Description
ইসলামী আকীদা
ইসলামী আকীদা বই
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১০১১
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবদুল্লাহ ইবন উমার {রাজি.} বলিতেন : যদি কেউ কসম করে ইনশাআল্লাহ {যদি আল্লাহ চাহেন} বলে তবে কসমকৃত কাজটি না করলে এই কসম ভঙ্গ হইবে না। {১} {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : ইনশাআল্লাহ কসমের সঙ্গে সঙ্গে এবং কথার ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে বলিতে হইবে। কেউ কসম করে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর যদি ইনশাআল্লাহ বলে তবে আর উহা ধর্তব্য হইবে না।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : কেউ বলল, আমি যদি এই কাজ করি তবে আমি কাফের বা মুশরিক। পরে যদি ঐ ব্যক্তি কাজটি করে ফেলে তবে তার কাফ্ফারা ওয়াজিব হইবে। কিন্তু অন্তরে শিরক কুফরীর আকীদা না হলে এতে কাফের বা মুশরিক হয়ে যাবে না। তবে গুনাহগার হইবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কিছু করিবে না বলে তাকে তাওবা করিতে হইবে। এই ধরনের কসম অতি নিন্দনীয়।
{১} তা কসম বলে গণ্য হয় না এবং এতে কাফফারাও ওয়াজিব হয় না।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
যে ধরনের কসমে কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১০১২
আবু হুরায়রা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন : কোন বিষয়ে কসম করার পর তার বিপরীত বিষয় যদি অধিক ভাল ও মঙ্গলজনক মনে হয়; তবে ঐ কসম ভেঙ্গে তার কাফ্ফারা দেবে এবং মঙ্গলজনক কাজটি করিবে। {সহীহ, মুসলিম ১৬৫০}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, কেউ বলল : আমি মানত করলাম। কিন্তু কিসের উপর মানত করিল তা বলল না। তবুও তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : একই কসম কেউ যদি একাধিকবার করে, যেমন আল্লাহর কসম, আমি ইহা হইতে কম করব না। এই বিষয়ের উপর সে তিনবার বা ততোধিক কসম করিল। তবে তার একবারই কাফ্ফারা ওয়াজিব হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : কেউ কসম করিল আল্লাহর কসম, আমি এই খাদ্য আহার করব না, এই কাপড়টি পরব না এবং এ ঘরে প্রবেশ করব না। পরে এ কাজগুলো সে যদি করে ফেলে তবে তার উপর একই কাফ্ফারা ওয়াজিব হইবে। যেমন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল : তোমাকে যদি এ কাপড়টি পরতে দেই এবং মসজিদে যেতে অনুমতি দেই তবে তুমি তালাক। উহা সমস্তটা মিলিয়ে একই কথা বলে গণ্য হয় এবং যে কোন একটি হলে তালাক হয়ে যায় আর পরে অন্যটি সংঘটিত হলে দ্বিতীয়বার তালাক হয় না। এইখানেও তদ্রূপ একবারই কাফ্ফারা ওয়াজিব হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : আমাদের নিকট মাসআলা এই- স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকেও স্ত্রীর মানত করা জায়েয আছে। তবে তা একান্ত ব্যক্তিগত হইতে হইবে। শর্ত হল, স্বামীর কোন ক্ষতি যেন না হয়। স্বামীর ক্ষতি হলে সে স্ত্রীকে এই ধরনের মানত হইতে বিরত করিতে পারবে। তবে স্ত্রীর উপর ঐ মানত ওয়াজিব থেকে যাবে। যখনই স্বামীর অনুমতি লাভ করিবে উহা আদায় করিবে।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
ইসলামী আকীদা
Reviews
There are no reviews yet.