Description
ইসলামের তৃতীয় রূকন যাকাত
ইসলামের তৃতীয় রূকন যাকাত
সুনানে আবু দাউদ ১৫৬০
ইবরাহীম {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিন বলেন, এক ওয়াসাক হচ্ছে ষাট সা। এটি আল-হাজ্জাজ কর্তৃক নির্ধারিত।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ মাকতু
সুনানে আবু দাউদ ১৫৬১
সুরাদ ইবন আবু মানাযিল {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
আমি হাবীব আল-মালিকী {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে বলিতে শুনিয়াছি, এক ব্যক্তি ইমরান ইবন হুসাইন {রাদি.}-কে বললো, হে আবু নুজাইদ! আপনারা আমাদের কাছে এমন হাদিসও বর্ণনা করেন, যার কোনো বুনিয়াদ কুরআনে পাই না। এ কথা শুনে ইমরান {রাদি.} অসন্তুষ্ট হয়ে লোকটিকে বলিলেন, তোমরা কি কুরআনের মধ্যে কোথাও পেয়েছো যে, প্রত্যেক চল্লিশ দিরহামে {যাকাত} দিতে হইবে? সে বললো, না। তিনি বলিলেন, তাহলে এটা তোমরা কোথায় পেয়েছ? মূলতঃ তোমরা এটা সাহাবীদের কাছ থেকে জেনেছো এবং আমরা পেয়েছি আল্লাহর নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} থেকে। তিনি অনুরূপ আরো কিছু বিষয়ের কথাও উল্লেখ করেন।(১৫৬১) (১৫৬১)এর সনদ দুর্বল। সনদের সুরাদ ইবন আবুল মানাযিল সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। অনুরূপ হাবীবুল মালিকীর অবস্থাও। এছাড়া আরেকটি দোষ রয়েছে। তা হচ্ছে হাবীব ও ইমরানের মধ্যবদী লোকটি অজ্ঞাত।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
গচ্ছিত মাল কি এবং অলংকারের যাকাত প্রসঙ্গে
সুনানে আবু দাউদ ১৫৭১
ঈমাম মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
উমার ইবনল খাত্তাবের {রাদি.} উক্তিঃ “একত্রকে বিচ্ছিন্ন এবং বিচ্ছিন্নকেও একত্র করা যাবে না”। এর ব্যাখ্য হলো, দুই মালিকের পৃথক পৃথকভাবে চল্লিশটি ছাগল আছে। অতঃপর তাহাদের কাছে যাকাত আদায়কারী উপস্থিত হলে তারা উভয়ের পৃথক পৃথক ছাগলগুলোকে একত্র করে {তা যৌথ বলে দাবী করলো}। যাতে তাহাদের একটির অধিক বকরী দিতে না হয়। আর একত্রকে বিচ্ছিন্ন না করার ব্যাখ্যা হলো, যেমন দুজন সমান অংশীদারের প্রত্যেকের একশো একটি ছাগল আছে। {হিসেব মতে, দুইশো দুটিতে} যাকাত দিতে হয় তিনটি বকরী। কিন্তু যখন তাহাদের কাছে যাকাত আদায়কারী উপস্থিত হয় তখন তারা {একশো একটি করে} পৃথক করে ফেললো। ফলে উভয়কে একটি করে বকরী দিতে হলো। ঈমাম মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, এর ব্যাখ্যা আমি এরূপই শুনিয়াছি।সহিহ মাক্বতূ।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ মাকতু
সুনানে আবু দাউদ ১৫৮১
মুসলিম ইবন শুবাহ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাফি ইবন আলক্বামাহ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} আমার পিতাহাকে নিজ গ্রোত্রপ্রধান নিযুক্ত করে তাহাদের কাছ থেকে যাকাত আদায়ের নির্দেশ দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার পিতা আমাকে তাহাদের এক গোষ্ঠীর কাছে প্রেরণ করেন। অতঃপর আমি সির ইবন দায়সাম নামক এক বৃদ্ধের কাছে এসে বলিলাম, আমার পিতা আমাকে আপনার কাছে যাকাত উসূল করিতে পাঠিয়েছেন। তিনি বলিলেন, হে ভাতিজা! তুমি কিভাবে নিবে? আমি বলিলাম, আমার বাছাই করবো, আমরা বকরীর বাঁট দেখে যাচাই করবো। তিনি বলিলেন, হে ভাতিজা! আমি তোমাকে একটি হাদিস বলছি। রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} যুগে একদা আমি কোন এক উপত্যকায় আমার মেষপাল চরাচ্ছিলাম। এমন সময় দুইজন লোক একটি উটে চড়ে আমার নিকট এসে বললো, আমরা রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} প্রতিনিধি হিসাবে আপনার মেষপালের যাকাত উসূল করিতে আপনার কাছে প্রেরিত হয়েছি। আমি বলিলাম, আমি কি প্রদান করবো? তারা বলেন, বকরী। সুতরাং আমি এমন একটি বিশেষ বকরী দেয়ার মনস্থ করলাম, সেটির বাট দুদ্ধে ভরতি, খুব মোটতাজা চর্বিওয়ালা। আমি তাহাদেরকে সেটা বের করে দিলে তারা বলিলেন এটা তো জোড়াওয়ালা {বাচ্চাওয়ালা} বকরী। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আমাদেরকে জোড়াওয়ালা বকরী নিতে বারণ করেছেন। আমি বলিলাম, তাহলে আপনারা কেমন বকরী নিবেন? তারা বলিলেন, এক বছর কিংবা দুই বছর বয়সী বকরী। তিনি বলেন, তখন আমি একটি সুতাত্ বকরীর দেয়ার মনস্থ করলাম। সুতাত্ ঐ বকরীকে বলে যা কোনো বাচ্চা দেয়নি, কিন্তু গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়েছে। সেটি এনে তাহাদেরকে দিলে তারা বলিলেন, হাঁ, আমরা এটি নিতে পারি। অতঃপর তারা বকরীটিকে তাহাদের উটের পিঠে তুলে নিয়ে চলে যায়।(১৫৮১)(১৫৮১)নাসায়ী {অধ্যায়ঃ যাকাত, হাঃ ২৪৬১}, আহমাদ {৩/৪১৪}। এর সনদ দুর্বল। সনদের মুসলিম ইবন শুবাহ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। ইরওয়াউল গালীল {৭৯৬}।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
ইসলামের তৃতীয় রূকন যাকাত
Reviews
There are no reviews yet.