Select Page

মুসনাদে আহমদ ২য় খন্ড – ইসলামিক ফাউন্ডেশন

৳ 475.00

Title: মুসনাদে আহমাদ ১ম খণ্ড

Author: ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল

Publisher: ইসলামিক ফাউন্ডেশন

Country: বাংলাদেশ

Language: বাংলা

Description

মুসনাদে আহমদ ২য় খন্ড

পরিচ্ছেদঃ

 

২৩। ইবনে ওমর [রাঃআঃ] বলেন, আমি আবু বাকর [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খারাপ কায করে, সে দুনিয়াতে তার প্রতিফল পায়।{১}

 

{১}. [তিরমিযী-৩০৩৯]

২৪। উসমান [রাঃআঃ] বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ যখন ইন্তিকাল করিলেন, তখন রাসূলের সাহাবীগণ খুব বেশি শোকাহত ও মর্মাহত হলেন। এমনকি তাদের অনেকে নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হবার উপক্রম করিলেন। আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এরপর শোয়াইব থেকে আবুল ইয়ামান কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটির বক্তব্য তুলে ধরলেন। [হাদীস নং ২০ দ্রষ্টব্য]

 

পরিচ্ছেদঃ

 

২৪। উসমান [রাঃআঃ] বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ যখন ইন্তিকাল করিলেন, তখন রাসূলের সাহাবীগণ খুব বেশি শোকাহত ও মর্মাহত হলেন। এমনকি তাদের অনেকে নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হবার উপক্রম করিলেন। আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এরপর শোয়াইব থেকে আবুল ইয়ামান কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটির বক্তব্য তুলে ধরলেন। [হাদীস নং ২০ দ্রষ্টব্য]

 

 

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

২৫

 

পরিচ্ছেদঃ

 

২৫। আয়িশা [রাঃআঃ] জানানঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর ফাতিমা [রাঃআঃ] আবু বাকর [রাঃআঃ] কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সেই সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ ভাগ করে দিতে অনুরোধ করিলেন, যা আল্লাহ তাআলা তাকে দিয়েছেন। আবু বাকর [রাঃআঃ] তাঁকে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেনঃ আমাদের [অর্থাৎ নাবীদের] সম্পত্তির কোন উত্তরাধিকারী থাকে না। আমরা যে সম্পত্তি রেখে যাই, তা সাদাকা মাত্র। এতে ফাতিমা [রাঃআঃ] রেগে গেলেন। অতঃপর আবু বকর [রাঃআঃ] এর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করিলেন এবং ফাতিমার মৃত্যু অবধি তিনি এই সম্পর্কচ্ছেদ অব্যাহত রাখলেন।

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর ফাতিমা [রাঃআঃ] ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ফাতিমা [রাঃআঃ] আবু বাকরের নিকট খাইবার ও ফাদাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ও মদীনায় তাহার  সাদাকাস্বরূপ রেখে যাওয়া সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ চাইলেন। আবু বাকর [রাঃআঃ] তা দিতে অস্বীকার করিলেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ যা কিছুই করিতেন, আমি তার কিছুই করিতে বাদ রাখবো না। বাদ রাখলে আমার আশঙ্কা যে, আমি বিপথগামী হয়ে যাবো।

 

অবশ্য মদীনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাদাকাস্বরূপ যে সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন, ওমর [রাঃআঃ] সে সম্পত্তিকে আলী [রাঃআঃ] ও আব্বাস [রাঃআঃ] এর দায়িত্বে সমর্পণ করেন। পরে আলী [রাঃআঃ] তার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। আর খাইবার ও ফাদাকের সম্পত্তি ওমর [রাঃআঃ] নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে দেন এবং বলেনঃ এ দুটো সম্পত্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাদাকা। এ দুটো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজের ও তাহার  স্থলাভিষিক্তের অধিকারভুক্ত ছিল। যিনি শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হইবেন, তিনিই এ দুটোর তত্ত্বাবধায়ক থাকিবেন। আযও পর্যন্ত এ দুটো সম্পত্তি সেইভাবেই রহিয়াছে।{১}

 

{১}. বুখারীর মতে হাদীসটি সহীহ, ৩০৯২, মুসলিমের মতেও সহীহ, ১৭৫৯] [অত্র গ্রন্থের ৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য]

