Description
মুনাজাত ও নামায
মুনাজাত ও নামায বই
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৩৬৮
আবু হুরায়রা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, তোমাদের যে ব্যক্তি যে মুসল্লায় নামাজ আদায় করেছে , সে মুসল্লায় যতক্ষণ বসা থাকে এবং ওযূ ছুটে যায় মত কোন কাজ না করে ততক্ষণ ফেরেশতাগণ এই বলে দোয়া করিতে থাকেন, اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْهُ
“হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দার গুনাহ মাফ করো, হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দার প্রতি রহমত বর্ষণ করো।” {বোখারি ৪৪৫, মুসলিম ৬৪৯}
ইয়াহইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেছেন, হাদিসে বর্ণিত, مَا لَمْ يُحْدِثْ {মালাম য়ুহদিস} বাক্যটির অর্থ আমার মতে, {মুসল্লি কতৃক} এমন কোন কাজ করা যাতে ওযূ ভেঙে যায়, এটা অন্য কিছু নয় ।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৯৭৪
আবদুল্লাহ্ ইবন মুগীরা ইবন আবু বুরদা কেনানী {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ {সাঃআঃ} তাদের সকল কবীলার লোকদের কাছে এসে তাদের জন্য দোয়া করেছিলেন। কিন্তু একটি কবীলার জন্য দোয়া করেননি। এই কবীলার একটি লোকের বিছানার নিচে আকীক পাথরের তৈরি একটি চুরি করা হার পাওয়া গিয়েছিল। এই কবীলার নিকট এসে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ মুর্দাদের বেলায় যেমন তাকবীর পড়া হয় তদ্রূপ তাকবীর পাঠ করেছিলেন। {১} {হাদীসটি ঈমাম মালেক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}{১} গনীমতের মাল চুরি করা জঘন্য অপরাধ এবং যারা এ কাজ করে তারা মৃত ব্যক্তির সমতুল্য। হয়ত ইহা বুঝাবার জন্য রসূলুল্লাহ্ {সা} তাকবীর পড়েছিলেন।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪৭৪
আবু হুরায়রা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ এ দোয়াটি দৈনিক একশত বার পাঠ করিবে, এটা তাঁর জন্য দশটি গোলাম আযাদ করা সমতুল্য হইবে তাঁর জন্য একশত নেকী হইবে এবং তাঁর {আমলনামা} হইতে একশত গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হইবে আর সেদিন সন্ধা পর্যন্ত এটা তাঁর জন্য শয়তান হইতে রক্ষাকবচ হইবে; আর সে যে আমল পেশ করেছে অন্য কেউ তা হইতে শ্রেষ্ঠ কোন আমল পেশ করে নি একমাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত যে ব্যক্তি {তাঁর} এই আমল অপেক্ষা অধিক আমল করেছে। {বোখারি ৩২৯৩, মুসলিম ২৬৭১}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪৭৯
রিফায়া ইবন রাফি {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর সাথে নামাজ আদায় করছিলাম, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ রুকূ হইতে মাথা উঠালেন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলিলেন, তাঁর পশ্চাতে এক ব্যক্তি বলল, رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ যখন নামাজ সমাপ্ত করলেন, তখন বলিলেন, এখন মুতাকাল্লিম {তসবীহ পাঠকারী} কে ছিল ? সে ব্যক্তি বলল, আমি, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, আমি অবশ্য ত্রিশোর্ধ ফেরেশতাকে দেখেছি, তাঁদের মধ্যে এটাকে সর্বপ্রথম কে লিপিবদ্ধ করিবেন, এটা নিয়ে তারা খুব তাড়াহুড়া করিতেছেন। {সহীহ, বোখারি ৭৯৯}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৪৮৯
আবদুল্লাহ্ ইবন জাবির ইবন আতিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আমাদের নিকট আবদুল্লাহ ইবন উমার {রাজি.} এলেন বনু মুআবিয়াতে-এটা আনসারগণ অধ্যুষিত একটি লোকালয়। তিনি বলিলেন তোমাদের মসজিদের কোন স্থানে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ নামাজ আদায় করিয়াছেন, তোমরা তা অবগত আছ কি? আমি তাহাকে বললাম হ্যাঁ এবং সে মসজিদের এক কিনারার দিকে ইশারা করলাম। তারপর তিনি আমাকে বলিলেন, তুমি জান কি সে তিনটি দুআ কি ছিল যা রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ সে স্থানে করেছিলেন? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বলিলেন তবে আমাকে সে দুআগুলির খবর দাও। অতঃপর আমি বললাম তিনি দুআ করেন- {১} যেন তাদের উপর অমুসলিম শত্রুকে বিজয়ী না করা হয়। {২} আর দুর্ভিক্ষ দ্বারা যেন তাদেরকে ধ্বংস করা না হয়। এ দুটি তাহাকে প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও দুআ করেন, {৩} তাদের ধ্বংস তাদের পরস্পরের হানাহানি দ্বারা যেন না হয়। কিন্তু তাঁর এ দুআ মঞ্জুর করা হয়নি। তিনি বলিলেন, তুমি ঠিক বলেছ। আবদুল্লাহ {রাজি.} বলিলেন, তবে পরস্পরের কলহ বরাবর থাকিবে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত। {সহীহ, মুসলিম ২৮৯০}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুনাজাত ও নামায
Reviews
There are no reviews yet.