Description
শির্ক কী ও কেন?
শির্ক কী ও কেন?
সুনান আবু দাউদ ৪৯১৬
আবু হুরাইরাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী {সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম} বলিয়াছেনঃ প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয়। অতঃপর ঐদিন আল্লাহ্র সাথে শির্ককারী ও দুই ভাইয়ে শত্রুতা পোষণকারীরা ছাড়া সকলকেই ক্ষমা করা হয়। বলা হয়, তোমরা এ দুজনকে শত্রুতা ত্যাগ করার সুযোগ দাও। ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, নাবী {সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম} চল্লিশ দিন যাবত তাহাঁর কোন এক স্ত্রীর হইতে বিচ্ছিন্ন ছিলেন, ইবন উমার {রাদি.} আমৃত্যু তাহাঁর এক পুত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, সম্পর্কচ্ছেদ মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকলে তাতে গুনাহ নেই। উমার ইবন আবদুল আযীয {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} এক ব্যক্তি হয়ে তার চেহারা আড়াল করে রেখেছেন।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
শির্ক কী ও কেন?
সহিহ হাদিসে কুদসি ৮.
আবু হুরাইরা রাদি. আনহু থেকে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আঃ বলেছেন: ইবরাহিম তাকে বলবে: আমি কি তোমাকে বলিনি আমার অবাধ্য হয়ো না? অতঃপর তার পিতা তাকে বলবে: আজ তোমার অবাধ্য হব না। অতঃপর ইবরাহিম বলবে: হে আমার রব, আপনি আমাকে ওয়াদা দিয়েছেন যেদিন উঠানো হবে আমাকে অসম্মান করবেন না, আমার পতিত পিতার অপমানের চেয়ে বড় অপমান কি! অতঃপর আল্লাহ বলবেন: নিশ্চয় আমি কাফেরদের ওপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছি। অতঃপর বলা হবে: হে ইবরাহিম তোমার পায়ের নিচে কি? সে দেখবে তার পিতা আচমকা রক্ত-ময়লায় নিমজ্জিত হায়েনায় পরিণত হয়েছে, তখন তার পা পাকড়াও করে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে”। {বুখারি} হাদীসটি সহীহ।
সহিহ হাদিসে কুদসি ৬৭.
ইয়াদ ইবনি হিমার আল-মুজাশি থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আঃ একদা তার খুতবায় বলেছেন: “জেন রেখ আমার রব আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি তোমাদেরকে শিক্ষা দেই যা তোমরা জান না, যা তিনি আজকের এ দিনে আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন: আমি আমার বান্দাকে যে সম্পদ দিয়েছি তা হালাল। নিশ্চয় আমি আমার সকল বান্দাকে সৃষ্টি করেছি শির্ক মুক্ত-একনিষ্ঠ, অতঃপর তাদের নিকট শয়তান এসে তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত করেছে। তাদের ওপর সে হারাম করেছে যা আমি তাদের জন্য হালাল করেছি। সে তাদেরকে নির্দেশ করেছে যেন আমার সাথে শরীক করে, যার সপক্ষে কোন দলিল নাযিল করা হয়নি। নিশ্চয় আল্লাহ জমিনে বাসকারীদের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন অতঃপর তাদের আরব অনারব সবাইর প্রতি তাঁর ক্রোধ আসে, অবশিষ্ট কতক কিতাবি ব্যতীত। তিনি আরও বলেন: তোমাকে প্রেরণ করেছি তোমাকে পরীক্ষা করব ও তোমার দ্বারা তাদের পরীক্ষা করব এ জন্য। আমি তোমার ওপর এক কিতাব নাযিল করেছি, যা পানি ধুয়ে ফেলবে না, ঘুমন্ত ও জাগ্রত সর্বাবস্থায় তুমি তা তিলাওয়াত করবে। আর নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমি কুরাইশদের জ্বালিয়ে দেই। আমি বললাম: হে আমার রব তাহলে তো তারা আমার মাথা থেঁতলে দিবে, অতঃপর রুটি বানিয়ে ছাড়বে। তিনি বললেন: তাদেরকে বের কর যেমন তারা তোমাকে বের করেছে, তাদের সাথে যুদ্ধ কর আমি তোমার সাথে যুদ্ধ করব, খরচ কর নিশ্চয় আমরা তোমার ওপর খরচ করব। তুমি বাহিনী প্রেরণ কর, আমি তার সমান পাঁচগুণ প্রেরণ করব। যারা তোমার আনুগত্য করেছে তাদের নিয়ে যুদ্ধ কর তাদের সাথে যারা তোমার অবাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন: জান্নাতিরা তিন প্রকার: {ক}. ন্যায়পরায়ণ, সদকাকারী ও তাওফিকপ্রাপ্ত বাদশাহ। {খ}. সকল আত্মীয় ও মুসলিমের জন্য দয়াশীল ও নরম হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি। {গ}. অধিক সন্তান-সন্তুতিসম্পন্ন সৎ ও পবিত্র ব্যক্তি। তিনি বলেন: জাহান্নামীরা পাঁচ প্রকার: {ক}. দুর্বল, যার বিচারিক বিবেক নেই, যারা তোমাদের মধ্যে অনুসারী, যারা সন্তান ও সম্পদ আশা করে না। {খ}. খিয়ানতকারী, যার খিয়ানত গোপন থাকে না, সামান্য বস্তু হলে তাতেও সে খিয়ানত করে। {গ}. এমন ব্যক্তি যে সকাল-সন্ধ্যা তোমার পরিবার ও সম্পদে ধোকা প্রদানে লিপ্ত। {ঘ}. তিনি কৃপণতা অথবা মিথ্যার উল্লেখ করেছেন। {ঙ}. দুরাচারী অশ্লীল ব্যক্তি”। {মুসলিম} হাদীসটি সহীহ।
Reviews
There are no reviews yet.