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

২৬

 

পরিচ্ছেদঃ

 

২৬। আয়িশা [রাঃআঃ] বলেন, আবু বাকর [রাঃআঃ] যখন মৃত্য শয্যায়, তখন তিনি [আয়িশা] নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করে আবু বাকরের উদাহরণ পেশ করিলেন:

 

 

“তিনি এমন শুভ্ৰ-উজ্জ্বল, যে তাহার  মুখমণ্ডলের দোহাই দিয়ে মেঘের কাছে বৃষ্টি কামনা করা হয়। তিনি ইয়াতীমদের আশ্রয়স্থল এবং বিধবাদের রক্ষক।”

 

এ কথা শুনেই আবু বাকর [রাঃআঃ] বলে উঠলেন, “আল্লাহর কসম! এই পংক্তিতে যার উদাহরণ পেশ করা হয়েছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ ছাড়া আর কেউ নন।”

 

পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

২৭

 

পরিচ্ছেদঃ

 

২৭। ইবনে জুরাইয বলেনঃ আমার পিতা জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর সাহাবায়ে কিরাম তাহার  কবর কোথায় খোঁড়া হইবে তা কিছুতেই স্থির করিতে পারছিলেন না। অবশেষে যখন আবু বাকর [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলিতে শুনেছি, কোন নাবীকেই কখনো যেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন সেখানে ছাড়া কবর দেয়া হয়না, তখন তাহার  বিছানা সরানো হলো এবং বিছানার নিচে তাহার  কবর খোঁড়া হলো।

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

২৮

 

পরিচ্ছেদঃ

 

২৮। হাদীস নং ৮ দ্রষ্টব্য।

 

{৮। আবু বাকর আস সিদ্দিক [রাঃআঃ] বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলেছিলেন আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমি নামাযের মধ্যে দুআ করিতে পারি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেন, এই দুআটি পড়ঃ

 

اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

 

অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি নিজের ওপর অনেক অত্যাচার করেছি। তুমি তোমার পক্ষ হইতে আমার গুনাহ মাফ করে দাও এবং আমার প্রতি করুণা কর। নিশ্চয়ই তুমিই ক্ষমাশীল ও দয়াশীল”। [হাদীস নং ২৮ দ্রষ্টব্য] অন্য বর্ণনায় “অনেক অত্যাচার” এর পরিবর্তে “বিরাট অত্যাচার” বলা হয়েছে।}

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

২৯

 

পরিচ্ছেদঃ

 

২৯। হাদীস নং ১ দ্রষ্টব্য [এ হাদীসটিতে অন্যায়ের প্রতিরোধের পরিবর্তে অত্যাচারীর প্রতিরোধ উল্লেখ করা হয়েছে।]

 

{১। আবু আবদুর রহমান আবদুল্লা ইবনে আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বলেনঃ আমাকে আমার পিতা আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বিন হিলাল বিন আসাদ তদীয় পুস্তক থেকে জানিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আমাকে আবদুল্লা বিন নুমায়ের বলেছেন, আমাকে ইসমাইল [অর্থাৎ খালিদের পিতা] কায়েস থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, একদিন আবু বাকর [রাঃআঃ] যনসমক্ষে দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা করিলেন, অতঃপর বললেনঃ হে যনগণ! তোমাদের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি এ আয়াত পাঠ করে থাকেঃ

 

 

অর্থাৎ “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সাবধান হও। তোমরা নিজেরা যখন হিদায়াত লাভ করিবে [সৎপথে চলবে] তখন যে ব্যক্তি বিপথগামী হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করিতে পারবে না”। [মায়েদাঃ ১০৫]

 

কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলিতে শুনেছিঃ “লোকেরা যখন অন্যায় সংঘটিত হইতে দেখবে, অথচ তার প্রতিরোধ করিবে না, তখন অচিরেই আল্লাহ্ তাদের ওপর সর্বব্যাপী আযাব নাযিল করবেন।” [অর্থাৎ অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী-সকলেই সেই আযাবে নিপতিত হইবে।]}

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩০

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩০। হাদীস নং ২৯ দ্রষ্টব্য

 

