Description
ফাযায়েলে আমল ও রাযায়েলে আমল
ফাযায়েলে আমল ও রাযায়েলে আমল
মুয়াত্তা মালিক ১২২১
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যিব এবং সুলায়মান ইবন ইয়াসার {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} তাদের উভয়কে নেশাগ্রস্থ {মাতাল} ব্যক্তির তালাক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। উভয়ে উত্তর দিলেন, নেশাগ্রস্থ মাতাল ব্যক্তি তালাক দিলে তার তালাক বৈধ হইবে। সে কোন ব্যক্তিকে হত্যা করলে {কিসাসস্বরূপ} তাকেও হত্যা করা হইবে। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন} মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, এই ফতোয়াই আমাদের নিকট গৃহীত বা সর্বাধিক সংগত।
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যিব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলিতেন : স্ত্রীর খোরপোশ দিতে স্বামী অক্ষম হলে তাদের উভয়কে পৃথক করে দেয়া হইবে। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আমাদের শহরের আলিম সমাজকে আমি এই মাসআলার উপর {এইরূপ ফতোয়া দিতে ও আমল করিতে} দেখেছি।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা মালিক ১২৬৫
আমরা বিনত আবদির রহমান {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
নবী করীম {স}-এর পত্নী আয়িশা {রাজি.} বলেছেন : কুরআনে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তাতে দশবার দুধ চোষার কথা নির্ধারিত ছিল, যা হারাম করিবে, তারপর উহা রহিত হইয়া যায় নির্ধারিত পাঁচবার দুগ্ধ চোষার {অবতীর্ণ হুকুমের} দ্বারা। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর ওফাত হয় তখনও সেই পাঁচবার দুধ চোষার {হুকুমের অংশ} সম্মিলিত আয়াত তিলাওয়াত করা হত। {১} {সহীহ, মুসলিম ১৪৫২}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, এর উপর আমল নাই। অর্থাৎ পাঁচবারের উপর আমল নাই। দুগ্ধ পান অল্প হোক বা বেশি হোক বিবাহ সম্পর্ক হারাম করিবে।{১} রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর শেষ যুগে পাঁচবারের অংশের আয়াত তিলাওয়াত রহিত হয়ে যায়, কিন্তু কেউ কেউ উহার সংবাদ অবহিত হয়নি।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ১৪৩৪
ইয়াহ্ইয়া ইব্নু আবদির রহমান {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
একদা হাতিব {রাজি.}-এর এক ক্রীতদাস মুযাইনাহ্ গোত্রের এক ব্যক্তির উট চুরি করে যবেহ করে ফেলে। এর মামলা উমার {রাজি.}-এর দরবারে গেলে তিনি কাসীর ইব্নু সলত {রাজি.}-কে নির্দেশ দিলেন যে, ঐ ক্রীতদাসের হাত কেটে ফেল। অতঃপর তিনি হাতিব {রাজি.}-এর দিকে তাকিয়ে বলিলেন, আমার মনে হয় যে, তুমি ক্রীতদাসদেরকে অনাহারে রাখ, আল্লাহর কসম, আমি এর জন্য তোমার এমন জরিমানা করব যা তোমার জন্য খুব ভারী হইবে। তার পর উটের মালিককে উটের মূল্য সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল, আল্লাহর কসম, আমি তা চারশত দিরহামেও বিক্রি করতাম না। উমার {রাজি.} হাতিবকে আটশত দিরহাম জরিমানা দিতে বলিলেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন এদের উপর আমাদের আমল নাই কিন্তু আমাদের আমল এই কথার উপর যে, যেদিন উট খরিদ করা হয়েছে সে দিনের মূল্য দিতে হইবে।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
ফাযায়েলে আমল ও রাযায়েলে আমল
Reviews
There are no reviews yet.