Description
দিনে ও রাতে পালনীয় ১০০০+ সুন্নাত
দিনে ও রাতে পালনীয় ১০০০+ সুন্নাত
লু লু ওয়াল মার্জান ৪১১
ইবনি আব্বাস {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর সঙ্গে আট রাকআত একত্রে {যুহ্র ও আসরের} এবং সাত রাকআত একত্রে {মাগরিব-ইশার} নামাজ আদায় করেছি। {তাই সে ক্ষেত্রে যুহ্র ও মাগরিবের পর সুন্নাত আদায় করা হয়নি।} আমর {রহমাতুল্লাহি আ:} বলেন, আমি বললাম, হে আবুশ্ শাসা! আমার ধারণা, তিনি যুহ্র শেষ ওয়াক্তে এবং আসর প্রথম ওয়াক্তে আর ইশা প্রথম ওয়াক্তে ও মাগরিব শেষ ওয়াক্তে আদায় করেছিলেন। তিনি বলেছেন, আমিও তাই মনে করি। {বোখারী হাদিস পর্ব ১৯ : /৩০ হাঃ ১১৭৪, মুসলিম ৬/৬, হাঃ ৭০৫} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস নামাজ শেষে ডান ও বাম উভয় দিক দিয়েই মুখ ফিরিয়ে বসা বৈধ।
লু লু ওয়াল মার্জান ৪১২
আসওয়াদ {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
বর্ণীত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ {ইবনি মাসউদ} {রাজি.} বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন স্বীয় নামাজের কোন কিছু শয়তানের জন্য না করে। তা হল, শুধুমাত্র ডান দিকে ফিরা আবশ্যক মনে করা। আমি নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে অধিকাংশ সময়ই বাম দিকে ফিরতে দেখেছি।
*ইকামত হয়ে গেলে কোন নাফল নামাজ আদায় করা যাবেনা, এ সংক্রান্ত হাদীস বর্ণীত হয়েছে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় অনেকে ইকামত হয়ে যাবার পরও নফল নামাজ আদায় করিতে থাকেন। বিশেষ করে ফাজরের নামাজ চলাকালীন সময়ে অনেককেই দেখা যায় সুন্নাত দুরাকাত নামাজ আদায় করিতে। ফাজরের জামাআত চলতে থাকলে ঐ জামাআতে শামীল না হয়ে তাড়াহুড়ো করে সুন্নাত পড়ে জামাআতে শামিল হয়া হাদীসের বিরোধিতা করার সামিল।
প্রমাণ নিম্নের হাদীসগুলোঃ
আব্দুল্লাহ ইবনি সারজাস বলেন, এক ব্যক্তি এল। তখন রসুলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}ফজরের সলাতে ছিলেন। ফলে লোকটি দুরাকআত আদায় করে জামাআতে প্রবেশ করিল। রসুলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}নামাজ শেষ করে তাকে বলিলেন, ওহো অমুক! নামাজ কোনটি! যেটি আমাদের সঙ্গে আদায় করলে সেটি না যেটি তুমি একা আদায় করলে? {নাসায়ী মাবসুত ১ম খণ্ড ১০১ পৃষ্ঠা লাহোরী ছাপা} নাবী বলেছেন, যখন ফারয সলাতে তাকবীর দেয়া হয়ে যায় তখন ফারয নামাজ ব্যতীত অন্য কোন {নাফল বা সুন্নাত} নামাজ হইবে না। {মুসলীম, মিশকাত ৯৬ পৃষ্ঠা}
হানাফী ঈমাম মুহাম্মাদ বলেন, সুন্নাত না আদায় করে জামাআতেই ধুকতে হইবে। {মাসবুত ১ম খণ্ড ১৬৭ পৃষ্ঠা} ফাজরের সুন্নাত নামাজ ছুটে গেলে ফারয নামাজ আদায়ের পর পরই পড়ে নিবে অথবা কোন জরুরী প্রয়োজন থাকলে এ দুরাকআত নামাজ সুর্যোদয়ের পরেও পড়তে পারবেন। {তিরমিজি ১ম খণ্ড}
{বোখারী হাদিস পর্ব ১০ : /১৯৫ হাঃ ৮৫২, মুসলিম ৬/৭, হাঃ ৭০৭} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
ইক্বামাত আরম্ভ হওয়ার পর নফল নামাজ আরম্ভ করা অপছন্দনীয়।
লু লু ওয়াল মার্জান ৪১৩
আবদুল্লাহ্ ইবনি মালিক ইবনি বুহাইনাহ {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গেলেন। অন্য সূত্রে ঈমাম বোখারী {রহমাতুল্লাহি আ:} বলেন, আবদুর রহমান {রহমাতুল্লাহি আ:}….হাফ্স ইবনি আসিম {রহমাতুল্লাহি আ:} হইতে বর্ণীত। তিনি বলেন, আমি মালিক ইবনি বুহাইনা নামক আয্দ গোত্রীয় এক ব্যক্তিকে বলিতে শুনিয়াছি যে, রসুলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আঃ} এক ব্যক্তিকে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতে দেখলেন। তখন ইক্বামাত হয়ে গেছে। আল্লাহর রসূল {সাল্লাল্লাহু আঃ} যখন নামাজ শেষ করিলেন, লোকেরা সে লোকটিকে ঘিরে ফেলল। আল্লাহর রসূল {সাল্লাল্লাহু আঃ} তাকে বললেনঃ ফাজর কি চার রাকআত? ফাজর কি চার রাকআত?* {বোখারী হাদিস পর্ব ১০ : /৩৮ হাঃ ৬৬৩, মুসলিম ৬/৯, হাঃ ৭১১} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
দিনে ও রাতে পালনীয় ১০০০+ সুন্নাত
Reviews
There are no reviews yet.