দেখুন পূর্বের হাদীস।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩১

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩১। হাদীস নং ১৩ দ্রষ্টব্য

 

{১৩। আবু বাকর আস সিদ্দিক [রাঃআঃ] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেনঃ কোন কৃপণ, ছদ্মবেশধারী ধোঁকাবায, খিয়ানতকারী ও অসচ্চরিত্র ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না। সর্বপ্রথম যারা জান্নাতের দরজার কড়া নাড়বে তারা হইবে দাসদাসী যদি তারা আল্লাহর সাথে ও তাদের মনিবের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করে।}

 

পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩২

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩২। হাদীস নং ১৩ দ্রষ্টব্য

 

{১৩। আবু বাকর আস সিদ্দিক [রাঃআঃ] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেনঃ কোন কৃপণ, ছদ্মবেশধারী ধোঁকাবায, খিয়ানতকারী ও অসচ্চরিত্র ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না। সর্বপ্রথম যারা জান্নাতের দরজার কড়া নাড়বে তারা হইবে দাসদাসী যদি তারা আল্লাহর সাথে ও তাদের মনিবের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করে।}

 

পার্থক্যঃ ১৩ নং হাদীসে আছে “মনিবদের সাথে ন্যায়সংগত আচরণ করে”। এ হাদীসে আছে, “মনিবদের আনুগত্য করে”

 

পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩৩

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩৩। হাদীস নং ১২ দ্রষ্টব্য

 

{১২। আবু বাকর আস সিদ্দিক [রাঃআঃ] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ আমাদেরকে বলেছেনঃ প্রাচ্যের খোরাসান নামক একটি জায়গা থেকে দাজ্জাল আবির্ভূত হইবে। এমন কিছু যনগোষ্ঠী তার অনুসরণ করিবে যাদের মুখমণ্ডল হাতুড়ি পিটিয়ে বানানো ঢাল সদৃশ।}

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩৪

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩৪। হাদীস নং ৫ দ্রষ্টব্য

 

{৫। একবার আবু বাকর [রাঃআঃ] তাহার  ভাষণে বলেন: গত বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায পড়িয়েছিলেন। এ কথা বলে আবু বাকর [রাঃআঃ] কাঁদতে লাগলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট সুস্থতা কামনা কর। কেননা ইয়াকীনের [দৃঢ় বিশ্বাস বা মযবুত ইমান] পর কেউ সুস্থতার চেয়ে উত্তম কোন জিনিস প্রাপ্ত হয়নি। [অর্থাৎ ইমানের পর সুস্থতা আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত।] তোমরা সত্যবাদিতাকে আঁকড়ে ধর। কেননা তা পুণ্যের সাথে যুক্ত। এই দুটোই জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা মিথ্যাচার থেকে সাবধান থাক। কেননা মিথ্যাচার পাপাচারের অন্তর্ভুক্ত। এই দুটোই জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা পরস্পরে হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না। একে অন্যের পেছনে লেগো না। বরঞ্চ আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক ভাই ভাই হয়ে থাক।}

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩৫

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩৫। আবু বাকর [রাঃআঃ] ও ওমর [রাঃআঃ] এই মর্মে সুসংবাদ প্ৰদান করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেনঃ আল কুরআন যেরূপ তরতাজাভাবে নাযিল হয়েছে, ঠিক সেই রকম তরতাজাভাবে আল কুরআন পাঠ করা যাকে আনন্দ দেয়, সে যেন ইবনে উন্মে আবদ যেভাবে আল কুরআন পাঠ করে, সেইভাবে পাঠ করে।{১}

 

{১}. ইবন হিব্বান [৭০৬৬] এর মতে হাদীসটি সহীহ] দ্রষ্টব্য হাদীস নং ৪২৫৫।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ হাসান   পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩৬

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩৬। দেখুন পূর্বের হাদীস।

 

{হাদীস নং ৩৫ ও ১৭৫ দ্রষ্টব্য।}

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ হাসান   পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩৭

