Description
মনোনীত ধর্ম
মনোনীত ধর্ম
খারেজীদেরকে হত্যার ব্যাপারে উৎসাহিত করা।
লু লু ওয়াল মারজান ৬৪৩
আলী {রাযিঃ} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি যখন তোমাদের নিকট আল্লাহর রসূল{সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর কোন হাদীস বর্ণনা করি, তখন আমার এমন অবস্থা হয় যে, তাহাঁর উপর মিথ্যারোপ করার চেয়ে আকাশ হইতে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া আমার নিকট বেশি পছন্দনীয় এবং আমরা নিজেরা যখন আলোচনা করি তখন কথা হল এই যে, যুদ্ধ ছল-চাতুরী মাত্র। আমি নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, শেষ যুগে একদল যুবকের আবির্ভাব ঘটবে যারা হইবে স্বল্পবুদ্ধি সম্পন্ন। তারা মুখে খুব ভাল কথা বলবে। তারা ইসলাম হইতে বেরিয়ে যাবে যেভাবে তীর ধনুক হইতে বেরিয়ে যায়। তাহাদের ঈমান গলদেশ পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করিবে না। যেখানেই এদের সঙ্গে তোমাদের দেখা মিলবে, এদেরকে তোমরা হত্যা করে ফেলবে। যারা তাহাদের হত্যা করিবে তাহাদের এই হত্যার পুরস্কার আছে ক্বিয়ামাতের দিন। {বোখারী হাদিস পর্ব ৬১ : /২৫, হাঃ ৩৬১১, মুসলিম ১২/৪৮ হাঃ ১০৬৬, আহমাদ ৬১৬} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১২/৪৯.
খারিজীরা সৃষ্টি ও স্বভাবের দিক দিয়ে নিকৃষ্ট।
লু লু ওয়াল মারজান ৬৪৪
ইউসায়র ইবনি আমর {রহমাতুল্লাহি আ:} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি সাহ্ল ইবনি হুনায়ফ {রাজি.}-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে খারিজীদের সম্পর্কে কিছু বলিতে শুনেছেন কি? তিনি বলিলেন, আমি তাকে বলিতে শুনিয়াছি, আর তখন তিনি তাহাঁর হাত ইরাকের দিকে বাড়িয়েছিলেন যে, সেখান থেকে এমন একটি কওম বের হইবে যারা কুরআন পড়বে সত্য, কিন্তু তা তাহাদের গলদেশ অতিক্রম করিবে না, তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। {বোখারী হাদিস পর্ব ৮৮ : /৭ হাঃ ৬৯৩৪, মুসলিম হাঃ} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
লু লু ওয়াল মারজান ৮০৩
উরওয়াহ {রহমাতুল্লাহি আ:} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ্ {রাজি.}-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, মহান আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? “সাফা ও মারওয়াহ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। কাজেই যে কেউ কাবা ঘরে হাজ্জ বা উমরাহ সম্পন্ন করে, এ দুটির মাঝে যাতায়াত করলে তার কোন দোষ নেই”- {আল-বাকারাহঃ ১৫৮}। {আমার ধারণা যে} সাফা-মারওয়াহর মাঝে কেউ সাঈ না করলে তার কোন দোষ নেই। তখন তিনি (আয়েশা {রাজি.}) বলিলেন, ওহে বোনপো! তুমি যা বললে, তা ঠিক নয়। কেননা, যা তুমি তাফসীর করলে, যদি আয়াতের মর্ম তা-ই হতো, তাহলে আয়াতের শব্দ বিন্যাস এভাবে হতো {আরবী}- “দুটোর মাঝে সাঈ না করায় কোন দোষ নেই।” কিন্তু আয়াতটি আনসারদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণের পূর্বে মুশাল্লাল নামক স্থানে স্থাপিত মানাত নামের মূর্তির পূজা করত, তার নামেই তারা ইহরাম বাঁধত। সে মূর্তির নামে যারা ইহরাম বাঁধত তারা সাফা-মারওয়াহ সাঈ করাকে দোষাবহ মনে করত। ইসলাম গ্রহণের পর তাঁরা আল্লাহর রসূল {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রসূল! পূর্বে আমরা সাফা ও মারওয়া সাঈ করাকে দোষাবহ মনে করতাম {এখন কী করবো?} এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তাআলা {আরবী} অবতীর্ণ করেন। আয়িশাহ্ {রাজি.} বলেন, {সাফা ও মারওয়ার মাঝে} উভয় পাহাড়ের মাঝে সাঈ করা আল্লাহর রসূল {সাল্লাল্লাহু আঃ}র বিধান দিয়েছেন। কাজেই কারো পক্ষে এ দুয়ের সাঈ পরিত্যাগ করা ঠিক নয়। {রাবী বলেন} এ বছর আবু বাকার ইবনি আবদুর রহমান {রাজি.}-কে ঘটনাটি জানালাম। তখন তিনি বলিলেন, আমি তো এ কথা শুনিনি, তবে আয়িশাহ্ {রাজি.} ব্যতীত বহু আলিমকে উল্লেখ করিতে শুনিয়াছি যে, মানাতের নামে যারা ইহরাম বাঁধত তারা সকলেই সাফা ও মারওয়া সায়ী করত, যখন আল্লাহ কুরআনে বাইতুল্লাহ তাওয়াফের কথা উল্লেখ করিলেন, কিন্তু সাফা ও মারওয়ার আলোচনা তাতে হলো না, তখন সাহাবাগণ বলিতে লাগলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা সাফা ও মারওয়া সাঈ করতাম, এখন দেখি আল্লাহ কেবল বাইতুল্লাহ তাওয়াফের কথা অবতীর্ণ করিয়াছেন, সাফার উল্লেখ করেননি। কাজেই সাফা ও মারওয়ার মাঝে সায়ী করলে আমাদের দোষ হইবে কি? এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন¬ {আরবী} আবু বাক্র {রাজি.} আরো বলেন, আমি শুনতে পেয়েছি, আয়াতটি দু প্রকার লোকদের উভয়ের প্রতি লক্ষ্য করেই অবতীর্ণ হয়েছে, অর্থাৎ যারা জাহিলী যুগে সাফা ও মারওয়া সাঈ করা হইতে বিরত থাকতেন, আর যারা তৎকালে সায়ী করত বটে, কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর সায়ী করার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের দ্বিধার কারণ ছিল আল্লাহ বাইতুল্লাহ তাওয়াফের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু সাফা ও মারওয়ার কথা উল্লেখ করেননি? অবশেষে বাইতুল্লাহ তাওয়াফের কথা আলোচনা করার পর আল্লাহ সাফা ও মারওয়া সাঈ করার কথা উল্লেখ করেন। {বোখারী হাদিস পর্ব ২৫/৭৯ হাঃ ১৬৪৩, মুসলিম হাদিস পর্ব ১৫/৪৩, হাঃ ১২৭৭} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
মনোনীত ধর্ম
Reviews
There are no reviews yet.