Description
পোশাক পর্দা ও দেহ-সজ্জা
পোশাক পর্দা ও দেহ-সজ্জা বই
মুয়াত্তা মালিক ২৩৫
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, তোমাদের কেউ তার নিত্যব্যবহার্য কাপড় ব্যতীত জুমআর জন্য দুটি কাপড় তৈরীর করে রাখলে এতে কোন দোষ নাই। {সহীহ, আবু দাঊদ ১০৭৮, ইবন মাজাহ ১০৯৫, হাদীসটি আল্লামা আল বানী সহীহ বলেছেন, “সহীহ আল জামে” ৫৬৩৫, তার ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল}
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত; ইহরাম অবস্থায় না থাকলে আবদুল্লাহ ইবন উমার {রাজি.} তেল ও খুশবু না লাগিয়ে জুমআয় যেতেন না। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ৩৭৬
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার {রাজি.} সিজদায় যে স্থানে তাঁর মুখমণ্ডল রাখতেন, সে স্থানেই {অর্থাৎ তার পার্শ্বে} তাঁর উভয় হাতের তালু রাখতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আমি তাহাকে দেখেছি, তিনি অতি শীতের সময়ও তাঁর দুহাত জুব্বা {লম্বা পোশাক বিশেষ} হইতে বের করে কঙ্করময় ভূমিতে রাখতেন।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা মালিক ১৭৮১
মালিক {রহঃ} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার {রাজি.}-এর একজন দাসী ছিল। সে নিজে আযাদ মহিলাদের মতো সেজেছিল। উমার ইব্নু খাত্তাব {রাজি.} তাকে আযাদ মহিলার মতো সাজতে দেখে তাঁর কন্যা {উম্মুল মুমিনীন} হাফসা {রাজি.}-এর নিকট যেয়ে বলিলেন, আমি তোমার ভ্রাতার দাসীকে দেখলাম যে, সে আযাদ মহিলাদের মতো সাজসজ্জা করে লোকজনের মধ্যে চলাফেরা করছে। উমার ইব্নু খাত্তাব {রাজি.} একে খারাপ মনে করিয়াছেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ১২৪২
একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর খেদমতে উপস্থিত হলেন এবং বলিলেন : ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার কন্যার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে তার চক্ষুতে ব্যথা, আমি কি তার চক্ষুতে সুরমা লাগাতে পারি? {উত্তরে} রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন : না দুইবার অথবা তিনবার বলিলেন : প্রতিবার এইরূপ না বলিলেন। অতঃপর বলিলেন। ইদ্দত হচ্ছে চার মাস দশ দিন। জাহিলিয়্যা যুগে তোমাদের প্রথা ছিল একজন এক বৎসর পূর্ণ হলে উটের মল ছুড়ে মারত। হুমায়িদ ইবন নাফি বলেন : আমি যয়নাবকে বললাম, এক বৎসর পূর্ণ হলে উটের মল কেন ছুড়ে মারত? যয়নাব {রাজি.} বলিলেন : কোন মেয়েলোকের স্বামীর মৃত্যু হলে {নিয়ম এই ছিল যে,} সে একটি কুঠরিতে প্রবেশ করত এবং নিকৃষ্ট বস্ত্র পরিধান করত, খোশবু এবং এজাতীয় কোন {সাজ সজ্জার কোন কিছু} বস্তু স্পর্শ করত না। এভাবে এক বৎসর অতিবাহিত হলে পর তার কাছে উপস্থিত করা হত চতুষ্পদ জন্তু গাধা, বকরী অথবা কোন পাখী এবং উহা দ্বারা {তার লজ্জাস্থানে} ঘর্ষণ করা হত, ঘর্ষণ করার পর সেই জীব প্রায় মারা যেত, তারপর সে বদ্ধ ঘর হইতে বের হত। অতঃপর তার সম্মুখে উটের মল উপস্থিত করা হত সে উহাকে ছুড়ে মারত। তারপর যা ইচ্ছা খোশবু ইত্যাদি ব্যবহার করত।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : হিফশ حِفْشُ শব্দের অর্থ নিকৃষ্ট ঘর, تَفْتَضُّ -এর অর্থ উহাকে দেহের চামড়ায় ঘর্ষণ করত যেমন করাত।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
পোশাক পর্দা ও দেহ-সজ্জা
Reviews
There are no reviews yet.