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩৭। একবার উসমান [রাঃআঃ] বলিলেন, কতই ভালো হতো, যদি শয়তান আমাদেরকে যে কু-প্ররোচনা দেয়, তা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, সে কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিজ্ঞাসা করে নিতাম। এ কথা শুনে আবু বাকর [রাঃআঃ] বলিলেন, আমি এ কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি যবাব দিলেন, যে কথাটি আমি আমার চাচাকে বলিতে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তা তিনি বলেননি, সেই কথাটি বলাই শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমাদের মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায়। [অর্থাৎ বারংবার কালেমায়ে শাহাদাত উচ্চারণ বা স্মরণ করা-অনুবাদক] [দেখুন হাদীস নং ২০]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩৮

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩৮। একবার আবু বাকর [রাঃআঃ] যনগনের সামনে ভাষণ দেয়ার সময় বলিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেনঃ পৃথিবীতে মানুষকে যত নিয়ামত দেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে মযবুত ইমান ও সুস্থতা। সুতরাং তোমরা আল্লাহর কাছে এই দুটো জিনিস চাও। [দেখুন হাদীস নং ৫]

 

[হাদীসটি এখানে অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত আকারে এসেছে। -অনুবাদক]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৩৯

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৩৯। ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যন্য যখন লোকেরা কবর খননের সিদ্ধান্ত নিল, তখন আবু উবাইদা ইবনল জাররাহ মক্কাবাসীর রীতি অনুযায়ী কবর খনন করিতেন, আর আবু তালহা মদীনাবাসীর যন্য লাহাদ পদ্ধতিতে কবর খনন করিতেন। আব্বাস দুই ব্যক্তিকে ডেকে এনে একযনকে বললেনঃ আবু উবায়দার কাছে যাও, অপরযনকে বললোঃ আবু তালহার নিকট যাও। হে আল্লাহ, তোমার রাসূলের যন্য যেটি ভালো হয়, সেটি বেছে নাও। এরপর যে ব্যক্তিকে আবু তালহার নিকট পাঠানো হয়েছিলো, সে আবু তালহাকে পেল এবং আবু তালহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যন্য লাহদ তৈরি করলো। [২৩৫৭ নং হাদীসটিতে এর পুনরাবৃত্তি হয়েছে]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪০

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪০। উকবা ইবনল হারিস [রাঃআঃ] বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের কিছুদিন পর আসরের নামায পড়ে আবু বাকর [রাঃআঃ] এর সাথে বের হলাম। তাহার  পাশাপাশি আলী [রাঃআঃ] হেঁটে যাচ্ছিলেন। কিছুদুর গিয়ে আলীর [রাঃআঃ] ছেলে হাসানের সাথে তাহার  দেখা হলো। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসানকে ঘাড়ে তুলে নিলেন আর নিম্নোক্ত পংক্তি আবৃত্তি করলেনঃ

 

“কী আশ্চর্য, আমার পিতার কসম। এতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মত দেখিতে। আলীর [রাঃআঃ] সাথে সাদৃশ্য নেই।” এ সময় আলী [রাঃআঃ] হাসছিলেন।{১}

 

{১}. বুখারীর মতে হাদীসটি সহীহ, [৩৫৪২] আল হাকেমের মতেও সহীহ, ৩/১৬৮]

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

 

৪১

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪১। আবু বাকর [রাঃআঃ] বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বসা ছিলাম। সহসা মায়েয বিন মালিক এল এবং [ব্যভিচার করেছে বলে] স্বীকারোক্তি করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ তাকে ফেরত পাঠালেন। তারপর সে পুনরায় এল এবং দ্বিতীয়বার স্বীকারোক্তি করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ পুনরায় তাকে ফেরত পাঠালেন। তারপর সে পুনরায় এল এবং তৃতীয়বার স্বীকারোক্তি করলো। আমি মায়েযকে বললামঃ তুমি যদি চতুর্থবার স্বীকারোক্তি কর, তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ তোমাকে রযম করবেন। [পাথর মেরে হত্যা করবেন।] এরপর সে চতুৰ্থবার স্বীকারোক্তি করলো। এবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ তাকে আটক করিলেন। তারপর [উপস্থিত সাহাবীদেরকে] মায়েযের চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন। তারা বললোঃ [ওর সম্পর্কে] আমরা ভালো ছাড়া অন্য কিছু জানি না। [অর্থাৎ সাধারণভাবে ওর চরিত্র ভালো।]। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ তাকে রযম করার আদেশ দিলেন।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪২

