Description
আল-ফিকহুল আকবর (বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা)
আল-ফিকহুল আকবর (বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা) বই
উটের বয়স সম্পর্কে
________________________________________
সুনান আবু দাউদ ১৫৯০
ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আমি আর-রিয়াশী, আবু হাতিম ও অন্যান্যদের কাছে শুনিয়াছি এবং নাদর ইবন শুমাইল ও আবু উবাইদের কিতাবে দেখেছি। তাহাদের দুজনের একজন কর্তৃক আলোচ্য বিষয়টি উল্লেখ হয়েছে। তারা বলিয়াছেন, গর্ভস্থ ভ্রুণের নাম আল-হুয়ার। নবজাত বাচ্চার নাম আল-ফাসিল। এক বছর হইতে দুবছরে পদার্পণকারী হচ্ছে বিনতু মাখাদ। তৃতীয় বছরে পদার্পণকারী ইবনাতু লাবূন। তিন বছর হইতে চতুর্থ বছর পূর্ণ হলে হিককাহ। কারণ তখন তা আরোহণ এবং প্রজননের উপযোগী হয়। আর ছয় বছর পূর্ণ হওয়ার আগে পুরুষ উট বালেগ হয় না। হিককহকে ত্বরুক্বাতুল ফাহল বলার কারণ হলো পুরুষ উট তাহাকে পাল দেয়। চতুর্থ বছর শেষে পঞ্চম বছরে পদার্পণকারীকে জাযাআহ আবে। যষ্ঠ বছরে পদার্পণ করলে এবং সামনে দুটি দাঁত পড়ে গেলে তা হয় সানি। এ নাম ষষ্ঠ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকে। অতঃপর সপ্তম বছর হলে উটের মান হয় রুবাঈ এবং উষ্ট্রীর নাম হয় রুবাঈয়াহ, সপ্তম বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত এ নাম বহাল থাকে। অতঃপর নবম বছরে প্রবেশ করলে এবং পাশের ধারালো দাঁত প্রকাশ হলে এ দাঁত প্রকাশ হওয়ার কারণে তাহাকে বলা হয় বাযিল। সবশেষে দশম বছরে পদার্পণ করলে তার নাম মাখলাফ। এরপর তার আর কোন নাম নেই। অবশ্য {এরপর} এক বর্ষীয়া বাযিল, দুই বর্ষীয়া বাযিল এবং এক এক বর্ষীয়া মাখলাফ, দুই বর্ষীয়া মাখলাফ এবং তিন বর্ষীয়া মাখলাফ এভাবে পাঁচ বছর পর্যন্ত। খুলফাহ হচ্ছে গর্ভধারী উষ্ট্রী। আবু হাতিম {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আল-জাযুআহ শব্দটি কালের একটি সময়কে বুঝায়, এর অর্থ দাঁত নয়। উটের বয়সের ব্যবধান ঘটে সাহাইল তারকার উদয়ের সাথে। ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, কবি আর-রিয়াশী আমাদের নিকট তা কয়েক লাইন কবিতার মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেনঃ “রাতের প্রথম প্রহরে যখন সুহাইল তারকা উদিত হয় তখন ইবন লাবূন হয় হিককাহ আর হিককাহ হয় জাযাআহ। তারপর হুবা ছাড়া উটের বয়স আর গণনা করা হয় না। সুহাইল তারকার উদয়ের সাথে জন্মগ্রহণকারী উটকে হুবা বলা হয়।
যে স্থানে সম্পদ সমূহের যাকাত গ্রহণ করিবে
সুনান আবু দাউদ ১৫৯১
আমর ইবন শুআইব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিয়াছেন, দূরে অবস্থান করে যাকাত আদায় করিবে না এবং যাকাতের মালও দুরে সরিয়ে নিবে না। যাকাত দাতাহাদের বসতি থেকেই যাকাত আদায় করিতে হইবে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহিহ
সুনান আবু দাউদ ১৫৯২
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক্ব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
লা জালাবা ওয়া লা জানাবা-এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, চতুষ্পদ জন্তুর যাকাত তার অবস্থানস্থল থেকেই নিতে হইবে। কোন অবস্থাতেই তা আদায়কারীর নিকট টেনে নিতে বাধ্য করা যাবে না এবং ওয়া লা জানাবা-ও একই রূপ। মালের অধিকারী তা আদায়কারীর কাছে হাঁকিয়ে নিবে না। বর্ণনাকারী বলেন, যাকাত আদায়কারী যাকাত দাতার নিকট থেকে দূরে অবস্থান করিবে না, বরং মালের স্থানে থেকেই যাকাত নেয়া হইবে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ মাকতু
যাকাত দিয়ে ঐ মাল পুনরায় ক্রয় করা
সুনান আবু দাউদ ১৫৯৩
আবদুল্লাহ ইবন উমার {রা.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
একদা উমার ইবনল খাত্তাব {রাদি.} এক ব্যক্তিকে জিহাদের উদ্দেশে একটি ঘোড়া দান করেন। পরে তিনি ঐ ঘোড়াটি বিক্রি হইতে দেখে তা কেনার ইচ্ছা করিলেন এবং রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করিলেন। তিনি {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলেন, তুমি তা কিনবে না এবং তোমার সদাক্বাহ তুমি ফিরিয়ে নিবে না।
সহীহঃ সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
আল-ফিকহুল আকবর (বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা)
Reviews
There are no reviews yet.