Description
শরহু নুখবাতুল ফিকার (বাংলা এবং আরবি)
শরহু নুখবাতুল ফিকার (বাংলা এবং আরবি) বই
সুনান আবু দাউদ ১৬০০
আমর ইবন শুআইব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদা হইতে বর্ণীত আছেঃ
মুত্য়ান গোত্রের হিলাল নামক এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} নিকট তার মুধর উশর নিয়ে এলেন এবং তাহাঁর নিকট সালাবাহ্ নামক একটি সমতলভূমি বন্দোবস্ত চাইলে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} তাহাকে উক্ত ভূমিটি বন্দোবস্ত দিলেন। পরবর্তীতে যখন উমার {রাদি.} খলীফা হন, তখন {এ এলাকার আমীর} সুফয়ান ইবন ওয়াহাব উমার ইবনল খাত্তাবকে {রাদি.} ঐ ভূমির বিষয়ে চিঠি লিখে জানতে চাইলেন। উত্তরে উমার {রাদি.} তাহাকে লিখেনঃ তিনি {হিলাল} রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} এর নিকট তার মধুর যে উশর দিতেন তিনি যদি তা তোমাকেও দেন তাহলে সালাবা ওয়াদীতে তার বন্দোবস্ত বহাল রাখবে। অন্যথায় তা বনের মৌমাছি হিসেবে গণ্য হইবে এবং যে কেউ তার মধু খেতে পারবে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
সুনান আবু দাউদ ১৬০১
আমর ইবন শুআইব {রা.} হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার হইতে বর্ণীত আছেঃ
শাবাবাহ হচ্ছে ফাহ্ম গোত্রের উপগোত্র। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বের হাদিসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, {মধুর যাকাত হচ্ছে} প্রত্যেক দশ মশকের জন্য এক মশক। সুফয়ান ইবন আবদুল্লাহ আস-সাকাফী তাহাদেরকে দুটি সমতলভূমি বন্দোবস্ত দিয়েছিলেন। তারা তাহাকে {মধুর} যাকাত সেভাবেই দিতেন যেমনটি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} কে দিতেন। তিনি তাহাদের দুটি সমভূমির বন্দোবস্ত বহাল রেখেছিলেন। (১৬০১)এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
সুনান আবু দাউদ ১৬০২
আমার ইবন শুআইব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার হইতে বর্ণীত আছেঃফাহ্ম গোত্রের উপগোত্র… অতঃপর মুগীরাহ্র হাদিসের অনুরূপ। তিনি বলেন, {মধুর যাকাত} দশ মশকে এক মশক দেয়া ওয়াজিব। তিনি আরো বলেন, সমভূমি দুটি তাহাদের মালিকানায় ছিল। (১৬০২)এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
অনুমানে আঙ্গুরের পরিমাণ নির্ধারণ করা
সুনান আবু দাউদ ১৬০৩
আত্তাব ইবন আসীদ {রা.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আঙ্গুরের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেমন খেজুরের পরিমাণ নির্ধারণ হয় এবং আঙ্গুরের যাকাত গ্রহণ করিবে কিশমিশ দ্বারা, যেমন খেজুরের যাকাত খুরমা দ্বারা নেয়া হয়। (১৬০৩)
(১৬০৩) তিরমিজি {অধ্যায়ঃ যাকাত, হাঃ ৬৪৪, ঈমাম তিরমিজি বলেন, এ সনদটি হাসান গরীব, নাসায়ী {অধ্যায়ঃ যাকাত, হাঃ ২৬১৭}, ইবন মাজাহ {অধ্যায়ঃ যাকাত, হাঃ ১৮১৯}, দারাকুতনী {হাঃ১৭}। এর সনদ দুর্বল। সনদের সাঈদ ইবনল মুসায়্যিব আত্তাব ইবন আসীদের যুগ পাননি। যেমনটি হাফিয ইবন হাজার আত-তাহযীব গ্রন্থে বলিয়াছেন।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
সুনান আবু দাউদ ১৬০৪
ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
পূর্বোক্ত সানাদে এ হাদিসের ভাবার্থ বর্ণিত হয়েছে। (১৬০৪)
(১৬০৪) তিরমিজি {অধ্যায়ঃ যাকাত, হাঃ ৬৪৪} ঈমাম তিরমিজি বলেন, এ সনদটি হাসান গরীব, দারাকুতনী {হাঃ ২২}। এর সনদ দুর্বল।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
গাছের ফলের পরিমাণ অনুমানে নির্ধারণ করা
সুনান আবু দাউদ ১৬০৫
আবদুর রহমান ইবন মাসউদ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, একদা সাহল ইবন আবু হাসমাহ {রাদি.} আমাদের মাজলিসে এসে বলেন, রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেনঃ যখন অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করিবে, তখন তা হইতে এক-তৃতীয়াংশ বাদ দিবে। এক-তৃতীয়াংশ বাদ দিতে অসম্মত হলে এক-চতুর্থাংশ ছেড়ে দিবে। (১৬০৫)
(১৬০৫) তিরমিজি {অধ্যায়ঃ যাকাত, হাঃ ৬৪৩}, নাসায়ী {অধ্যায়ঃ যাকাত, হাঃ ২৪৯০}, আহমাদ, ইবন খুযাইমাহ {২৩১৯}। সকলে শুবাহ হইতে। এর সানাদে আবদুর রহমান ইবন মাসউদ সম্পর্কে হাফিয বলেন, মাক্ববুল।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
খেজুরের পরিমাণ কখন অনুমান করিবে?
সুনান আবু দাউদ ১৬০৬
আয়িশাহ্ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি খায়বারের আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা {রাদি.}-কে খায়বারের ইহুদীদের কাছে প্রেরণ করিলেন। তিনি গাছের খেজুর অনুমানে নির্ধারণ করিতেন- যখন তা পুষ্ট হতো, তবে খাওয়ার উপযোগী হওয়ার পূর্বে। (১৬০৬)
(১৬০৬) আহমাদ, ইবন খুযাইমাহ {হাঃ ২৩১৫, আবদুর রাযযাক্ব মুসান্নাফ {হাঃ ৭২১৯} ইবন জুরাইজ হইতে। এর সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছে।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
শরহু নুখবাতুল ফিকার (বাংলা এবং আরবি)
Reviews
There are no reviews yet.