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪২। সালাসিল যুদ্ধে আবু বকরের [রাঃআঃ] সঙ্গী রাফে আত্ তায়ী বলেনঃ সাহাবায়ে কিরাম কর্তৃক আবু বাকরের [রাঃআঃ] হাতে বাইয়াত গ্ৰহণ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি এর যবাবে আনসারগণ যা যা বলাবলি করেছিল, তিনি তাদেরকে যা যা বলেছিলেন, ওমর ইবনল খাত্তাব [রাঃআঃ] আনসারগণকে যা যা বলেছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রোগশয্যায় থাকাবস্থায় তাহার  আদেশে তিনি যে মুসলিমদের নামাযে ইমামতি করেছিলেন, সে কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওমর যে কথা বলেছিলেন, সে সব কথা সবিস্তারে উল্লেখ করিলেন। তারপর বলিলেন, এরপর লোকেরা আমার হাতে বাইয়াত করলো। [অর্থাৎ আমাকে খালীফা নিযুক্ত করলো] আমি এ দায়িত্ব এই আশঙ্কায় গ্রহণ করলাম যে, পাছে অরাযকতা ছড়িয়ে না পড়ে এবং সেই অরাযকতার পর ধর্মদ্রোহিতা ছড়িয়ে না পড়ে।

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ হাসান   পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪৩

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪৩। আবু বাকর [রাঃআঃ] খালিদকে ইসলাম ত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলিতে শুনেছি, খালিদ বিন ওয়ালীদ আল্লাহর এক চমৎকার বান্দা, গোত্রের এক চমৎকার সদস্য এবং আল্লাহর তরবারিগুলোর অন্যতম তরবারী যাকে আল্লাহ কাফির ও মুনাফিকদের ওপর উত্তোলন করিয়াছেন।{১}

 

{১}. আল হাকেমের মতে, এটি সহীহ, [৩/২৯৮]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪৪

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪৪। ৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য

 

৫। একবার আবু বাকর [রাঃআঃ] তাহার  ভাষণে বলেনঃ গত বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায পড়িয়েছিলেন। এ কথা বলে আবু বাকর [রাঃআঃ] কাঁদতে লাগলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট সুস্থতা কামনা কর। কেননা ইয়াকীনের [দৃঢ় বিশ্বাস বা মযবুত ইমান] পর কেউ সুস্থতার চেয়ে উত্তম কোন জিনিস প্রাপ্ত হয়নি। [অর্থাৎ ইমানের পর সুস্থতা আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত।] তোমরা সত্যবাদিতাকে আঁকড়ে ধর। কেননা তা পুণ্যের সাথে যুক্ত। এই দুটোই জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা মিথ্যাচার থেকে সাবধান থাক। কেননা মিথ্যাচার পাপাচারের অন্তর্ভুক্ত। এই দুটোই জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা পরস্পরে হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না। একে অন্যের পেছনে লেগো না। বরঞ্চ আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক ভাই ভাই হয়ে থাক।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪৫

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪৫। আয়িশা [রাঃআঃ] বলেন, যখন আবু বাকরের [রাঃআঃ] মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এল, তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, আযকে কি বার? সবাই বললোঃ সোমবার। তিনি বললেনঃ আযকের মধ্যে যদি আমি মারা যাই তাহলে আগামী কাল পর্যন্ত আমার যন্য অপেক্ষা করো না। [অর্থাৎ আমার কাফন দাফন আযই সম্পন্ন করো। অনুবাদক] কেননা যেদিনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটতম, [অর্থাৎ তার ইন্তিকালের দিনের নিকটতম] সেটিই আমার প্রিয়তম দিন।

 

পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪৬

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪৬। হাদীস নং ৬৬ ও ৫ দ্রষ্টব্য

 

