Select Page

ঈদে মিলাদুন্নবী

৳ 20.00

Description

ঈদে মিলাদুন্নবী

ঈদে মিলাদুন্নবী বই

মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪১৭
ইবন আযহারের মাওলা আবু উবায়দ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি ঈদের নামাযে উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.}-এর সাথে শরীক হয়েছি। তিনি ঈদের নামাজ আদায় করালেন, অতঃপর {মিম্বরে} প্রত্যাগমন করলেন এবং লোকের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। খুতবায় তিনি বলিলেন, এ দুটি {ঈদের} দিবস এমন যে, রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ উভয় দিবসে রোযা রাখতে নিষেধ করেন, তোমাদের রোযা খোলার {অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের} দিন আর তোমাদের কুরবানীর গোশত আহার করার দিন। {বোখারি ১৯৯০, মুসলিম ১১৩৭}
আবু উবায়দ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, অতঃপর আমি উসমান ইবন আফফান {রাজি.}-এর সাথেও ঈদে হাযির হয়েছি। তিনি {ঈদগাহে} আসার পর নামাজ আদায় করলেন, তারপর {মুসল্লা হইতে} ফিরে খুতবা করলেন, আজকের এই দিনে তোমাদের জন্য দুটি ঈদ একত্র হয়েছে {শুক্রবার হওয়ার কারণে।} মদীনার বাহিরের লোকেরা ইচ্ছা করলে জুমআর নামাযের জন্য অপেক্ষা করিতে পারে অথবা ইচ্ছা করলে নিজেদের এলাকায় ফিরেও যেতে পারে, আমি তাদেরকে এ অনুমতি দিলাম।
আবু উবায়দ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আলী ইবন আবি তালিব {রাজি.}-এর সঙ্গে আমি উপস্থিত ছিলাম, যখন উসমান {রাজি.} অবরুদ্ধ ছিলেন। আলী {রাজি.} আসলেন এবং নামাজ আদায় করলেন, তারপর লোকদের দিকে মুখ করলেন ও খুতবা দিলেন।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক  ৪২০
উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবু ওয়াকিদ লায়সী {রাজি.}-কে জিজ্ঞেস করলেন ঈদুর ফিত্র ও ঈদুল আযহাতে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ কোন কোন সূরা পাঠ করিতেন? তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ পাঠ করিতেন
ق وَالْقُرُ اَنِ الْمَجِيْدِ. ةَاقْتَرَبَتِ السَّعَةُ وَالنْشَقَّ الْقَمَرُ.
{সূরা কাফ্ ও ক্বামার}, এই দুই সূরা। {সহীহ, মুসলিম ৮৯১}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

উভয় ঈদের আগে ও পরে নামাজ না পড়া
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪২২
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবদুল্লাহ ইবন উমার {রাজি.} ঈদুল ফিতরের দিন নামাজ আদায় করিতেন না, ঈদের পূর্বেও না এবং পরেও না। {মারফু, ইবন আব্বাস {রাজি.} কর্তৃক বর্ণিত, বোখারি ৯৮৯, ৯৬৪, মুসলিম ৮৮৪}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্য উদয়ের পূর্বে প্রত্যুষে ঈদগাহে গমন করিতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
উভয় ঈদের পূর্বে ও পরে নামাজ আদায়ের অনুমতি
মুয়াত্তা ইমাম মালিক  ৪২৩
আবদুর রহমান ইবন কাসিম {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
কাসিম {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে চার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪২৪
উরওয়াহ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
যুবায়র {রাজি.} ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাযের পূর্বে মসজিদে নামাজ আদায় করিতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

ইমামের প্রভাতে ঈদগাহে গমন করা ও খুতবার জন্য অপেক্ষা করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪২৫
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমাদের মধ্যে এই সুন্নত প্রচলিত-যাতে দ্বিমত নেই যে, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন ঈমাম স্বীয় মনযিল হইতে এমন সময় বের হইবেন, যাতে তিনি নামাযের সময় ঈদগাহে পৌঁছাতে পারেন।
ইয়াহইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে প্রশ্ন করা হল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ঈদুল ফিতরের দিন ইমামের সাথে নামাজ আদায় করেছে। সে খুতবা শোনার পূর্বে প্রত্যাবর্তন করিতে পারে কি? তিনি বলিলেন, না। ঈমাম প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সে ব্যক্তি প্রত্যাবর্তন করিবে না।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

ঈদে মিলাদুন্নবী

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ঈদে মিলাদুন্নবী”

Your email address will not be published. Required fields are marked *