Select Page

আযকারে মাসনূনাহ

৳ 50.00

Description

আযকারে মাসনূনাহ

আযকারে মাসনূনাহ

সুনানে আবুদাউদ ১৫৬৩
আমর ইবন শুআইব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার হইতে বর্ণীত আছেঃ
একদা এক মহিলা তার কন্যাকে নিয়ে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} কাছে আসলো। তার কন্যার হাতে দুটি মোট স্বর্ণের কঙ্কন ছিলো। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কি এর যাকাত দাও? সে বললো, না। তিনি বলিলেনঃ তুমি কি এতে সন্তুষ্ট যে, মহান আল্লাহ এর বিনিময়ে ক্বিয়ামাতের দিন তোমাকে আগুনের দুটি কঙ্কন পরিয়ে দিবেন? বর্ণনাকারী বলেন, সে তৎক্ষণাত তা খুলে নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} সামনে রেখে দিলে বললো, এ দুটি আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলের জন্য।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

সুনানে আবুদাউদ ১৫৬৪
উম্মু সালামাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি স্বর্ণের অলংকার পরতাম। আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রসূল! এটা কি কান্‌য {সঞ্চিত সম্পদ} হিসেবে গণ্য হইবে? তিনি বলিলেনঃ যে সম্পদ নিসাব পরিমাণ হয় এবং তার যাকাত দেয়া হয়, তা কান্‌য নয়।হাসানঃ এর কেবল মারফু অংশটুকু। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

সুনানে আবুদাউদ ১৫৬৫
আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ ইবনল হাদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর স্ত্রী আয়িশাহর {রাদি.} নিকট গেলে তিনি বলিলেন, একদা রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আমার কাছে এসে আমার হাতে রূপার বড় আংটি দেখিতে পেয়ে জিজ্ঞেস করিলনঃ হে আয়িশাহ! এটা কি? আমি বলিলাম, হে আল্লাহ রসূল! আপনার উদ্দেশে সাজসজ্জার জন্য আমি এটা বানিয়েছি। তিনি বলিলেন, তুমি কি এগুলোর যাকাত দাও? আমি বলিলাম, না, অথবা আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। তিনি বলিলেন, তোমাকে {জাহান্নামের} আগুনে নিয়ে যেতে এটাই যথেষ্ট। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

সুনানে আবুদাউদ ১৫৬৬
উমার ইবন ইয়ালা {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
এ সূত্রেও আংটি সম্পর্কিত পূর্বানুরূপ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সুফায়ানকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এর যাকাত কিভাবে দিবে? তিনি বলেন, যাকাতের অন্যান্য মালের সাথে যোগ করে।(১৫৬৬)

 

(১৫৬৬)এর সনদ দুর্বল। আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সনদের আমর ইবন আবদুল্লাহ ইবন ইয়ালাকে হাফিয দুর্বল বলিয়াছেন।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