৫। একবার আবু বাকর [রাঃআঃ] তাহার  ভাষণে বলেন: গত বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায পড়িয়েছিলেন। এ কথা বলে আবু বাকর [রাঃআঃ] কাঁদতে লাগলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট সুস্থতা কামনা কর। কেননা ইয়াকীনের [দৃঢ় বিশ্বাস বা মযবুত ইমান] পর কেউ সুস্থতার চেয়ে উত্তম কোন জিনিস প্রাপ্ত হয়নি। [অর্থাৎ ইমানের পর সুস্থতা আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত।] তোমরা সত্যবাদিতাকে আঁকড়ে ধর। কেননা তা পুণ্যের সাথে যুক্ত। এই দুটোই জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা মিথ্যাচার থেকে সাবধান থাক। কেননা মিথ্যাচার পাপাচারের অন্তর্ভুক্ত। এই দুটোই জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা পরস্পরে হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না। একে অন্যের পেছনে লেগো না। বরঞ্চ আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক ভাই ভাই হয়ে থাক।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪৭

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪৭। ২ নং হাদীসের অনুরূপ।

 

সংযোযনঃ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ নিম্নোক্ত আয়াত দুটি পাঠ করলেনঃ “যে ব্যক্তি কোন খারাপ কায করে অথবা নিজের ওপর যুলম করে, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও দয়ালু পাবে।” [সূরা আন-নিসা]

 

“যারা কোন অশ্লীল কাযকরা কিংবা নিজের ওপর যুলম করার পর আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের গুনাহর যন্য ক্ষমা চায়…।” [সূরা আলে ইমরান]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪৮

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪৮। ২ নং হাদীসের অনুরূপ।

 

সংযোযনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ নিম্নোক্ত দুটি আয়াতের একটি পাঠ করলেনঃ “যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কায করিবে, সে তার প্রতিফল পাবে।” [সূরা আননিসা] যারা কোন অশ্লীল কায অথবা নিজের ওপর যুলম করার পর আল্লাহকে স্মরণ করে ও নিজেদের গুনাহ মাফ চায়…।” [সূরা আলে ইমরান]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৪৯

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৪৯। ওমর [রাঃআঃ] বলেন, আবু বাকর [রাঃআঃ] আমাদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ আমাদের সামনে দাঁড়ালেন। তারপর বললেনঃ শুনে রাখ, মানুষকে দৃঢ় ইমানের পর সুস্থতা ও নিরাপত্তার চেয়ে ভালো কোন জিনিস দেয়া হয়নি। শুনে রাখ, সত্যবাদিতা ও বদান্যতা জান্নাতে [নিয়ে যাবে]। শুনে রাখ, মিথ্যাচার ও পাপাচার জাহান্নামে [নিয়ে যাবে]।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫০

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫০। আবু ইসহাক বলেন, আমি বারা [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ যখন মক্কা থেকে মদীনায় গেলেন, তখন পিপাসা বোধ করিলেন। এ সময় তাঁরা যনৈক মেষ রাখালের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবু বাকর [রাঃআঃ] বলেন, আমি একটা পাত্ৰ নিলাম এবং তাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যন্য খানিকটা দুধ দোহন করলাম। অতঃপর সেই দুধ নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট গেলাম। তিনি তা পান করিলেন। এতে আমি আনন্দিত হলাম। [হাদীস নং ৩ দ্রষ্টব্য]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫১

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫১। আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] বলেন, আবু বকর [রাঃআঃ] বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাকে এমন একটা জিনিস শিখিয়ে দিন, যা আমি সকালে সন্ধ্যায় ও শোয়ার সময় বলবো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বললেনঃ তুমি বল, হে আল্লাহ, আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, অদৃশ্য ও দৃশ্য সব কিছুর সম্বন্ধে জ্ঞাত। অথবা তিনি [এভাবে] বলেছেনঃ হে আল্লাহ, অদৃশ্য ও দৃশ্য সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞাত, আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা। প্রতিটি জিনিসের প্রভু ও মালিক, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি আমার নফসের অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট ও তার ধোকাবাজির জাল থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। [হাদীস নং ৫২ ও ৬৩ দ্রষ্টব্য, মুসনাদে আবু হুরাইরার হাদীস নং ৭৯৪৮ দ্রষ্টব্য]

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫২

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫২। দেখুন পূর্বের হাদীস।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫৩

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫৩। হাদীস নং ১ এর অনুরূপ।

 

