Description
ইযহারুল হক (২য় খণ্ড)
ইযহারুল হক (২য় খণ্ড) বই
সুনানে আবু দাউদ ১৫৬০
ইবরাহীম {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিন বলেন, এক ওয়াসাক হচ্ছে ষাট সা। এটি আল-হাজ্জাজ কর্তৃক নির্ধারিত।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ মাকতু
সুনানে আবু দাউদ ১৫৬১
সুরাদ ইবন আবু মানাযিল {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
আমি হাবীব আল-মালিকী {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে বলিতে শুনিয়াছি, এক ব্যক্তি ইমরান ইবন হুসাইন {রাদি.}-কে বললো, হে আবু নুজাইদ! আপনারা আমাদের কাছে এমন হাদিসও বর্ণনা করেন, যার কোনো বুনিয়াদ কুরআনে পাই না। এ কথা শুনে ইমরান {রাদি.} অসন্তুষ্ট হয়ে লোকটিকে বলিলেন, তোমরা কি কুরআনের মধ্যে কোথাও পেয়েছো যে, প্রত্যেক চল্লিশ দিরহামে {যাকাত} দিতে হইবে? সে বললো, না। তিনি বলিলেন, তাহলে এটা তোমরা কোথায় পেয়েছ? মূলতঃ তোমরা এটা সাহাবীদের কাছ থেকে জেনেছো এবং আমরা পেয়েছি আল্লাহর নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} থেকে। তিনি অনুরূপ আরো কিছু বিষয়ের কথাও উল্লেখ করেন।(১৫৬১)
(১৫৬১)এর সনদ দুর্বল। সনদের সুরাদ ইবন আবুল মানাযিল সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। অনুরূপ হাবীবুল মালিকীর অবস্থাও। এছাড়া আরেকটি দোষ রয়েছে। তা হচ্ছে হাবীব ও ইমরানের মধ্যবদী লোকটি অজ্ঞাত।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
বাণিজ্যিক পণ্যের যাকাত দিতে হইবে কি?
সুনানে আবু দাউদ ১৫৭১
ঈমাম মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
উমার ইবনল খাত্তাবের {রাদি.} উক্তিঃ “একত্রকে বিচ্ছিন্ন এবং বিচ্ছিন্নকেও একত্র করা যাবে না”। এর ব্যাখ্য হলো, দুই মালিকের পৃথক পৃথকভাবে চল্লিশটি ছাগল আছে। অতঃপর তাহাদের কাছে যাকাত আদায়কারী উপস্থিত হলে তারা উভয়ের পৃথক পৃথক ছাগলগুলোকে একত্র করে {তা যৌথ বলে দাবী করলো}। যাতে তাহাদের একটির অধিক বকরী দিতে না হয়। আর একত্রকে বিচ্ছিন্ন না করার ব্যাখ্যা হলো, যেমন দুজন সমান অংশীদারের প্রত্যেকের একশো একটি ছাগল আছে। {হিসেব মতে, দুইশো দুটিতে} যাকাত দিতে হয় তিনটি বকরী। কিন্তু যখন তাহাদের কাছে যাকাত আদায়কারী উপস্থিত হয় তখন তারা {একশো একটি করে} পৃথক করে ফেললো। ফলে উভয়কে একটি করে বকরী দিতে হলো। ঈমাম মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, এর ব্যাখ্যা আমি এরূপই শুনিয়াছি।
সহিহ মাক্বতূ।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ মাকতু
সুনানে আবু দাউদ ১৫৭২
আলী {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
যুহাইর {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আমার ধারনা, এ হাদিস নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} হইতে বর্ণিত। তিনি {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিয়াছেনঃ তোমরা প্রতি চল্লিশ দিরহামে এক দিরহাম {যাকাত} দিবে এবং দুইশো দিরহাম পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন যাকাত নেই। আর দুইশো দিরহাম পূর্ণ হলে তাতে পাঁচ দিরহাম দিতে হইবে। এর অতিরিক্ত হলে, উপরোক্ত হিসাব অনুযায়ী দিতে হইবে। ছাগলের যাকাত হলো, প্রতি চল্লিশটির জন্য একটি বকরী। বকরীর সংখ্যা উনচল্লিশ হলে যাকাত হিসেবে তোমার উপর কিছুই ওয়াজিব নয়। অতঃপর বকরীর হিসাব ও যাকাত যুহরীর বর্ণনানুযায়ী বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, গরুর যাকাত হচ্ছে, প্রতি ত্রিশটি গরুর জন্য পূর্ণ এক বছর বয়সী একটি বাছুর এবং চল্লিশটির জন্য পূর্ণ দুই বছরের একটি বাছুর। তবে কৃষিকাজে নিয়োজিত পশুর যাকাত নেই। উটের যাকাতও যুহরীর বর্ণনানুরূপ দিতে হইবে। তিনি {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলেনঃ পঁচিশটি উটের জন্য পাঁচটি বকরী এবং একটিও বর্ধিত হলে পঁয়ত্রিশ পর্যন্ত একটি বিনতু মাখাদ দিতে হইবে। বিনতু মাখাদ না থাকলে একটি ইবন লাবূন দিবে। এর থেকে একটিও বৃদ্ধি পেলে ষাট পর্যন্ত গর্ভধারণ করার উপযোগী একটি হিককাহ দিতে হইবে। অতঃপর যুহরীর হাদিসের বর্ণনানুরূপ। তিনি বলেনঃ যদি একটিও বর্ধিত হয় অর্থাৎ একানব্বই হয়, তা থেকে একশো বিশ পর্যন্ত গর্ভধারণ করার উপযোগী দুটি হিককাহ দিবে। আর যাকাত দেয়ার ভয়ে একত্রকে বিচ্ছিন্ন এবং বিচ্ছিন্নকে একত্র করা যাবে না। যাকাত হিসেবে অতিবৃদ্ধ এবং দোষযুক্ত পশু গ্রহণ করা যাবে না। এবং কোন পাঠাও নেয়া যাবে না। তবে আদায়কারী নিতে চাইলে নিতে পারবে। শস্যের যাকাত হচ্ছে, ভুমি নদ-নদী অথবা বৃষ্টির পানি দ্বারা সিঞ্চিত হলে উশর দিতে হইবে {এক-দশমাংশ}। আর যেসব ভূমিতে পানিসেচ করিতে হয় তাতে দিতে হইবে বিশ ভাগের এক ভাগ। আসিম ও হারিসের হাদিসে এটাও রয়েছে, যাকাত প্রতি বছরই দিতে হইবে। যুহাইর বলেন, আমার ধারণা, প্রতি বছর একবার বলিয়াছেন। আসিমের হাদিসে রয়েছে, বিনতু মাখাদ ও ইবন লাবূন না থাকলে দশ দিরহাম অথবা দুটি বকরী প্রদান করিতে হইবে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
ইযহারুল হক (২য় খণ্ড)
Reviews
There are no reviews yet.