Select Page

হে আমার মেয়ে

৳ 5.00

Description

হে আমার মেয়ে

হে আমার মেয়ে
হাজ্জের মধ্যে শর্ত যোগ করা প্রসঙ্গে
সুনান আবু দাউদ ১৭৭৬
ইবন আব্বাস {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
একদা যুবাইর ইবন আবদুল মুত্তালিবের মেয়ে- দবাআহ {রাদি.} রাসূলুল্লাহ্র {সাল্লাল্লাহু আঃ} কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হাজ্জের ইচ্ছা করেছি। এতে কোন শর্ত করিতে পারব কি? তিনি বলিলেনঃ হাঁ। দবাআহ বলেন, তা কিভাবে? তিনি বলেনঃ তুমি বলো ঃ আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত, পথে যেখানেই তুমি আমাকে আটক করিবে সেটাই আমার ইহরাম ভঙ্গের স্থান। (১৭৭৬) এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহিহ
সুনান আবু দাউদ ১৮৪১
নুবাইহ্ ইবন ওয়াহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
উমার ইবন উবাইদুল্লাহ এক ব্যক্তিকে আবান ইবন উসমানের নিকট প্রেরণ করিলেন এটা জিজ্ঞেস করার জন্য যে, আমি {আমার পুত্র} ত্বালহা ইবন উমারকে শাইবাহ ইবন জুবাইরের মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়ার ইচ্ছা করেছি। তখন আবান ছিলেন আমীরুল হাজ্জ এবং তারা উভয়েই মুহরিম ছিলেন। আমরা আশা করি আপনি এ অনুষ্ঠানে উপস্হিত থাকিবেন। আবান উমারের এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বলিলেন, আমি আমার পিতা উসমান ইবন আফফান {রাদি.}-কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিয়াছেনঃ মুহরিম ব্যক্তি ইহরাম অবস্হায় বিয়ে করিতে পারবে না এবং কাউকে বিয়ে করাতেও পারবে না। (১৮৪১) এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ ২০৬১
নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর স্ত্রী আয়িশাহ ও উম্মু সালামাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
আবু হুযাইফাহ ইবন উতবাহ ইবন রাবীআহ ইবন আবদি শাম্স সালিমকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করে তার সাথে স্বীয় ভাতিজী ওয়ালীদ ইবন উতবাহ ইবন রাবীআহ্র মেয়ে হিন্দাকে বিয়ে দেন। সালিম এক আনসারী মহিলার ক্রীতদাস ছিলো। যেমন রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} যায়িদকে পালক পুত্র হিসাবে লালন করেছিলেন। জাহিলী যুগের নিয়ম ছিলো, কেউ কাউকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করলে লোকেরা তাহাকে ঐ ব্যক্তির পুত্র হিসেবে সম্বোধন করতো এবং ঐ লোক মারা গেলে পরিত্যক্ত সম্পদের উত্তরাধিকারীও তাহাকে করা হতো। কিন্তু যখন মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ “তাহাদেরকে {পালক পুত্রদেরকে} তাহাদের {প্রকৃত} পিতার নামে ডাকবে। তারা তোমাদের দীনি ভাই ও বন্ধু” {সূরাহ আহ্যাবঃ ৫}। অতঃপর তাহাদের প্রকৃত পিতার নাম ধরেই ডাকা আরম্ভ হয়। আর পিতার সন্ধান না পাওয়া গেলে তাহাকে বন্ধু ও দীনি ভাই বলে ডাকা হতো। পরবর্তীতে আবু হুযাইফাহ ইবন উত্ববাহর স্ত্রী সাহলা বিনতু সুহাইল ইবন আমর আল-কুরাইশী আল-আমিরী {রাদি.} এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালিমকে আমরা আমাদের পুত্র গণ্য করি। সে আমার ও আবু হুযাইফাহ্র সাথে একই ঘরে থাকে। আর সে আমাকে একই বস্ত্রের মধ্যে দেখেছে। আল্লাহ যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন আপনি তা ভালভাবে অবহিত। এখন তার ব্যাপারে আপনি কি নির্দেশ দেন? নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিলেনঃ তাহাকে তোমার দুধ পান করাও। সুতরাং তিনি তাহাকে পাঁচ ঢোক দুধ পান করান। তখন থেকে সে তার দুধ পানকারী সন্তান গন্য হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আয়িশাহ {রাদি.} তার ভাগ্নী ও ভাতিজীদেরকে নির্দেশ দিতেন যে, আয়িশাহ {রাদি.} নিজে যাদেরকে সাক্ষাত দান ও যাদের আগমন পছন্দ করিতেন, তাহাদেরকে যেন পাঁচ ঢোক নিজেদের দুধ পান করানো হয়, তাহাদের বয়স দুধ পানের বয়সের {দুবছরের} বেশী হয়েও। অতঃপর তারা আয়িশাহর কাছে আসতো। কিন্তু উম্মু সালামাহ {রাদি.} এবং নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর অন্যান্য স্ত্রীগণ যে কোন ব্যক্তিকে এরূপ দুধসন্তান বানিয়ে তাহাদের কাছে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি বর্জন করিলেন, যতক্ষণ না শিশু বয়সে দুধ পান করা হয়। তারা আয়িশাহ {রাদি.}-কে বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আমাদের জানা নেই, সম্ভবত সালিমের বিষয়ে এটা নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর একটি বিশেষ অনুমোদন ছিলো যা অন্য কারোর জন্য প্রযোজ্য নয়। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

হে আমার মেয়ে

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “হে আমার মেয়ে”

Your email address will not be published. Required fields are marked *