Description
পর্দা একটি ইবাদত
পর্দা একটি ইবাদত বই
পিতার দাসীর সাথে সহবাস নিষিদ্ধ হওয়া
মুয়াত্তা মালিক ১১১৮
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.} তাঁর পুত্রকে একটি দাসী দান করলেন। এবং বলে দিলেন : তুমি একে স্পর্শ {সহবাস} করো না। কারণ আমি উহার পর্দা উন্মোচন করেছি {অর্থাৎ সহবাস করেছি}। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
আবদুর রহমান ইবন মুজাব্বার {১} {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : মালিক ইবন আব্দুল্লাহ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} তাঁর এক পুত্রকে একটি দাসী দান করলেন এবং তিনি পুত্রকে বলে দিলেন, তুমি এর নিকট গমন {সহবাস} করো না, কারণ আমি উহার সাথে সংগত হওয়ার ইচ্ছা করেছি। সুতরাং আমি তোমাকে উহার সহিত মিলিত হওয়ার অনুমতি দিতে পারি না। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} {১} মুজাব্বার: উল্লেখ্য যে, তাঁর নামও আবদুর রহমান। তাঁর বংশের সিলসিলাÑ আবদুর রহমান ইবন আবদুর রহমান ইবন আবদুর রহমান ইবন উমার ইবন খাত্তাব।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ১১১৯
ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবু নাহ্শল ইব্নু আসওয়াদ, কাসেম ইব্নু মুহাম্মাদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে বলিলেন : আমার এক দাসীকে চাঁদনী রাতে পরিচ্ছেদ খোলা অবস্থায় দেখেছি। সংগত হওয়ার উদ্দেশ্যে কোন পুরুষ তার স্ত্রীর নিকট যেভাবে বসে আমিও উহার নিকট সেইরূপ বসলাম। সে দাসী বলল : আমি ঋতুমতী। এটা শুনে আমি তার সাথে সংগত হলাম না। এখন আমি উহাকে সহবাসের জন্য আমার পুত্রকে দান করিতে চাই কিন্তু কাসেম তাহাকে এইরূপ করিতে নিষেধ করলেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ১৪১৭
আবদুল্লাহ ইব্নু আবী উমাইয়া {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
এক স্ত্রীলোকের স্বামীর ইন্তেকাল হয়। অতঃপর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করার পর অন্য একজনের নিকট তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর সেই স্বামীর নিকট সাড়ে চার মাস অতিবাহিত করার পর তার একটি পূর্ণাঙ্গ সন্তান ভূমিষ্ঠ হল। অতঃপর তার স্বামী উমার {রাজি.}-এর নিকট এসে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করিল। উমার {রাজি.} অন্ধকার যুগের কয়েকজন বৃদ্ধা স্ত্রীলোককে ডাকালেন এবং তাদেরকে এই সম্বন্ধে প্রশ্ন করলেন। তখন তাদের একজন বলল, আমি আপনাকে তার বৃত্তান্ত বলিতেছি। এই স্ত্রীলোকটি তার মৃত স্বামী হইতে গর্ভবতী হয়েছিল। সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় তার রক্তস্রাব হল, এতে সন্তান শুকিয়ে যায়। অতঃপর দ্বিতীয় বিবাহের পর স্বামী তার সাথে সংগত হওয়ায় সন্তানের উপর পুরুষের বীর্য পতিত হয়। এতে সন্তান নড়াচড়া করে এবং বড় হইতে থাকে। অতঃপর উমার {রাজি.} তাদের কথা সত্য বলে মানলেন এবং বিবাহ ভঙ্গ করে দিলেন এবং বলিলেন যে, তোমাদের সম্বন্ধে কোন খারাপ কথা আমি শুনিনি। অতঃপর সন্তানটি প্রথম স্বামীর ঔরসজাত বলে সিদ্ধান্ত দিলেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
পর্দা একটি ইবাদত
Reviews
There are no reviews yet.