Description
জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড)
জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) বইটি কিনুন
মুয়াত্তা মালিক ৫৬৫
আয়েশা বিনতে কোদামা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আয়েশা বিনতে কোদামা {রাজি.} তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন তিনি বলেছেন, বাৎসরিক ভাতা নেওয়ার জন্য উসমান ইবন আফ্ফান {রাজি.}-এর নিকট যখন আসতাম তখন তিনি জিজ্ঞেস করিতেন যাকাত ধার্য হওয়ার মত কোন সম্পদ আপনার কাছে রয়েছে কি ?
আমি হ্যাঁ-সূচক জবাব প্রদান করলে তিনি এই ভাতা হইতে যাকাত পরিমাণ অংক কেটে রাখতেন, আর না বললে সম্পূর্ণ ভাতা দিয়ে দিতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ৮৪৭
ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তিনি সমবেত লোকদেরকে লক্ষ করে বলিতেছিলেন ইহরাম অবস্থায় যে ব্যক্তি স্ত্রী-সহবাস করে তার সম্পর্কে তোমরা কি বল? উপস্থিত সকলেই চুপ হয়ে রইলেন। শেষে সাঈদ {রাজি.} নিজেই বলিলেন, এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছিল। পরে সে এই সম্পর্কে মাসআলা জিজ্ঞেস করার জন্য এক ব্যক্তিকে মদীনা শরীফে প্রেরণ করে। কেউ কেউ জবাব দিলেন স্বামী-স্ত্রী এক বৎসর পর্যন্ত দুজনেই আলাদা হয়ে থাকিবে।
কিন্তু সাঈদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলিলেন, এই বৎসর তারা হজ্জে অবশিষ্ট কাজসমূহ পুরা করিবে। পরের বৎসর জীবিত থাকলে পুনরায় হজ্জ করিবে এবং কুরবানী দিবে। প্রথম হজ্জের ইহরাম যে স্থান হইতে বেঁধেছিল এই হজ্জের ইহরামও সেই স্থান হইতে বাঁধবে। আর কাযা হজ্জ করিতে যখন আসবে তখন দুজনেই তারা হজ্জ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আলাদা আলাদা থাকিবে। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, উভয়কেই এক একটি করে কুরবানী করিতে হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আরাফাতে অবস্থানের পর এবং প্রস্তর নিক্ষেপের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে তবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হইবে এবং আগামী বৎসর পুনরায় তাকে হজ্জ করিতে হইবে। রমিয়ে হাজর বা প্রস্তর নিক্ষেপের পর যদি স্ত্রী সহবাস করে, তবে তাকে একটি উমরা এবং একটি কুরবানী করিতে হইবে। পরেরবার পুনরায় হজ্জ করিতে হইবে না।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, স্খলন না হয়ে শুধু পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হলেও হজ্জ ও উমরা বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং হাদ্য়ী ওয়াজিব হইবে। প্রবিষ্ট না হয়েও যদি রতিলীলায় স্খলন হয়ে যায় তবুও হজ্জ বিনষ্ট হয়ে যাবে।
আর কল্পনা করার দরুন যদি কারো স্খলন হয়ে যায় তবে এতে কিছুই ওয়াজিব হইবে না।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, কেউ স্ত্রীকে চুমা খেলে স্খলন না হলেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হইবে।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, কোন মুহরিম মহিলার স্বামী যদি তার সম্মতিক্রমে তার সঙ্গে হজ্জ ও উমরার মধ্যে কয়েকবার সহবাস করে তবে ঐ মহিলাকে পরের বৎসর এই হজ্জের কাযা আদায় করিতে হইবে এবং কুরবানী দিতে হইবে। আর এইরূপ সহবাস উমরার মধ্যে হলেও অতি সত্বর উমরা কাযা করিতে হইবে ও কুরবানী দিতে হইবে।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা মালিক ১০৩২
হিশাম ইবন উরওয়াহ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল : গ্রাম হইতে লোকেরা আমাদের জন্য গোশত নিয়ে আসে, জানি না এতে যবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা হয়েছিল কিনা। {উহা আমরা খেতে পারি কি?} রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন : নিজেরা বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে নিও। {সহীহ, ঈমাম বোখারি আয়িশা {রাজি.} থেকে বর্ণনা করেন {বোখারি ৭৩৯৮} তবে ঈমাম মালেক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : এই জবাবটি ইসলামের প্রথম যুগের। {১}
{১} হাদীসটির মর্ম হল, কোন মুসলমান যদি গোশত নিয়ে আসে তবে অনর্থক সন্দেহ করো না। বরং মনের দ্বিধা দূর করার জন্য নিজেই বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে নাও।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড)
Reviews
There are no reviews yet.