১। আবু আবদুর রহমান আবদুল্লা ইবনে আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বলেনঃ আমাকে আমার পিতা আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বিন হিলাল বিন আসাদ তদীয় পুস্তক থেকে জানিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আমাকে আবদুল্লা বিন নুমায়ের বলেছেন, আমাকে ইসমাইল [অর্থাৎ খালিদের পিতা] কায়েস থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, একদিন আবু বাকর [রাঃআঃ] যনসমক্ষে দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা করিলেন, অতঃপর বললেনঃ হে যনগণ! তোমাদের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি এ আয়াত পাঠ করে থাকেঃ

 

 

অর্থাৎ “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সাবধান হও। তোমরা নিজেরা যখন হিদায়াত লাভ করিবে [সৎপথে চলবে] তখন যে ব্যক্তি বিপথগামী হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করিতে পারবে না”। [মায়েদাঃ ১০৫]

 

কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলিতে শুনেছিঃ “লোকেরা যখন অন্যায় সংঘটিত হইতে দেখবে, অথচ তার প্রতিরোধ করিবে না, তখন অচিরেই আল্লাহ্ তাদের ওপর সর্বব্যাপী আযাব নাযিল করবেন।” [অর্থাৎ অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী-সকলেই সেই আযাবে নিপতিত হইবে।]

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫৪

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫৪। আবু বারযা আসলামী [রাঃআঃ] বলেন, এক ব্যক্তি আবু বকর [রাঃআঃ] এর সাথে অত্যন্ত রূঢ় ও কর্কশ ভাষায় কথা বললো? আমি বললাম, আমি কি ওর গর্দান উড়িয়ে দেব না? [হত্যা করবো না?]। আবু বাকর তাকে ধমক দিয়ে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর এ অধিকার [অর্থাৎ এভাবে হত্যার অনুমতি দেয়ার অধিকার] আর কারো নেই।{১}

 

{১}. [আবু দাউদ-৪৩৬৩] [৬১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য]

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫৫

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫৫। একবার ফাতিমা [রাঃআঃ] আবু বাকর আস সিদ্দিক [রাঃআঃ] এর নিকট দূত পাঠিয়ে তাহার  কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার চাইলেন, যা তাঁকে আল্লাহ মদীনায় ও ফাদাকে দিয়েছিলেন এবং খায়বারের এক পঞ্চমাংশের অবশিষ্টাংশ। আবু বাকর [রাঃআঃ] যবাব দিলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেন, আমরা [নাবীরা] উত্তরাধিকার সূত্রে কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করিনা। আমরা যে সম্পত্তি রেখে যাই তা সাদাকা। এই সম্পত্তি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় যে অবস্থায় ছিল, আমি তাকে কখনো সেই অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তিত করবো না এবং সাদাকার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ যা করিয়াছেন, আমি অবশ্যই ঠিক তাই করবো।

 

এভাবে আবু বাকর উক্ত সম্পত্তি থেকে ফাতিমাকে কিছুই দিলেন না। এ যন্য ফাতিমা আবু বকরের [রাঃআঃ] ওপর রাগান্বিত হলেন। আবু বাকর [রাঃআঃ] বললেনঃ সেই আল্লাহর কসম যার হাতে আমার জীবন, আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আপন যনের সাথে সম্পর্ক বহাল রাখা আমার নিজের আপনযন অপেক্ষা অধিক প্রিয়। তবে এই সম্পত্তির ব্যাপারে তোমাদের ও আমাদের মধ্যে যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমি ন্যায়নীতি থেকে বিচ্যুত হইনি এবং এই সম্পত্তির ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে যা করিতে দেখেছি, আমি তা করা থেকে বিরত হইনি।{১}

 

{১}. বুখারী-৪২৪০, মুসলিম-১৭৫৯, অত্র গ্রন্থের হাদীস নং ৯ দ্রষ্টব্য

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫৬

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫৬। হাদীস নং ২ দ্রষ্টব্য।

 

