Description
আতীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা
আতীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা
সহিহ তিরমীজি২২৯৮
আইশা [রাদি.] থেকে বর্ণিত আছেঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ খিয়ানতকারী পুরুষ ও নারীর সাক্ষ্য, যেনার অপবাদ আরোপের শাস্তি ভোগকারী পুরুষ ও নারীর সাক্ষ্য, বিপক্ষের প্রতি শত্রুতা পোষণকারীর সাক্ষ্য, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারীর সাক্ষ্য, কোন পরিবারের পক্ষে তাদের অধীনস্থ লোকদের সাক্ষ্য এবং ওয়ালাআ ও আত্নীয়তার মিথ্যা পরিচয়দানের অপবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। ফাযারী বলেন, “আল-কানি” শব্দের অর্থ অধীনস্থ।
যঈফ, ইরওয়া [২৬৭৫] মিশকাত, তাহকীক ছানী [৩৭৮১] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র ইয়াযীদ ইবনি যিয়াদ আদ-দিমাশকীর সূত্রেই এই হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। ইয়াযীদ হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল হিসাবে গণ্য। তার সূত্র ব্যতীত যুহ্রী [রহমাতূল্লাহ]-এর রিওয়ায়াত হিসাবেও আমরা এ হাদীস জানতে পারিনি। এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। উপরোক্ত হাদীসের সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত অর্থ সম্পর্কেও আমাদের কিছু জানা নেই এবং এর সনদসূত্রও আমাদের মতে সহীহ নয়।
বিশেষজ্ঞ আলিমগণের এ হাদীস অনুযায়ী কর্মপন্থা এই যে, নিকটাত্নীয়ের পক্ষে অপর নিকটাত্নীয়ের সাক্ষ্য বৈধ হবে। তবে সন্তানদের সাক্ষ্য পিতার পক্ষে এবং পিতার সাক্ষ্য সন্তানের পক্ষে জায়িয কি না এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে মতের অমিল আছে। বেশিরভাগ আলিমের মতে পিতার পক্ষে সন্তানের সাক্ষ্য এবং সন্তানের পক্ষে পিতার সাক্ষ্য জায়িয নয়। কোন কোন আলিমের মতে আদেল অর্থাৎ ন্যায়নিষ্ঠ হলে সন্তানের সাক্ষ্য পিতার অনুকূলে এবং পিতার সাক্ষ্য সন্তানের পক্ষে জায়িয। আর ভাইয়ের পক্ষে ভাইয়ের সাক্ষ্য এবং নিকটাত্নীয়ের সাক্ষ্য অপর নিকটাত্নীয়ের পক্ষে জায়িয হওয়ার বিষয়ে কোন মতভেদ নেই। ইমাম শাফিঈ [রহমাতূল্লাহ] বলেন, শত্রুর বিরুদ্ধে শত্রুর সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য নয়, সে আদেল অর্থাৎ ন্যায়নিষ্ঠ হলেও। তিনি তার মতের সমর্থনে আবদুর রহমান ইবনিল আরাজ [রাহ:] হতে রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণিত হাদীস পেশ করেছেনঃ “বিদ্বেষ পোষণকারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়”। অনুরূপ “লা তাজূযু শাহাদাতু গিমরিন” হাদীসের মর্মও তাই।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান প্রসঙ্গে
আইমান ইবনি খুরাইম [রহমাতূল্লাহ] থেকে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এক সময় ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে বলেনঃ হে লোকসকল! মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকে আল্লাহ্ তাআলার সাথে শারীক করার সম-পর্যায়ের [অপরাধ] গণ্য করা হয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ “তোমরা মূর্তিপূজার অপবিত্রতা বর্জন কর এবং মিথ্যা বলাও বর্জন কর”। [সূরাদি. হাজ্জ-৩০]
যঈফ, ইবনি মাজাহ [২৩৭২], আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব।
এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র সুফিয়ান ইবনি যিয়াদের সূত্রেই জেনেছি। সুফিয়ান হতে এ হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে রাবীগণের মতের অমিল আছে। আইমান ইবনি খুরাইম [রহমাতূল্লাহ] নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর নিকট হতে কোন কিছু শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
আতীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা
Reviews
There are no reviews yet.