Description
অকাট্য প্রমাণপঞ্জি
অকাট্য প্রমাণপঞ্জি বইটি কিনুন
ইবনে মাজহা ৪০১৩
আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, মারওয়ান ঈদের দিন ঈদের মাঠে মিম্বার বের [স্থাপন] করিল এবং ঈদের সালাতের পূর্বে খুতবা দিলো। এক ব্যাক্তি বলিল, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাতের বিপরীত করেছো, তুমি আজকের এই দিনে মিম্বার বের [স্থাপন] করছো, অথচ এই দিন তা বের করা [ঈদের মাঠে মিম্বার নেয়া] হতো না। উপরন্তু তুমি সালাতের আগে খুতবা শুরু করছো, অথচ সালাতের পূর্বে খুতবা দেয়া হতো না। আবু সাঈদ [রাজি.] বলেন, এই ব্যাক্তি তাহার দায়িত্ব পালন করেছে। আমি রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হইতে দেখলে এবং তাহার দৈহিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা সেভাবেই প্রতিহত করে। তাহার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাহার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মনে মনে ঘৃণা করে। তা হলো সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। [৩৩৪৫]
[৩৩৪৫] সহীহুল বূখারী ৯৫৬, মুসলিম ৪৯, তিরমিজি ২১৭২, নাসাঈ ৫০০৮, ৫০০৯, আবু দাঊদ ১১৪০, ৪৩৪০, আহমাদ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১৪৬৬।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
আল্লাহর বানীঃ “আত্মসংশোধনই তোমাদের কর্তব্য”
৪০১৪
আবু উমায়্যাহ আশ-শাবানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি আবু সালাবাহ আল-খুশানী [রাজি.] এর নিকট এসে তাহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এই আয়াত সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বলেন, কোন আয়াত? আমি বললাম, এই আয়াত [আনুবাদ]ঃ “হে মুমিনগণ! আত্মসংশোধন করাই তোমাদের কর্তব্য। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও তবে যে পথভ্রষ্ট হইয়াছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করিতে পারবে না”[সুরা মাইদাঃ ১০৫]। তিনি বলেন, আমি এ আয়াত সম্পর্কে অধিক অবহিত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেছি। আমি এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেনঃ বরং তোমরা সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে নিষেধ করিতে থাকো। শেষে এমন এক যুগ আসবে যখন তুমি লোকদেরকে কৃপণতাহার আনুগত্য করিতে, প্রবৃত্তির অনুসরণ করিতে, পার্থিব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে এবং প্রত্যেক বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে নিজের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অহংকার করিতে দেখবে। আর তুমি এমন সব গর্হিত কাজ হইতে দেখবে যা প্রতিহত করার সামর্থ্য তোমার থাকিবে না। এরূপ পরিস্থিতিতে তুমি নিজের হেফাজত করো এবং সর্বসাধারণের চিন্তা ছেড়ে দাও। তোমাদের পরে আসবে কঠিন ধৈর্যের পরীক্ষার যুগ। তখন ধৈর্যধারণ করাটা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতের মুঠোয় রাখার মত কঠিন হইবে। সে যুগে কেউ নেক আমল করিলে তাহার সমকক্ষ পঞ্ছাশ ব্যক্তির সওয়াব তাহাকে দান করা হইবে। [৩৩৪৬][৩৩৪৬] তিরমিজি ৩০৫৮, আবু দাউদ ৪৩৪১। মিশকাত ৫১৪৪, সহীহাহ ৪৯৪।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
ইবনে মাজহা ৪০১৫
আনাস বিন মালিক [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা কখন ত্যাগ করিব? তিনি বলেনঃ যখন তোমাদের মাঝে সেই সব বিষয় প্রকাশ পাবে, যা তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতদের মাঝে প্রকাশ পেয়েছিলো। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের পূর্বেকার উম্মাতগনের যুগে কী কী বিষয় প্রকাশ পেয়েছিলো? তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যকার নিকৃষ্ট তরুণদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চলে যাবে। বয়স্ক লোক অশ্লীল কার্যকলাপে লিপ্ত হইবে এবং নিকৃষ্ট লোক জ্ঞানের অধিকারী হইবে। রাবী যায়েদ [রাজি.] বলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর বাণীঃ “নিকৃষ্ট ও নীচ ব্যক্তিরা জ্ঞানের অধিকারী হইবে”, এর তাৎপর্য হলোঃ পাপাচারীরা জ্ঞানের বাহক হইবে।[৩৩৪৭]
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ মাখহুলের আন আন সুত্রে বর্ণনার কারণে সানাদটি দুর্বল।
[৩৩৪৭] আহমাদ ১২৫৩১।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
অকাট্য প্রমাণপঞ্জি
Reviews
There are no reviews yet.