Description
জুযউ রফ্ইল ইয়াদায়ন ফিস সালাত
জুযউ রফ্ইল ইয়াদায়ন ফিস সালাত
সলাতুল খাউফ বা ভয়ের নামাজ।
লু লু ওয়াল মারজান ৪৮৪
জাবির {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেছেন, যাতুর রিকার যুদ্ধে আমরা নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা একটি ছায়াদার বৃক্ষের কাছে গিয়ে পৌঁছলে নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর জন্য আমরা তা ছেড়ে দিলাম। এমন সময় এক মুশরিক ব্যক্তি এসে গাছের সাথে লটকানো নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর তরবারীখানা হাতে নিয়ে তা তাহাঁর উপর উঁচিয়ে ধরে বলিল, তুমি আমাকে ভয় পাও কি? তিনি বলিলেন, না। এরপর সে বলিল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে রক্ষা করিবে কে? তিনি বলিলেন, আল্লাহ। এরপর নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর সাহাবীগণ তাকে ধমক দিলেন। এরপর নামাজ আরম্ভ হলে তিনি সাহাবীদের একটি দলকে নিয়ে দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারা এখান থেকে সরে গেলে অপর দলটি নিয়ে তিনি আরো দুরাকআত নামায আদায় করিলেন। এভাবে নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর হল চার রাকআত এবং সাহাবীদের হল দুরাকআত নামাজ। {বোখারী হাদিস পর্ব ৬৪ : /৩১ হাঃ ৪১৩৬, মুসলিম ৬/ ৫৭ হাঃ ৮৪৩}এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ১৫০
আবদুর রহমান ইবন আবি সাসাআ আনসারী মাযনী {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবু সাঈদ খুদরী {রাজি.} তাহাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি দেখিতেছি তুমি মাঠ ও বকরীকে ভালবাস। তুমি যখন তোমার বকরীর সঙ্গে থাক অথবা মাঠে থাক এবং নামাযের জন্য আযান দাও তবে তার স্বরে আযান দিও। কারণ আযানের স্বর মানুষ, জিন এবং অন্য যে কেউ শুনতে পায়, সে মুয়াযযিনের জন্য কিয়ামত দিবসে সাক্ষ্য দেবে।
আবু সাঈদ {রাজি.} বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে অনুরূপ শুনিয়াছি। {বোখারি ৬০৯, এবং ৩২৯৬} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ১৬৬
আবু নুঈম ওয়াহব ইবন কায়সার {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
জাবির ইবন আবদুল্লাহ {রাজি.} তাঁদেরকে নামাযের তাকবীর শিক্ষা দিতেন। তিনি আরও বর্ণনা করেন, নিচের দিকে ঝুঁকাবার ও মাথা উপরে তুলবার সময় তাকবীর বলার জন্য তিনি {জাবির {রাজি.}} আমাদেরকে নির্দেশ দিতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ১৭০
উম্মুল ফযল বিনত হারিস {রাজি.} তাহাকে সূরা মুরসালাত পাঠ করিতে শুনে বলেছেন, হে বৎস! তুমি এই সূরা পাঠ করে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর কথা স্মরণ করিয়ে দিলে। এই সূরাটি সর্বশেষ সূরা যা রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর পবিত্র মুখে মাগরিবের নামাযে পাঠ করিতে আমি শুনিয়াছি। {বোখারি ৭৬৩, মুসলিম ৪৬২}
কায়স ইবন হারিস {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তিনি {আবু আবদুল্লাহ সুনাবিহি} বলেছেন, আমি আবু বকর {রাজি.}-এর খিলাফতকালে মদীনায় গেলাম এবং তাঁর ঈমামতিতে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। তিনি প্রথম দুই রাকআতে সূরা ফাতিহার পর {কিসার-ই-মুফাসসাল} হইতে এক রাকআতে একটি করে সূরা পাঠ করলেন; তারপর তৃতীয় রাকআতে দাঁড়ালেন। আমি তখন তাঁর এত নিকটবর্তী ছিলাম যে, আমার কাপড় তাঁর কাপড়কে প্রায় স্পর্শ করছিল। সে সময় আমি তাহাকে সূরা ফাতিহা ও {নিচের} আয়াতটি পাঠ করিতে শুনিয়াছি
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ.
{হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} হে আমাদের প্রতিপালক! সরলপথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য-লংঘনপ্রবণ করো না এবং তোমার নিকট হইতে আমাদেরকে করুণা দাও, তুমিই মহাদাতা। {সূরা আলে-ইমরান, ৮}
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
জুযউ রফ্ইল ইয়াদায়ন ফিস সালাত
Reviews
There are no reviews yet.