Description
রামাদানের সওগাত
রামাদানের সওগাত বইটি কিনুন
মুয়াত্তা মালিক ৪১১
তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
একজন নযদবাসী লোক এলোমেলো কেশে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর কাছে এলেন। আমরা তাঁর স্বরের গুঞ্জন শুনছিলাম। কিন্তু তিনি কি বলছিলেন তা বুঝা যাচ্ছিল না। আবশেষে তিনি নাবী সাঃআঃ-এর খুব কাছে এলেন। তখন তিনি ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করছিলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ {তাঁর প্রশ্নের উত্তরে} বলিলেন, দিন-রাতে পাঁচবার নামাজ। সে বলল, এটা ছাড়া আমার উপর আর কোন কিছু {নামাজ} আছে কি ? তিনি বলিলেন, না, অবশ্য তুমি যদি স্বেচ্ছায় {নফল} আদায় কর। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, এবং রমযান মাসের রোযা। সে বলল, এটা ছাড়া আমার উপর {আর কোন রোযা} আছে কি ? তিনি বলিলেন, না, তুমি যদি স্বেচ্ছায় রাখ। তালহা {রাজি.} বলেন, রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ যাকাতের উল্লেখ করেন। সে ব্যক্তি বলল, এটা ছাড়া আমার উপর আর কোন কিছু আছে কি ? রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, না, তবে যদি তুমি নফলরূপে দাও। তালহা {রাজি.} বলেন, অতঃপর সে ব্যক্তি এই বলিতে বলিতে ফিরে গেল কসম আল্লাহর আমি এর উপর বেশিও করব না এবং এটা হইতে কমও করব না। তারপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, এই ব্যক্তি সফলকাম হল, যদি সে সত্য বলে থাকে। {বোখারি ১১৪২, মুসলিম ৭৭৬}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
আতা ইবন ইয়াসার {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
এক ব্যক্তি রমযান মাসে রোযা অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে চুমু খেলেন এবং এতে খুবই অনুতপ্ত হলেন। অতঃপর এই বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য তাঁর স্ত্রীকে পাঠালেন। সে নাবী সাঃআঃ-এর সহধর্মিনী উম্মে সালমা {রাজি.}-এর কাছে গেল এবং সেই বিষয় তাঁর কাছে উল্লেখ করিল। উম্মে সালমা {রাজি.} তাকে বলিলেন, রোযা অবস্থায় রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-ও চুমা দিয়ে থাকেন। সে তার স্বামীর কাছে ফিরে এসে এই খবর তাকে জানাল। কিন্তু তাঁর পেরেশানী আরো বৃদ্ধি পেল। তিনি বলিলেন, আমরা রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর মত নই। আল্লাহ্ তাঁর রাসূলের জন্য যা ইচ্ছা হালাল করেন। তারপর তাঁর স্ত্রী পুনরায় উম্মে সালমা {রাজি.}-এর কাছে গেল। {এবার} উম্মে সালমা {রাজি.}-এর নিকট রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃকে পেল। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেন, এই স্ত্রীলোকটির ব্যাপার কি ? উম্মে সালমা {রাজি.} তাকে বিষয়টি জানালেন। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেন, আমিও এটা করি, তুমি এই স্ত্রীলোককে এই খবর দাওনি কেন ? উম্মে সালমা {রাজি.} বলিলেন, আমি তাকে এই খবর দিয়েছি। অতঃপর তার স্বামীর কাছে গিয়ে সেই খবর বলেছে। এতে তাঁর চিন্তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তিনি বলেছেন, আমরা রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর মত নই। আল্লাহ্ তাঁর রাসূলের জন্য ইচছা হালাল করেন। এটা শুনে রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} রাগান্বিত হলেন এবং বলিলেন, আমি অবশ্য তোমাদের অপেক্ষা আল্লাহকে অধিক ভয় করি এবং তাঁর সীমানাসমূহকে তোমাদের অপেক্ষা অধিক জানি। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
মুয়াত্তা মালিক ৬৪৫
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
জনৈক বেদুঈন বুক চাপড়াতে চাপড়াতে এবং চুল টানতে টানতে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর কাছে এল। সে বলিতেছিল {পূণ্য হইতে} দূরবর্তী ধ্বংস হয়েছে। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেন, সে কি ? সে বলল, আমি স্ত্রীর সাথে রমযানে সহবাস করেছি অথচ আমি রোযাদার। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} {এটা শুনে} বলিলেন, তুমি একটি গোলাম আযাদ করার শক্তি রাখ কি ? সে বলল, না। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেন, একটি উট হাদয়ি স্বরূপ পাঠাইবার সামর্থ্য রাখ কি ? সে বলল, না। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেন, তুমি বস। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর নিকট এক টুকরি খেজুর আনা হল। তখন রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেন, এটা নাও এবং সদকা কর। লোকটি বলল, ইয়া রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} আমার অপেক্ষা অধিক মুহতাজ কাউকেও আমি পাইনি। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} বলিলেন, এটা তুমি খাও এবং স্ত্রী সহবাসের কাফফারাস্বরূপ একদিন রোযা রাখ। {বাইহাকী বর্ণনা করেন {সুনানে কুবরা ৪/২২৭}
{১} صَاعًا ছা- খাদ্যশস্যের একটি পরিমাণ, প্রায় তিন সের ওজনের।
এই হাদীসখানার তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
রামাদানের সওগাত
Reviews
There are no reviews yet.