Select Page

ইসলামের নামে জঈীবাদ

৳ 200.00

ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঈীর (রহ)

Description

ইসলামের নামে জঈীবাদ

ইসলামের নামে জঈীবাদ বই

সিলসিলা সহিফা ২০
আবু বাকরাহ {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলেন: যখন কোন মুসলিম তার {অপর মুসলিম} ভাইয়ের উপর {তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে} তরবারী উত্তোলন করিবে; তখন ফেরেশতারা তরবারী কোষাবদ্ধ না করা পর্যন্ত তার উপর অভিসম্পাত করিতে থাকে। {অর্থাৎ, হত্যার বাসনা ত্যাগপূর্বক তরবারী খাপে না রাখা পর্যন্ত ফেরেশতাগণ তার উপর লানাত করিতে থাকে}। {আস-সহিহা-৩৯৭৩}হাদীসটি হাসান।বাযযার তাহাঁর মুসনাদে ৩/১০৩/৩৬৪১। শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানী {রহমাতুল্লাহি আ:} এর কাছে হাদীসটি হাসান, তিনি এর উপর আপত্তির জবাব দিয়েছেন।
এই হাদীস খানার তাহকিকঃ হাসান হাদীস

সিলসিলা সহিফা ৫২
সাদ {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেনঃ যেদিন মাক্কা বিজয় হয় আব্দুল্লাহ ইবনি সাদ ইবনি আবু সরাহ উসমান ইবনি আফফান {রাজি.}-এর নিকট আত্মগোপন করেছিল। তিনি (উসমান {রাজি.}) তাকে নিয়ে আসলেন এবং নাবী {সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়সাল্লাম} এর নিকট দাঁড় করিয়ে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আব্দুল্লাহকে বাইআত করান। অতঃপর তিনি তার দিকে মাথা উঠালেন। অতঃপর তার দিকে তিনবার দৃষ্টিপাত করিলেন। প্রত্যেকবার তিনি {বাইআত করিতে} অস্বীকৃতি জানান। তৃতীয়বারের পরে তাকে বাইআত করান। অতঃপর সাহাবীদের নিকট আসলেন এবং বলিলেন, তোমাদের মাঝে কি কোন সঠিক পথপ্রাপ্ত ব্যক্তি নেই, যে এই ব্যক্তির নিকট দাঁড়িয়ে যখন আমাকে দেখেছে যে, আমি তাকে বাইআত করা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছি? তখন তাকে হত্যা করিবে? তারা {সাহাবীগন} বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার মনের কথা আমরা জানতে পারিনি। কেন আপনি চোখ দিয়ে আমাদের দিকে ইশারা করিলেন না? তিনি {রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম} বললেনঃ কোন নাবীর জন্য সমীচীন নয় যে, তার চোখের খিয়ানত থাকিবে। {অর্থাৎ, আড়চোখে কিছু বলবে} {আস-সহিহা-১৭২৩}হাদীসটি সহীহ।আবু দাউদ হাদীস নং ২৬৮৩, ৪৩৫৯; নাসায়ী-২/১৭০; হাকিম-৩/৪৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা-১/২১৬-১৭। শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানী {রহমাতুল্লাহি আ:} বলেন: বিভিন্ন সাক্ষ্যের ভিত্তিতে হাদীসটি সহীহ- ইনশাআল্লাহ।
এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