মাঠে স্বাধীনভাবে বিচরণশীল পশুর যাকাত
সুনানে আবুদাউদ ১৫৬৭
হাম্মাদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
আমি সুমামাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আনাস {রাদি.} হইতে একখান কিতাব গ্রহণ করি। সুমামাহর ধারণা, আবু বাকর {রাদি.} এটি আনাস {রাদি.}-কে যাকাত আদায়ের জন্য প্রেরণকালে লিখেছিলেন এবং তাতে রসূলুল্লাহর মোহরাঙ্কিত ছিলো। তাতে লিখা ছিলোঃ রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} ফারয যাকাতের বিষয়ে মুসলিমদের উপর যা নির্ধারিত হয়েছে এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তাহাঁর রসূলকে যা আদেশ করেছেন। কাজেই যে কোন মুসলিমের নিকট বিধি অনুসারে যাকাত চাওয়া হইবে সে যেন তা দিয়ে দেয়। কিন্তু কোরো কাছে অতিরিক্ত দাবি করা হলে সে যেন অতিরিক্ত না দেয়। পঁচিশটি উটের কম হলে প্রতি পাঁচটি উটের জন্য একটি বকরী দিতে হইবে। উটের সংখ্যা পঁচিশ থকে পঁয়ত্রিশ হলে তাতে একটি বিনতু মাখাদ {দুই বছরে{রহমাতুল্লাহি আলাইহি} উষ্ট্রী দিতে হইবে। তার কাছে এরূপ উট না থাকলে একটি ইবন লাবূন {তিন বছরের} উট দিতে হইবে। উটের সংখ্যা ছত্রিশ থেকে পঁয়তাল্লিশের মধ্যে হলে তাতে একটি বিনতু লাবূন {তিন বয়সের উষ্ট্রী} দিতে হইবে। উটের সংখ্যা ছেচল্লিশ থেকে ষাট পর্যন্ত হলে তাতে একটি হিককাহ {চার বছরের} উষ্ট্রী দিতে হইবে। উটের সংখ্যা একষট্রি থেকে পঁচাত্তর হলে তাতে একটি জাযাআহ {পাঁচ বছরের} উষ্ট্রী দিতে হইবে। উটের সংখ্যা ছিয়াত্তর থেকে নব্বই হলে তাতে দুটি বিনতু লাবূন দিতে হইবে। উটের সংখ্যা একানব্বই থেকে এক শত বিশ-এর উর্ধে হলে প্রতি চল্লিশটির জন্য একটি করে বিনতু লাবূন এবং প্রতি পঞ্চাশটির জন্য একটি করে হিককাহ দিবে।
যদি যাকাতযোগ্য বয়সের উট না থাকে, যেমন, কারো জাযাআহ্ ওয়াজিব, কিন্তু তার কাছে সেটার পরিবর্তে হিককাহ আছে, তখন হিককাহ গ্রহণ করিতে হইবে এবং এর সাথে সহজলভ্য হলে দুটি বকরী কিংবা বিশ দিরহামও দিতে হইবে। একইভাবে কারো উপর হিককাহ দেয়া ওয়াজিব, কিন্তু তার কাছে সেটা নেই বরং জাযাআহ আছে। তখন তার থেকে জাযাআহ গ্রহণ করিতে হইবে এবং যাকাত উসুলকারী বিশ দিরহাম কিংবা দুটি বকরী যাকাত প্রদানকারীকে দিবে। এমনিভাবে কারো উপর হিককাহ ওয়াজিব, কিন্তু তার কাছে তা নেই, বরং জাযাআহ আছে। তার থেকে সেটাই নিতে হইবে।
ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, এখানে আমি আমার উস্তাদ মূসা ইবন ইসমাঈল হইতে আশানূরূপ আয়ত্ব করিতে পারিনি। এখানেও যাকাতদাতা সহজলভ্য দুটি বকরী অথবা বিশ দিরহাম প্রদান করিবে। যার উপর বিনতু লাবূন ওয়াজিব কিন্তু সেটা তার কাছে নেই, বরং তার কাছে হিককাহ আছে। সেটাই তার কাছ থেকে নিতে হইবে।
ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, এ পর্যন্ত আমি সন্দিহান ছিলাম, পরবর্তীতে আমি পূর্ণ আস্থাশীল হই। অর্থাৎ তহশীলদার বিশ দিরহাম অথবা দুটি বকরী যাকাত প্রদানকারীকে ফেরত দিবে। যদি কারো উপর বিনতু লাবূন ওয়াজিব হয় এবং সেটা তার কাছে না থাকে, বরং বিনতু মাখাদ থাকে, তখন তার থেকে সেটাই গ্রহন করিবে এবং এর দুটি বকরী অথবা বিশ দিরহাম প্রদান করিবে। যদি কারো উপর বিনতু মাখাদ ওয়াজিত হয়, অথচ তা তার কাছে নেই, বরং তার নিকট আছে ইবন লাবূন, তখন সেটাই গ্রহণ করিবে এবং সাথে কিছুই দিতে হইবে না। আর কারো কাছে চারটি উট থাকলে তাহাকে কিছুই দিতে হইবে না। অবশ্য উটের মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দিলে তা ভিন্ন কথা।
স্বাধীনভাবে চরে বেড়ানো মেষ-বকরীর সংখ্যা চল্লিশ থেকে একশো বিশ পর্যন্ত পৌছলে একটি বকরী দিতে হইবে। একশত বিশ অতিক্রম করে দুইশো পর্যন্ত পৌঁছলে দুটি বকরী। বকরীর সংখ্যা দুইশো অতিক্রম করে তিনশো পর্যন্ত হলে তিনটি বরকী এবং তিনশো থেকে অধিক হলে প্রতি একশোটির জন্য একটি বকরী যাকাত দিতে হইবে। যাকাত হিসেবে অতিবৃদ্ধ অথবা অন্ধ বকরী-ছাগল নেয়া হইবে না। তবে আদায়কারী তা নিতে চাইলে ভিন্ন কথা। যাকাতের ভয়ে বিচ্ছিন্নকে যেন একত্র না করা হয় এবং একত্রকে বিচ্ছিন্ন না করা হয়। দুই শরীকের কাছ থেকে যে যাকাত আদায় করা হইবে সেটা তারা নিজ নিজ অংশ হিসাবে বহন করিবে। চরে বেড়ানো বকরীর সংখ্যা চল্লিশ না হলে কিছুই দিতে হইবে না। তবে মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দিতে চাইলে ভিন্ন কথা।
রূপার যাকাতের পরিমাণ হলো চল্লিশ ভাগের এক ভাগ। রৌপ্য মুদ্রা একশো নব্বই হলে কিছুই দিতে হইবে না। হাঁ, মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দিলে তাতে আপত্তি নেই।

সহীহঃ বুখারী সংক্ষেপে।

 

এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

আযকারে মাসনূনাহ

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “আযকারে মাসনূনাহ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *