Description
প্রশ্নোত্তরে কুরবানী ও আক্বীকার বিধান
প্রশ্নোত্তরে কুরবানী ও আক্বীকার বিধান
মুয়াত্তা মালিক ৪১৭
ইবন আযহারের মাওলা আবু উবায়দ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমি ঈদের নামাযে উমার ইবন খাত্তাব {রাজি.}-এর সাথে শরীক হয়েছি। তিনি ঈদের নামাজ আদায় করালেন, অতঃপর {মিম্বরে} প্রত্যাগমন করলেন এবং লোকের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। খুতবায় তিনি বলিলেন, এ দুটি {ঈদের} দিবস এমন যে, রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ উভয় দিবসে রোযা রাখতে নিষেধ করেন, তোমাদের রোযা খোলার {অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের} দিন আর তোমাদের কুরবানীর গোশত আহার করার দিন। {বোখারি ১৯৯০, মুসলিম ১১৩৭}
আবু উবায়দ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, অতঃপর আমি উসমান ইবন আফফান {রাজি.}-এর সাথেও ঈদে হাযির হয়েছি। তিনি {ঈদগাহে} আসার পর নামাজ আদায় করলেন, তারপর {মুসল্লা হইতে} ফিরে খুতবা করলেন, আজকের এই দিনে তোমাদের জন্য দুটি ঈদ একত্র হয়েছে {শুক্রবার হওয়ার কারণে।} মদীনার বাহিরের লোকেরা ইচ্ছা করলে জুমআর নামাযের জন্য অপেক্ষা করিতে পারে অথবা ইচ্ছা করলে নিজেদের এলাকায় ফিরেও যেতে পারে, আমি তাদেরকে এ অনুমতি দিলাম।
আবু উবায়দ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আলী ইবন আবি তালিব {রাজি.}-এর সঙ্গে আমি উপস্থিত ছিলাম, যখন উসমান {রাজি.} অবরুদ্ধ ছিলেন। আলী {রাজি.} আসলেন এবং নামাজ আদায় করলেন, তারপর লোকদের দিকে মুখ করলেন ও খুতবা দিলেন।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ৪১৯
ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} তাহাকে অবগত করেন যে, {তাঁদের যুগে} ঈদুল ফিতরের দিন লোকজন সকালে ঈদে যাওয়ার পূর্বে কিছু আহার করার জন্য নির্দেশিত হত।
ইয়াহইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেছেন, ঈদুল আযহাতে {কুরবানীর ঈদে} লোকের জন্য আমি এটা প্রয়োজন মনে করি না। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ৭৩৪
জাফর ইবন মুহাম্মদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
জাফর ইবন মুহাম্মদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন মিকদাদ ইব্নু আসওয়াদ {রাজি.} সুক্ইয়াতে {১} আলী ইবন আবু তালিব {রাজি.}-এর নিকট আসলেন। আলী {রাজি.} তখন উটের বাচ্চাগুলোকে পানিতে গোলা আটা এবং ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। মিকদাদ {রাজি.} বলিলেন, উসমান ইবন আফফান {রাজি.} হজ্জে কিরান করিতে নিষেধ করিতেছেন। এটা শুনে আলী {রাজি.} ঐ অবস্থায়ই উসমান ইবন আফফান {রাজি.}-এর সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন। তখনও তাঁর হাতে আটা লেগেছিল। আজ পর্যন্ত আমি তাঁর হাতের আটার দাগ ভুলতে পারিনি। তিনি উসমান {রাজি.}-এর নিকট গিয়ে বলিলেন, আপনি হজ্জে কিরান নিষেধ করেন ? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, এটা আমার মত। আলী {রাজি.} ক্রোধান্বিত হয়ে বের হয়ে গেলেন এবং বলিলেন,
لَبَّيْكَ اللهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا.
হে আল্লাহ্, আমি হজ্জ ও উমরা উভয়ের এক সঙ্গে তালবিয়া পাঠ করলাম। {২} {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, হজ্জে কিরানের ইহরামকারী ব্যক্তি দশ তারিখে কুরবানীর পশু যবেহ না করা {তার সঙ্গে পশু هَدْيً থাকলে} এবং মিনায় গিয়ে ইহরাম না খোলা পর্যন্ত নিজের চুল কাটবে না। এবং ইহরাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধ তা করিবে না। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} {১} এটা মক্কার পথে অবস্থিত একটি জনবসতি।
{২} নাসাঈ শরীফের এক বর্ণনায় জানা যায়, উসমান {রাজি.} পরে তাঁর এ মত প্রত্যাহার করে হজ্জে কিরানকে জায়েয বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। অতঃপর সঙ্গিগণের দিকে লক্ষ করে বলেছিলেন, হজ্জ ও উমরার হুকুম একই। তোমাদেরকে আমি সাক্ষ্য রাখছি যে, উমরার সঙ্গে সঙ্গে আমি এখন হজ্জেরও নিয়ত করলাম।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
প্রশ্নোত্তরে কুরবানী ও আক্বীকার বিধান
Reviews
There are no reviews yet.