সুনান আবু দাউদ ১৯৬৬
সুলাইমান ইবন আমর ইবনল আহওয়াস {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে তার মাতার হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে সওয়ারী অবস্থায় উপত্যকার কেন্দ্রস্থল থেকে কংকর মারতে দেখেছি। প্রত্যেক কংকর মারার সময় তিনি তাকবীর বলিয়াছেন। এ সময় এক লোক তাঁকে পেছন থেকে আড়াল করে রেখেছিলো। আমি লোকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লোকেরা বললো, তিনি আল-ফাদল ইবন আব্বাস {রাদি.}। লোকজনের ভীড় হচ্ছিল। নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিলেনঃ হে লোকেরা! তোমরা {বড়} কংকর নিক্ষেপ করে একে অপরকে হত্যা করো। তোমরা জামরায় কংকর নিক্ষেপ করার সময় ছো্ট পাথর কুচি নিক্ষেপ করিবে। (১৯৬৬)এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
সুনান আবু দাউদ২১৭১
আবু সাঈদ আল-খুদরী {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
এক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার একটি দাসী আছে, আমি তার সাথে আযল করে থাকি। আমি তার গর্ভবতী হওয়া পছন্দ করি না। আর আমি তাই {সঙ্গম} ইচ্ছা রাখি যা অন্যান্য পুরুষেরা {দাসীর সাথে} ইচ্ছা রাখে। ইয়াহুদীরা বলে থাকে, আযল নাকি গোপন হত্যা। তার কথা শুনে তিনি বলিলেনঃ ইয়াহুদীরা মিথ্যা বলেছে। যদি মহান আল্লাহ কোন প্রাণীকে সৃষ্টি করা নির্ধারিত করেন তবে তা রোধ করার ক্ষমতা তোমার নেই।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ২২৪৫
ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
সাহল ইবন সাদ আস-সাঈদী {রাদি.} তাহাকে জানিয়েছেন যে, একদা উয়াইমির ইবন আশকার আল-আজলানী {রাদি.} আসিম ইবন আদী {রাদি.} এর নিকট এসে বলেন, হে আসিম! যদি কোন ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে পায়, এ বিষয়ে তোমার কি অভিমত? সে কি তাহাকে হত্যা করিবে এবং তোমরা তাহাকে হত্যা করিবে বা সে কী করিবে? হে আসিম! আমার এ বিষয়ে আপনি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম}-কে জিজ্ঞেস করুন। আসিম {রাদি.} এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম}-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা খারাপ ও অশোভন মনে করিলেন। রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} কাছে আসিম {রাদি.} যা শুনলেন সেটা তার জন্য ভয়ানক মনে হলো। আসিম {রাদি.} তার বাড়ি ফিরে এলে উয়াইমির এসে তাহাকে বলেন, হে আসিম! রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} তোমাকে কি বলিয়াছেন? আসিম বলিলেন, তুমি আমাকে খুব একটা ভালো কাজ দাওনি। আমি তোমার বিষয়ে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম}-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অপছন্দ করেন। তখন উয়াইমির {রাদি.} আল্লাহর শপথ করে বলিলেন, আমি এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস না করে ক্ষান্ত হবো না। এই বলে উয়াইমির {রাদি.} উঠে রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} নিকটে উপস্থিত হলেন। এ সময় তিনি চতুর্দিক থেকে লোকজন পরিবেষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে পায় তবে সে কি তাহাকে হত্যা করিবে? অতঃপর আপনারা তাহাকে হত্যা করবেন বা সে কী করিবে? রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেনঃ তোমার ও তোমার সঙ্গিনীর ব্যাপারে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। তাহাকে নিয়ে এসো! সাহল {রাদি.} বলেন, তারা আসলো এবং উভয়েই লিআন করলো। তখন আমি অন্যান্য লোকদের সঙ্গে সাথে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} কাছেই উপস্থিত ছিলাম। তারা লিআন থেকে অবসর হলে উয়াইমির {রাদি.} বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এরপর যদি আমি তাহাকে স্ত্রী হিসাবে রাখি তবে প্রমাণ হইবে আমি মিথ্যা বলেছি। অতঃপর রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} নির্দেশ দেয়ার আগেই তিনি তাহাকে তিন তালাক দিলেন। ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, তখন থেকে লিআনকারীদের জন্য এটাই বিধান হয়ে যায়।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

ইসলামের নামে জঈীবাদ

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ইসলামের নামে জঈীবাদ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *