There are no reviews yet.