২। আলী [রাঃআঃ] বলেনঃ আমি যখন সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে কোন হাদীস শুনতাম, তখন তা দ্বারা আল্লাহ আমাকে যতটা ইচ্ছা উপকৃত করিতেন। আর যখন অন্য কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে শ্রুত কোন হাদীস আমাকে জানাতো, তখন আমি তারকাছ থেকে শপথ নিতাম [যে, সে সত্যই নিয কানে হাদীসটি হুবহু শুনেছে কিনা] যখন সে শপথ করতো, কেবল তখনই আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। আবু বাকর আমাকে একটা হাদীস শুনিয়েছেন এবং তিনি সত্যই বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলিতে শুনেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন গুনাহর কায করে, তার অব্যবহিত পর খুব ভালভাবে ওযূ করে, [মিসয়ারের বর্ণনা মুতাবিক, অতঃপর নামায পড়ে, সুফিয়ানের বর্ণনা মুতাবিক, অতঃপর দুরাকআত নামায পড়ে] অতঃপর মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায়, তখন অবশ্যই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫৭

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫৭। যায়িদ বিন ছাবিত [রাঃআঃ] বলেনঃ ইয়ামামার শহীদরা যে জায়গায় শহীদ হয়েছিলেন, সেই জায়গায় আবু বাকর [রাঃআঃ] আমার কাছে দূত পাঠিয়ে বললেনঃ হে যায়িদ বিন ছাবিত, তুমি একযন বুদ্ধিমান যুবক। তোমার বিরুদ্ধে আমাদের কারো কোন অভিযোগ নেই। তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যন্য ওহী লিখতে। সুতরাং কুরআনকে খুঁজে বের কর ও সংকলিত কর।{1}

 

{1}. বুখারী কর্তৃক সহীহ বলে স্বীকৃতি দান, ৪৯৮৬, ইবন হিব্বান-৪৫০৭ অত্র গ্রন্থ হাদীস নং ৭৬ দ্রষ্টব্য}

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫৮

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫৮। হাদীস নং ৯ দ্রষ্টব্য

 

৯। ফাতিমা [রাঃআঃ] ও আব্বাস [রাঃআঃ] আবু বাকরের কাছে এলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার চাইলেন। তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফাদাকের যমি ও খাইবারের যমির অংশ চাইছিলেন। আবু বকর [রাঃআঃ] তাঁদেরকে বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলিতে শুনেছিঃ আমাদের সম্পত্তির কোন উত্তরাধিকারী হয় না। আমরা [নাবীরা] যা রেখে যাই, তা সাদাকা। মুহাম্মাদের বংশধরগণ, স্বগোত্রীয়রা, আত্মীয়স্বযন ও সঙ্গী সাথীরা সবাই এ সম্পত্তি ভোগ করিবে। আল্লাহর কসম! আমি প্রতিটি ব্যাপারেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে যা করিতে দেখেছি, তা ছাড়া অন্য কিছু করবো না।

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৫৯

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৫৯। ইবনে আবি মুলাইকা হইতে বর্ণীত। আবু বাকর [রাঃআঃ] কে বলা হলো, হে আল্লাহর খলীফা! আবু বাকর [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খলীফা এবং আমি এতেই সন্তুষ্ট। [হাদীস নং ৬৪ দ্রষ্টব্য]

পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

৬০

 

পরিচ্ছেদঃ

 

৬০। একদিন ফাতিমা [রাঃআঃ] আবু বাকর [রাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করিলেন, আপনি যখন মারা যাবেন, তখন আপনার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী কে হইবে? তিনি বললেনঃ আমার সন্তান ও আমার পরিবার। ফাতিমা [রাঃআঃ] বললেনঃ তাহলে আমাদের কী হলো যে, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইতে পারছিনা? আবু বাকর [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃকে বলিতে শুনেছি, নাবীর সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে হস্তান্তরিত হয় না। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ যাদের ব্যয়ভার বহন করিতেন। আমিও তাদের ব্যয়ভার বহন করবো এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ যাদের যন্য ব্যয় করিতেন, তাদের যন্য আমিও ব্যয় করবো। [হাদীস নং ৭৯ দ্রষ্টব্য]

 

এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ [Sahih]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] {আবু বকরের বর্ণিত হাদীস}

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “মুসনাদে আহমদ ২য় খন্ড – ইসলামিক ফাউন্ডেশন”

Your email address will not be published. Required fields are marked *