Description
নিসফে শবানের (শবে বরাত) হাদীসের মান বিশ্লেষণ
নিসফে শবানের (শবে বরাত) হাদীসের মান বিশ্লেষণ
হারাম {সম্মানিত} মাসসমূহ
সুনান আবু দাউদ ১৯৪৭
আবু বাকরাহ হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} তাহাঁর বিদায় হাজ্জের ভাষণে বলেনঃ মহান আল্লাহ যেদিন আকাশসমূহ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে কালচক্র একইভাবে আবর্তিত হচ্ছে। বার মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এ চারটি মাসের মধ্যে যুল্-কাদাহ, যুল-হিজ্জা ও মুহাররম এ তিনটি মাস পরপর রয়েছে। চতুর্থ মাসটি হলো রজবে মুদার, যা জুমাদা ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস। (১৯৪৭) এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ ২৩২০
ইবন উমার {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিয়াছেনঃ মাস কখনো উনত্রিশ দিনে হয়। সুতরাং চাঁদ না দেখে তোমরা সওম পালন করিবেনা এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন বন্ধও করিবে না। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে তোমরা মাস ত্রিশদিন পুরা করিবে। নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, ইবন উমার {রাদি.} শাবানের উনত্রিশ দিনে পৌঁছুলে আকাশের দিকে তাকাতেন, যদি চাঁদ দেখিতে পেতেন তাহলে সওম রাখতেন। কিন্তু যদি না দেখিতে পেতেন অথচ আকাশ মেঘ বা কুয়াশামুক্ত রয়েছে, তাহলে সওম রাখতেন না। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অথবা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতো তাহলে তিনি পরদিন সওম রাখতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবন উমার {রাদি.} সেদিন সওম সমাপ্ত করিতেন যেদিন লোকেরা ইফতার করতো {মাস শেষ করতো}।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ ২৩২১
আইয়ূব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
উমার ইবন আবদুল আযীয {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বাসরাহ্ অধিবাসীদের কাছে লিখে পাঠালেন, ইবন উমার {রাদি.} নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর সূত্রে যেভাবে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা হুবহু অমুক অমুক তারিখে আমাদের নিকট পৌঁছেছে। তবে গণনার উত্তম পন্থা হলো, যখন আমরা শাবানের চাঁদ দেখবো তখন ইনশাআল্লাহ সওম রাখাবো। তবে যদি এক দিন পূর্বেই {উনত্রিশে শাবানের পর} চাঁদ দেখা যায় তাহলে সেই হিসেবে সওম রাখবো।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ মাকতু
সুনান আবু দাউদ ২৩২২
ইবন মাসউদ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ আমরা নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর সাথে ত্রিশ দিন সওম পালনের তুলনায় বেশিরভাগই উনত্রিশ দিন সওম পালন করেছি। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
নিসফে শবানের (শবে বরাত) হাদীসের মান বিশ্লেষণ
Reviews
There are no reviews yet.